Vaccine: করোনার পর আরও সজাগ ভারত, ১০০ দিনের মধ্যে যে কোনও টিকা আনতে প্রস্তুতি শুরু
CEPI: সিইপিআই হল এমন একটি অভিনব অংশীদারিত্ব, যেখানে সরকারি, বেসরকারি এবং অসামরিক প্রতিষ্ঠানগুলি সমান অংশগ্রহণ করে থাকে।
নয়া দিল্লি: করোনাকালে ভ্যাকসিন (Vaccine) তৈরি করে মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিশ্বকে নয়া অস্ত্র জুগিয়েছিল ভারত। ধাপে ধাপে টিকার ডোজ়ে আরও উন্নতি হয়েছে, চলেছে নানা পরীক্ষানিরীক্ষা। এবার যে কোনও ভ্যাকসিন ১০০ দিনের মধ্যে যাতে আনা যায় তার জন্য প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। ভবিষ্যতে আবারও যদি করোনার মতো কোনও অতিমারি থাবা বসায়, তাহলে মানুষকে যাতে দ্রুততার সঙ্গে প্রতিষেধক দেওয়া যায়, তারই কাজ চলছে। অর্থাৎ ১০০ দিনের মধ্যে তৈরি হবে ‘প্যান্ডেমিক ভ্যাকসিন’। কোয়ালিশন ফর এপিডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস বা ইন্ড সিইপিআই (Ind CEPI) প্রোগ্রাম নিয়েছে ডিপার্টমেন্ট অব বায়োটেকনোলজি বা ডিবিটি (DBT)। ডিবিটি, দ্য ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (ICMR), ডিরেক্টরেট জেনারেল অব হেলথ সার্ভিসেস (DGHS) ও ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব এগ্রিকালচারাল রিসার্চ (ICAR) যৌথভাবে কাজ এই কাজ করছে। গবেষণাগার তৈরি করছে বিভিন্ন জায়গায় (Region)। এমনটা হলে অতিমারি পরিস্থিতি এলে দ্রুততার সঙ্গে স্যাম্পেল পাঠানো যাবে। অনুমোদনের ক্ষেত্রেও সমস্যা থাকবে না।
ডিপার্টমেন্ট অব বায়োটেকনোলজির ইউনিয়ন সেক্রেটারি রাজেশ গোখলে জানান, সিইপিআই উদ্যোগ নিলে ভারতে তা এগিয়ে নিয়ে যেতে এবং বিশ্বে কোনও ভাইরাসের দাপট এলে টিকা তৈরির ক্ষেত্রেও সবরকম সহযোগিতা করা হবে। গোখলের কথায়, এমন একটা প্রযুক্তি বা প্রক্রিয়া উদ্ভাবন লক্ষ্য, যার মাধ্যমে ১০০ দিনের মধ্যে কোনও টিকা ভারতে প্রস্তুত হতে পারে। একইসঙ্গে তিনি জানান, এর জন্য ক্ষমতা বৃদ্ধির প্রয়োজন। সেই কাজ চলছে।
বায়োসেফটি লেভেল থ্রি বা বিএসএল থ্রি (BSL-3) ল্যাব এই কাজে আরও বেশি করে দরকার। দেশে এ ধরনের ল্যাবের পরিকাঠামোগত দিক খতিয়ে দেখা হবে। ভবিষ্যতের জন্য সবরকমভাবে নিজেদের প্রস্তুত রাখাই ডিপার্টমেন্ট অব বায়োটেকনোলজির লক্ষ্য। প্রসঙ্গত, সিইপিআই হল এমন একটি অভিনব অংশীদারিত্ব, যেখানে সরকারি, বেসরকারি এবং অসামরিক প্রতিষ্ঠানগুলি সমানভাবে অংশগ্রহণ করে থাকে। ২০১৭ সালে ডাভোসে অভিনব অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার লক্ষ্যে কোয়ালিশন ফর এপিডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস ইনোভেশনস (সিইপিআই)–এর সূচনা হয়। এর উদ্দেশ্য, ভবিষ্যৎ মহামারী প্রতিরোধে কার্যকর টিকা উদ্ভাবন।