মিউজিয়ামের পরিকল্পনা বাতিল, গুজরাটে ‘শ্রীরাম’-এর হাতে ধ্বংসের মুখে আইএনএস বিরাট

আইএনএস বিরাটকে সংগ্রহশালায় রূপান্তরিত করতে যে অনাপত্তি পত্র (নো অবজেকশন সার্টিফিকেট) প্রয়োজন, সেটা তাঁরা দিতে রাজি হচ্ছে না। একইসঙ্গে জাহাজটি বিক্রি করতেও তাঁরা আগ্রহী নয়। ফলে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়ার থেকে আর কোনও ভাবেই বাঁচানো যাচ্ছে না আইএনএস বিরাটকে।

মিউজিয়ামের পরিকল্পনা বাতিল, গুজরাটে ‘শ্রীরাম’-এর হাতে ধ্বংসের মুখে আইএনএস বিরাট
ছবি-টুইটার
Follow Us:
| Updated on: Feb 10, 2021 | 12:55 PM

নয়াদিল্লি: ভারতীয় নৌসেনা (Indian Navy) থেকে বছর চারেক আগেই অবসর নিয়ে ফেলেছিল আইএনএস বিরাট (INS Viraat)। তবে কথা ছিল, আগামীতে গোয়ার নৌসেনা ঘাঁটিতে সংগ্রহশালা হয়ে উঠবে সেটি। কিন্তু বিরাটকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করার পরিকল্পনায় রীতিমতো ‘সিলমোহর’ দিয়ে দিল ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক (Indian Defence Ministry)।

সূত্রের খবর, আইএনএস বিরাটকে বাঁচিয়ে রাখার শেষ মুহূর্তের পরিকল্পনা বাতিল করেছে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। প্রাক্তন এই ‘যোদ্ধাকে’ এমন এক সংস্থার হাতে রেখে দেওয়া হচ্ছে, যেখানে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হবে নৌসেনার অন্যতম গর্ব। কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে আগামী সপ্তাহে আপিল করতে চলেছে ইনভিটেক মেরিন কনসালট্যান্ট নামের এক বেসরকারি সংস্থা।

প্রাথমিকভাবে তাঁরাই ঠিক করেছিল, গোয়া সরকারের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বিরাটকে সংগ্রহশালায় পরিণত করবে। কিন্তু এনভিটেক সংস্থার হাতে ওই জাহাজ না এসে এখন গুজরাটের শ্রীরাম গ্রুপ অফ ইন্ডাস্ট্রিজের হাতেই পাকাপাকিভাবে রয়ে যাবে আইএনএস বিরাট। গুজরাটের ওই সংস্থা ভারতীয় নৌসেনার এই যুদ্ধজাহাজকে ভেঙে ফেলবে বলেই জানা গিয়েছে। অবসর নেওয়ার পর প্রাথমিকভাবে তাঁরাই অধিগ্রহণ করেছিল ওই জাহাজকে।

গোটা বিষয়ে বোম্বে হাইকোর্ট প্রতিরক্ষা মন্ত্রককে তাঁদের অবস্থান পরিষ্কার করতে বলেছে। তখন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, জাহাজটি অবসর নেওয়ার পর তার মালিকানা শ্রীরাম গ্রুপ অফ ইন্ডাস্ট্রিজ-এর হাতে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, এই মুহূর্তে আইএনএস বিরাটকে সংগ্রহশালায় রূপান্তরিত করতে যে অনাপত্তি পত্র (নো অবজেকশন সার্টিফিকেট) প্রয়োজন, সেটা তাঁরা দিতে রাজি হচ্ছে না। একইসঙ্গে জাহাজটি বিক্রি করতেও তাঁরা আগ্রহী নয়। ফলে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়ার থেকে আর কোনও ভাবেই বাঁচানো যাচ্ছে না আইএনএস বিরাটকে।

আরও পড়ুন: ‘যোগ্যতার সঙ্গে কাজ করে প্রাধান্য নেই, ঠান্ডা ঘরে বসারাই সামনের সারিতে’, বিস্ফোরক রাজীব

যদিও গত সেপ্টেম্বর মাসেই ওই সংস্থার চেয়ারম্যান এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর একাধিকবার জানিয়েছিলেন, নিলামে যে সবচেয়ে বেশি দাম দেবে ওই জাহাজটি তিনি বিক্রি করে দেবেন তাঁকেই। সংস্থার চেয়ারম্যান মুকেশ পটেল জানিয়েছিলেন, আমায় ১০০ কোটি দিলে জাহাজটি আমি বিক্রি করে দেব। আগে ১২৫ কোটিতে বিক্রি করব ভেবেছিলাম। কিন্তু যেহেতু আমি একজন দেশভক্ত, তাই ১০০ কোটিতে বিক্রি করতে রাজি।

সেপ্টেম্বর মাসে এই কথা বলার পর ডিসেম্বরের মধ্যে তিনি অবস্থান বদলে ফেলেছেন। এখন কোনও ভাবেই আইএনএস বিরাটকে বিক্রি করার আগ্রহ দেখাচ্ছেন না মুকেশ পটেল। ২০১৬ সালে ভারতীয় নৌসেনা থেকে অবসর নেয় আইএনএস। এরপরই একটি নিলামের মাধ্যমে ওই জাহাজটি কিনে নেয় শ্রীরাম গ্রুপ।

আরও পড়ুনমোদী-মমতাকে বিস্ফোরক চিঠিতে অভিযোগ সুদীপ্ত সেনের, কোটি কোটি টাকা নিয়েছেন শুভেন্দু-সুজন-অধীর-বিমানরা