Indian Army: কী ঘটছে অরুণাচলে? আকাশে লাগাতার যুদ্ধবিমানের গর্জন, মুহুর্মুহু চলছে গুলি
Indian Army: গমগম করছে অরুণাচল প্রদেশের আকাশ! একঝলকে দেখলে মনে হবে বোধহয় যুদ্ধ বেঁধে গিয়েছে। মুহর্মুহ বোমাবর্ষণ, গুলি চলছে! আকাশে চক্কর কাটছে ড্রোন, উড়ে যাচ্ছে একের পর এক যুদ্ধজাহাজ।

গমগম করছে অরুণাচল প্রদেশের আকাশ! একঝলকে দেখলে মনে হবে বোধহয় যুদ্ধই বেঁধে গিয়েছে। মুহুর্মুহু বোমাবর্ষণ, চলছে গুলি! আকাশে চক্কর কাটছে ড্রোন, উড়ে যাচ্ছে একের পর এক যুদ্ধজাহাজ।
কী এমন ঘটল অরুণাচলে?
আচমকা চিনের তরফ থেকে হামলা হলে কী করতে হবে? কীভাবে মোকাবিলা করতে পারবে ভারতীয় সেনা? নর্দার্ন ফ্রন্টিয়ারে প্রায় ৩ দিন ধরে সেই মহড়াই সেরে ফেলল ভারতীয় সেনার পদাতিক বাহিনী, বায়ুসেনা ও নৌসেনা। একেবারে আধুনিক যুদ্ধের রীতিনীতি মেনেই AI প্রযুক্তির ড্রোন, শত্রুকে নিশানা করে ধ্বংস করতে পারে এমন নজরদারি বিমান, বোমারু যুদ্ধবিমান উড়িয়ে অরুণাচল প্রদেশের গোপন সেনাঘাঁটিতে ৭২ ঘণ্টা ধরে মহড়া চালাল সেনার তিন বাহিনী, যার কোড নেম- ‘প্রচণ্ড প্রহার’।
এটি মূলত ইন্টিগ্রেটেড মাল্টি ডোমেন এক্সারসাইজ। সহজ ভাষায় বললে, ভারতীয় সেনার তিন বাহিনী কীভাবে একজোট হয়ে যুদ্ধ পরিস্থিতির মোকাবিলা করবে, হয়ে গেল তারই মহড়া। হিমালয়ের কোলে ইস্টার্ন কমান্ডের তত্ত্বাবধানে ভারতীয় সেনার তিন বাহিনীর নজরদারি, হামলার দক্ষতা ও আত্মরক্ষার ক্ষমতা – আরও একবার হাতেকলমে খতিয়ে দেখা হল ২৫ থেকে ২৭ মার্চ। মহড়া বলে কিন্তু প্রস্তুতিতে কোনও খামতি রাখা হয়নি। সূত্রের খবর, আর পাঁচটা মহড়ার চেয়ে ‘প্রচণ্ড প্রহার’ অনেকটাই আলাদা হল এবার। কেন? তবে কি এটা যুদ্ধের আগাম প্রস্তুতি? তার উত্তর দিতে অবশ্য মুখে কুলুপ সেনাকর্তাদের।
কী কী হল প্রচণ্ড প্রহার-এ? সেনার তরফে জানানো হয়েছে, শত্রুর উপর নজরদারিতে ব্যবহৃত বিমান বা স্পাই প্লেন, অস্ত্রবহনকারী হেলিকপ্টার, AI পাওয়ার্ড ড্রোন (ছিল সুইসাইড ড্রোনও), এমনকী ব্যবহার করা হয়েছিল স্যাটেলাইটও। সরাসরি না পৌঁছে, শুধুমাত্র রিমোট টিপে যাতে চিহ্নিত করা শত্রুঘাঁটি ধ্বংস করা যায়, সেই উদ্দেশে ওড়ানো হয় ‘আনম্যানড এরিয়াল ভেহিক্যাল’ বা UAV, তাতে বোঝাই ছিল বিস্ফোরক।
ভারতীয় সেনার তিন বাহিনীর কাছে যত আধুনিক সমরাস্ত্র আছে, সবই ব্যবহার করা হয়। বায়ুসেনা এনেছিল নজরদারি বিমান, নৌসেনা আনে সমুদ্রে বহুদূর পর্যন্ত নজরদারির জন্য রেডার, পদাতিক সেনা আনে এমন ড্রোন যেগুলি প্রতিকূল পরিস্থিতিতে সেনাকে এগিয়ে যেতে পথ দেখায়, এমনকী অন্ধকারেও।
সবচেয়ে বড় কথা, যুদ্ধ বাঁধলে অতি প্রতিকূল পরিস্থিতিতে কীভাবে এগিয়ে যাবে সেনা, একইসঙ্গে কীভাবে নিজের দেশের সেনাঘাঁটি ও গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ ও এলাকাকে রক্ষা করবে তারই হাতেকলমে মহড়া হয়ে গেল প্রচণ্ড প্রহারে! টার্গেটকে নির্দিষ্ট করে বা ‘লক’ করে কীভাবে সর্বশক্তিতে তার উপর আঘাত করতে হবে, গুলিতে ঝাঁঝরা করে দিতে হবে, দেখে নেওয়া হল এই ড্রিল-এ। ভারতীয় সেনার বোমারু বিমান আকাশ থেকে মাটিতে টার্গেট করে সাজানো ‘দুশমন’কে নিশ্চিহ্ন করে ফেলল। AI প্রযুক্তিতে পরিচালিত তিন রকমের ড্রোন (সোয়ার্ম, কামিকাজে ও মিউনিশন) ক্লোজ এয়ার কমব্যাট দেখাল হাতেকলমে।
আর এই গোটা মহড়াই হল লোকচক্ষুর আড়ালে। সেনার তরফে জানানো হয়েছে, সাধারণ মানুষের যাতে কোনও ক্ষতি না হয় সেই কারণে সবরকম সতর্কতা নেওয়া হয়েছিল। পাশাপাশি, শত্রুদেশের নজরদারি থেকে নিজেদের সমরাস্ত্রকে আড়ালে রাখতে সবরকম কমিউনিকেশন ব্লক করে দেওয়া হয়েছিল।





