India-Indonesia: যৌথভাবে নয়া ইকোনমিক অ্যান্ড ফিনানশিয়াল ডায়ালগ চালু করল ভারত ও ইন্দোনেশিয়া

India-Indonesia relation: জি২০-র অর্থমন্ত্রী এবং সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কের গভর্নরদের বৈঠকের পাশাপাশি ভারত ও ইন্দোনেশিয়ার অর্থমন্ত্রীরা দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। সেখানেই এই বাণিজ্য চ্যানেল শুরুর বিষয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে।

India-Indonesia: যৌথভাবে নয়া ইকোনমিক অ্যান্ড ফিনানশিয়াল ডায়ালগ চালু করল ভারত ও ইন্দোনেশিয়া
যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন এবং ইন্দোনেশিয়ার অর্থমন্ত্রী মুল্যানি ইন্দ্রাবতীImage Credit source: Twitter
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 16, 2023 | 9:15 PM

আহমেদাবাদ:  রবিবার (১৬ জুলাই), একটি নতুন বাণিজ্য চ্যানেল চালু করল ভারত এবং ইন্দোনেশিয়া। আন্তর্জাতিক সমস্যাগুলির মোকাবিলা এবং দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ইকোনমিক অ্যান্ড ফিনানশিয়াল ডায়ালগ নামে বাণিজ্য চ্যানেল চালু করল দুই দেশ। এর ফলে, দ্বিপাক্ষিক বিনিয়োগ, আর্থিক পরিষেবা এবং পরিকাঠামোর উন্নয়নে দুই দেশের সহযোগিতা বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। এদিন, জি২০-র অর্থমন্ত্রী এবং সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কের গভর্নরদের বৈঠকের পাশাপাশি ভারত ও ইন্দোনেশিয়ার অর্থমন্ত্রীরা দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। সেখানেই এই বাণিজ্য চ্যানেল শুরুর বিষয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। ইন্দোনেশিয়ার অর্থমন্ত্রী মুল্যানি ইন্দ্রাবতীর সঙ্গে এক যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বলেছেন, “এই ডায়ালগ ভারত এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সহযোগিতার সম্পর্ক উন্নয়নে সহায়তা করবে এবং বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতায় অবদান রাখবে।”

সীতারামন বলেছেন, “১৯৯১ সালে ভারতের ‘লুক ইস্ট পলিসি’ এবং তারপর ‘অ্যাক্ট ইস্ট পলিসি’ গ্রহণ করেছিল। সেই সময় থেকে বাণিজ্যিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে ভারত ও ইন্দোনেশিয়ার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের দ্রুত বিকাশ ঘটেছে। আশিয়ান অঞ্চলে ভারতের বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে ইন্দোনেশিয়া। ২০০৫ সাল থেকে আমাদের বাণিজ্য আট গুণ বেড়েছে। গত বছর দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৩৮০০ কোটি মার্কিন ডলার। এই ডায়ালগের ফলে আমাদের সম্পর্কের গভীরতা আরও বাড়বে। এই বাণিজ্যিক চ্যানেলে আমরা আমাদের দুই দেশের সাধারণ স্বার্থের বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করব। দ্বিপাক্ষিক বিনিয়োগ, আর্থিক পরিষেবা এবং পরিকাঠামোর উন্নয়নের মতো ক্ষেত্রে আমরা দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা বাড়াতে চাই।”

যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে সীতারামন এবং ইন্দ্রাবতী ভারত ও ইন্দোনেশিয়ার বিভিন্ন মিল তুলে ধরেন। ইন্দোনেশিয়ার কাছ থেকেই যে ভারত জি২০ গোষ্ঠীর সভাপতিত্ব গ্রহণ করেছে, সেই প্রসঙ্গও উঠে আসে। সীতারামণ জানান, ইন্দোনেশিয়ার পরই ভারত এই পদে বসায়, এমন বেশ কিছু বিষয় রয়েছে যা ইন্দোনেশিয়া শুরু করেছিল, ভারত এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। ভারত ইন্দোনেশিয়া ইকোনমিক অ্যান্ড ফিনানশিয়াল ডায়ালগে এই বিষয়গুলি নিয়েও আলোচনা হবে। অন্যদিকে ইন্দ্রাবতী জানিয়েছেন, ভারত এবং ইন্দোনেশিয়ার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে জোরদার করার বিষয়ে অর্থমন্ত্রী সীতারামনের সঙ্গে তাঁর আলোচনা খুবই ভাল হয়েছে।