PM Narendra Modi: ‘ঘরমে ঘুসকে মারেঙ্গে’, পাকিস্তান ইস্যুতে এবার বিদেশেও প্রশংসা পেলেন মোদী

PM Narendra Modi: ওই মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টে ২০২০ সাল থেকে চলে আসা ভারত ও চিনের মধ্যে লাদাখ সীমান্তের সমস্যার কথাও উল্লেখিত রয়েছে।

PM Narendra Modi: 'ঘরমে ঘুসকে মারেঙ্গে', পাকিস্তান ইস্যুতে এবার বিদেশেও প্রশংসা পেলেন মোদী
ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 09, 2022 | 8:02 PM

নয়া দিল্লি: নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী (PM Narendra Modi) হওয়ার পর থেকে পাকিস্তানের মদতে জঙ্গি হানার বিরুদ্ধে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক (Surgical Strike) হোক বা এয়ার স্টাইক (Air Strike) বারবরা সারা বিশ্বের সামনে ভারতের কঠোর অবস্থান সামনে এনেছে। দেশের বিরোধীরা প্রধানমন্ত্রীকে এর কৃতিত্ব না দিতে চাইলেও বিজেপি তথা কেন্দ্রীয় সরকার পাকিস্তানি উস্কানির বিরুদ্ধে মোদীর নীতির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী একাধিকবার জানিয়েছেন ‘এটা নতুন ভারত। দেশের ওপর কোনও আঁচ এলে ঘরে ঢুকে প্রত্যাঘাত অনিবার্য।’ এবার মোদী তথা বিজেপির এই দাবিকেই মান্যতা দিল মার্কিন গোয়েন্দা বিভাগ। মার্কিন কংগ্রেসকে রিপোর্ট আকারে আমেরিকার গোয়েন্দা কমিউনিটি জানিয়েছে, পাকিস্তানি সেনার প্ররোচনার মুখে ভারতের আগের সরকারগুলির তুলনায় বর্তমান সরকার অনেক বেশি সক্রিয়। ভারতের বর্তমান সরকার পাকিস্তানি প্ররোচনার তৎক্ষণাৎ জবাব দেয়।

মার্কিন ন্যাশানাল ইন্টেলিজেন্সের ডিরেক্টরের দফতর থেকে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে তৈরি হওয়া সমস্যা উদ্বেগের বিষয়। ঝুঁকি কম থাকলেও পরমাণু শক্তিধর দুটি দেশের লড়াই যে কোনও সময়ে মারাত্মক পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে। ওডিএনআই রিপোর্ট জানিয়েছে, “ভারত বিরোধী জঙ্গি গোষ্ঠীগুলিকে পাকিস্তানের সমর্থন করার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। পাকিস্তানের প্ররোচনায় ভারত বিরোধী যে কোনও কার্যকলাপকে সেনা বাহিনীর মাধ্যমে উপযুক্ত জবাব দেওয়ার ভারতের প্রবণতা আগের ভারত সরকারগুলির থেকে বর্তমান ভারত সরকারের অনেক বেশি। কাশ্মীরের বর্তমান পরিস্থিতি দুদেশের মধ্যে উত্তেজনা বাড়াতে পারে ফলে সংঘর্ষের সম্ভাবনাও রয়েছে।”

ওই মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টে ২০২০ সাল থেকে চলে আসা ভারত ও চিনের মধ্যে লাদাখ সীমান্তের সমস্যার কথাও উল্লেখিত রয়েছে। রিপোর্টে বলা রয়েছে, এশিয়ার দুই শক্তিধর দেশের মধ্যে সংঘাতের সম্ভাবনা বাড়লে ঝুঁকি থেকেই যায়। ২০২০ সালের জুন মাসের ১৫ তারিখ থেকে দুই গালওয়ান উপত্যকায় দুই দেশের মধ্যে সমস্যা বৃদ্ধির সূত্রপাত হয়। একটা সময় সংঘাতের পরিস্থিতি চরমে উঠেছিল, কারণ প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় দুই দেশের সেনাবাহিনী মুখোমুখি দাঁড়িয়েছিল। এখনও অবধি প্রকৃত সীমান্ত রেখায় উত্তেজনা নিয়ে দুই দেশের মধ্য ১৪ দফা বৈঠক হয়েছে। সূত্র মারফত খবর চলতি মাসের ১১ তারিখ ভারত ও চিনের মধ্য আরও একটি বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে পাকিস্তান নিয় মোদীর কড়া অবস্থান বিদেশে প্রশংসিত হওয়া বিজেপি শিবির নিঃসন্দেহে উৎসাহিত হবে।

আরও পড়ুন Petrol Diesel Prices today: ভোটের ফল প্রকাশের পর পেট্রোল-ডিজেল মহার্ঘ্য হওয়ার আশঙ্কা, আজ দাম কত জেনে নিন