Srinagar-Sharjah flight: কোনও বদল নেই পাকিস্তানের! বিমান চালাতে কূটনৈতিক স্তরে কথাবার্তা চালাচ্ছে ভারত
Kashmir: আকাশপথ ব্যবহার করতে না দেওয়ার কথা জানিয়েছে পাকিস্তান। বিমান চলাচলের জন্য পাকিস্তানের (Pakistan) আকাশসীমা ব্যবহার করা প্রয়োজন। কিন্তু সেই অনুমতি দিতে নারাজ পাকিস্তান।
নয়া দিল্লি : অনেক আশা নিয়ে শ্রীনগর থেকে শারজা (Srinagar-Sharjah flight) যাওয়ার বিমান পরিষেবা চালু করেছে ভারত। খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ নিজে কাশ্মীরে (Kashmir) গিয়ে সেই পরিষেবা চালু করেন। কিন্তু, শুরুতেই বাধা। কয়েকটি বিমান স্বাভাবিকভাবে চললেও বাধ সেধেছে পাকিস্তান (Pakistan)। বিমান চলাচলের জন্য আকাশসীমা ব্যবহার করতে দিচ্ছে না ইমরান খানের (Imran Khan) সরকার। কয়েকদিন আগেই তারা আপত্তি জানিয়েছে। এবার সেই বিমান চালানোর জন্য পাকিস্তানকে অনুরোধ জানাল ভারত। কূটনৈতিক স্তরে সেই বিষয়ে কথাবার্তা চালানো হচ্ছে। মানুষের স্বার্থে যাতে পাকিস্তান বিমান চালানোর অনুমতি দেয, সেই অনুরোধ জানানো হয়েছে।
প্রথম কয়েকদিন, ২৩, ২৪, ২৬ ও ২৮ অক্টোবর সেই বিমান চালানোর অনুমতি দেয় পাকিস্তান। কিন্তু পরে তারা জানিয়ে দেয় যে তারা বিমান চালাতে দেবে না। ২০০৯ সালে সেই রুটে এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের বিমান চালানো হত। কিন্তু পরে সেই রুটে বিমান চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এবার ফের সেই রুট চালু হচ্ছিল। তবে এবারও আগেরবারের মতোই পরিণতি হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
গো ফার্স্টের বিমান শ্রীনগর থেকে শারজা পর্যন্ত চালানো হচ্ছিল। জম্মু ও কাশ্মীর গিয়ে নতুন করে শ্রীনগর-শারজা বিমান চলাচলের সূচনা করে এসেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এই রুটে প্রায় ১১ বছর পরে বিমান চলতে শুরু করে।
ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতা তথা জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ এই ঘটনাটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক বলে উল্লেখ করেছেন। টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘২০০৯-২০১০ সালে শ্রীনগর-দুবাই এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস বিমানের ক্ষেত্রেও একই কাজ করেছিল পাকিস্তান। আমি আশা করেছিলাম যে গো ফার্স্টের বিমানকে পাকিস্তান আকাশসীমা ব্যবহারের অনুমতি দেবে ও তার দেওয়ার ফলে দুই দেশের সম্পর্ক শুধরানোর ইঙ্গিত মিলবে। কিন্তু দুঃখের বিষয়, সেটা হল না। তাঁর আশা ছিল, পাকিস্তান হয়ত কিছুটা বদলেছে। কিন্তু দেখা গেল পাকিস্তান একই রকম আছে।
পিডিপি নেত্রী তথা কাশ্মীরের আর এক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি আবার কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ শানিয়ে অভিযোগ করেছেন, শুধুমাত্র প্রচারের অঙ্গ হিসেবে সেই বিমান চালু করা হয়েছিল। বাস্তবে কী কী প্রয়োজন, তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা করা হয়নি। তিনি আরও বলেন, ‘শ্রীনগর থেকে আন্তর্জাতিক বিমানের জন্য পাকিস্তানের আকাশসীমা ব্যবহারের অনুমতিও যে চায়নি কেন্দ্রীয় সরকার, তা দেখে আমি অবাক।’
১১ বছর পর গত ২৩ অক্টোবর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের হাত ধরে শ্রীনগর থেকে শারজা রুটে বিমান পরিষেবা চালু হয়। কিন্তু পাকিস্তানের এই সিদ্ধান্তের জেরে স্বাভাবিকভাবেই ধাক্কা খেয়েছে এই পরিষেবা। পাকিস্তানের আকাশসীমা ব্যবহার না করতে পারলে এই রুটের বিমানকে উদয়পুর, আমেদাবাদ, ওমান হয়ে শারজায় যেতে হবে। এর ফলে একদিকে যেমন যাত্রাপথের সময়সীমা বেশ কিছুটা বেড়ে যাবে, অন্যদিকে বাড়বে খরচও। স্বাভাবিকভাবেই এই রুটের বিমানের চাহিদা কমে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বিমানকে নিজেদের আকাশসীমা ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছিল পাকিস্তান। সেই রুট ধরেই জি২০ সম্মেলনে যোগ দিতে রোমে যান মোদী। কিন্তু শ্রীনগর-শারজা রুটের ক্ষেত্রে পাকিস্তান কী সিদ্ধান্ত নেবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
আরও পড়ুন : Chinese Journalist: ‘হয়ত আর বাঁচবে না’, জেলে ধুঁকছেন করোনা পরিস্থিতির খবর প্রকাশ করা সেই চিনা সাংবাদিক