Operation Kaveri: ভাঙাচোরা এয়ারস্ট্রিপ, নেই আলো, রাতের অন্ধকারেও বায়ুসেনার সাহসী উদ্ধারকাজ দেখুন

Sudan Crisis: সুদানে আটকে পড়া ভারতীয়দের পোর্ট সুদানে আসতে বলা হয়েছে সেনাবাহিনীর বিমানে চেপে দেশে ফেরার জন্য। কিন্তু সংঘর্ষের জেরে বহু ভারতীয়ের পক্ষেই পোর্ট সুদানে পৌঁছনো সম্ভব হচ্ছে না। শুক্রবার আটকে পড়া ওই ভারতীয়দের উদ্ধারের জন্যই সুদানের ওয়াদি সাইদনার এয়ারস্ট্রিপে অবতরণ করানো হয় বায়ুসেনার সি-১৩০জে বিমান।

Operation Kaveri: ভাঙাচোরা এয়ারস্ট্রিপ, নেই আলো, রাতের অন্ধকারেও বায়ুসেনার সাহসী উদ্ধারকাজ দেখুন
লাইট ভিশন গগলস ব্যবহার করে চলে উদ্ধারকাজ।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 29, 2023 | 8:26 AM

নয়া দিল্লি: সুদানে (Sudan) গৃহযুদ্ধ থামার নাম নেই। সেনা ও আধা সামরিক বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষের জেরে প্রাণ হারাচ্ছেন শতাধিক মানুষ।সেই দেশে আটকে রয়েছেন বহু ভারতীয়ও (Indians)। তাদের উদ্ধার করতেই “অপারেশন কাবেরী” (Operation Kaveri) শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ভারতীয় বায়ু সেনা ও নৌসেনার তরফে যৌথ উদ্যোগে সুদানে আটকে পড়া ভারতীয়দের উদ্ধার করে আনা হচ্ছে। কতটা ঝুঁকি নিয়ে সেই উদ্ধারকাজ চলছে, সেটাই এবার সামনে আনল ভারতীয় সেনা বাহিনী। শুক্রবার রাতে সংঘর্ষরত সুদান থেকে উদ্ধার করে আনা হয় ১২১ জন ভারতীয়কে। রাতের অন্ধকারে রানওয়ের ছোট্ট এয়ারস্ট্রিপে বিমান অবতরণ করার সেই ঝুঁকিপূর্ণ ভিডিয়ো প্রকাশ করা হল।

ভারতীয় বায়ুসেনার তরফে জানানো হয়েছে, সি-১৩০জে হারকিউলিস ট্রান্সপোর্ট (C-130J Hercules Transport) এয়ারক্রাফ্টে উদ্ধারকাজ চালানো হচ্ছে। সুদানে আটকে পড়া ভারতীয়দের পোর্ট সুদানে আসতে বলা হয়েছে সেনাবাহিনীর বিমানে চেপে দেশে ফেরার জন্য। কিন্তু সুদানের দুই বাহিনীর সংঘর্ষের জেরে বহু ভারতীয়ের পক্ষেই পোর্ট সুদানে পৌঁছনো সম্ভব হচ্ছে না। শুক্রবার আটকে পড়া ওই ভারতীয়দের উদ্ধারের জন্যই সুদানের ওয়াদি সাইদনার এয়ারস্ট্রিপে অবতরণ করানো হয় বায়ুসেনার সি-১৩০জে বিমান। 

ওই এয়ারস্ট্রিপে বিমান অবতরণ করা ও ভারতীয়দের উদ্ধার করে ফিরিয়ে আনার গোটা প্রক্রিয়াটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ছিল বলেই বায়ুসেনার তরফে জানানো হয়েছে। এর কারণ হিসাবে বলা হয়েছে, ওই এয়ারস্ট্রিপটির অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয়। কোনও নেভিগেশনের ব্যবস্থা যেমন নেই, তেমনই জ্বালানি ভরা বা ল্যান্ডিং লাইট টুকুও নেই

রাতের অন্ধকারে বিনা আলোয় রানওয়েতে সুরক্ষিতভাবে অবতরণের জন্য বায়ুসেনার পাইলটরা নাইট ভিশম গগলস ব্যবহার করেন। বিমানে উপস্থিত ক্রু-রাও ইলেকট্রো-অপটিক্যাল বা ইনফ্রা-রেড সেন্সর ব্য়বহার করেন। বায়ুসেনার তরফে জানানো হয়েছে, খারতুম থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ওই এয়ারস্ট্রিপের উপরেও হামলা হতে পারে, এই আশঙ্কায় অবতরণের পরও বিমানের ইঞ্জিন চালু রাখা হয়েছিল। বায়ুসেনার স্পেশাল ফোর্স ইউনিটের আটজন গড়ুদা কম্য়ান্ডো আটকে পড়া ১২১ জন ভারতীয়কে সুরক্ষিতভাবে বিমানে তোলেন এবং তারপর নাইট ভিশন গগলস ব্য়বহার করেই বিমানটি নিয়ে ভারতের উদ্দেশে রওনা দেওয়া হয়।