Defence Ministry: হামাসের মতো হামলা ঠেকাতে সীমান্তে ড্রোন প্রতিরক্ষা সিস্টেম চালু করছে ভারত
Drone surveillance: জম্মু-কাশ্মীর ও পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী এলাকা নিয়ে বরাবরই উদ্বিগ্ন নয়া দিল্লি। এর মধ্যে ইদানিংকালে আবার নতুন করে উদ্বেগ বাড়িয়েছে চিন। ফলে পাকিস্তান সীমান্তের পাশাপাশি চিন সীমান্তেও বর্তমানে উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি বিরাজ করে। তাই হামাসের মতো ভারতের উপর যাতে কেউ হামলা চালাতে না পারে, সে বিষয়ে তৎপর নয়া দিল্লি।
নয়া দিল্লি: রাত সওয়া ৯টা নাগাদ হঠাৎ করেই যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে সীমান্তে গুলিবর্ষণ শুরু করেছিল পাক রেঞ্জার্স। মর্টার সেলও ছোড়ে। তারপর অবশ্য ভারতীয় জওয়ানরাও পাল্টা জবাব দেয়। কয়েক সপ্তাহ আগে এভাবেই এক ভোরে হঠাৎ করে ইজরায়েলের উপর হামলা চালিয়েছিল হামাস বাহিনী। বহু মানুষ তখন ঘুমের মধ্যে ছিল। হঠাৎ করেই রকেট-বর্ষণ শুরু হয়েছিল। ভারতেও সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়, সে ব্যাপারে তৎপর নয়া দিল্লি (New Delhi)। তাই বিশেষ নজরদারির ব্যবস্থা করতে চলেছে ভারত। সীমান্ত-এলাকায় ড্রোনের মাধ্যমে ২৪ ঘণ্টা নজরদারির বন্দোবস্ত করছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক (Defence Ministry)।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, সীমান্ত এলাকায় নজরদারিতে ড্রোন ব্যবহারের জন্য গত সপ্তাহেই দেশীয় ৬ ড্রোন বিক্রেতার সঙ্গে দেখা করেছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের আধিকারিকেরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এক আধিকারিক জানান, ড্রোনে নজরদারির বিষয়ে আগামী মাসেই আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা হতে পারে এবং আগামী বছরের মে মাসের মধ্যে সীমান্ত এলাকায় ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি সিস্টেম চালু হয়ে যেতে পারে।
প্রসঙ্গত, জম্মু-কাশ্মীর ও পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী এলাকা নিয়ে বরাবরই উদ্বিগ্ন নয়া দিল্লি। এর মধ্যে ইদানিংকালে আবার নতুন করে উদ্বেগ বাড়িয়েছে চিন। ফলে পাকিস্তান সীমান্তের পাশাপাশি চিন সীমান্তেও বর্তমানে উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি বিরাজ করে। তাই হামাসের মতো ভারতের উপর যাতে কেউ হামলা চালাতে না পারে, সে বিষয়ে তৎপর নয়া দিল্লি। সেজন্যই সীমান্তে নজরদারি বাড়াতে বিশেষ পদক্ষেপ করতে চলেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। এপ্রসঙ্গে বলা যায়, ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরই নরেন্দ্র মোদীর সরকার দেশের অস্ত্রাগারের উপর বিশেষ নজর দেয় এবং পুনর্মূল্যায়ন করে। এবার ইজরায়েলের উপর হামাসের হঠাৎ হামলার ঘটনার প্রেক্ষিতেই প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সীমান্তে নজরদারি সিস্টেম উন্নত করতে বিশেষ পদক্ষেপ করল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার রাত সওয়া ৯টা থেকে শুক্রবার ভোর ৩টে পর্যন্ত জম্মু সেক্টরে পাক রেঞ্জারদের সঙ্গে ভারতীয় জওয়ানদের ব্যাপক গুলি বিনিময় হয়। বর্ডার আউটপোস্ট টার্গেট করে পাক রেঞ্জার্স গুলি বর্ষণ করে বলে বিবৃতি দিয়েছে বিএসএফ। দু-পক্ষের গুলি বিনিময়ে এক জওয়ান আহতও হয়েছেন। কারও প্রাণহানি না হলেও এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। বহু ঘর-বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, স্থানীয়রা মর্টার সেল পেয়েছে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে বিএসএফ।