Indian Railway: ঘুরে দাঁড়াচ্ছে রেল, যাত্রীভাড়া বাবদ একবছরে আয় বেড়েছে প্রায় ৭১ শতাংশ
অংরক্ষিত ক্ষেত্রে যাত্রী সংখ্যা ১৩৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। আর অংরক্ষিত ক্ষেত্র থেকে গত বছর ১ এপ্রিল থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত রেলের আয় হয়েছে ১০ হাজার ৪৩০ কোটি টাকা।
নয়া দিল্লি: নতুন বছরে ভারতীয় রেলের জন্য সুখবর। গত কয়েক বছর ধরে ধুঁকতে থাকা রেল পুনরায় ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে রেলের আয় বেড়েছে। গত বছরের এপ্রিল থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত যাত্রী বহনের ক্ষেত্রে রেলের আয় হয়েছে ৪৮ হাজার ৯১৩ কোটি টাকা। যেখানে ২০২১ সালে এই সময়কালে আয় ছিল ২৮ হাজার ৫৬৯ টাকা। অর্থাৎ রেলের আয় প্রায় ৭১ শতাংশ বেড়েছে।
গত বছর রেলের যাত্রী রিজার্ভেশনেও ২০২১ সালের তুলনায় অনেকটাই বেড়েছে। গত বছর ১ এপ্রিল থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত রেলের যাত্রী রিজার্ভেশন হয়েছিল ৫৯.৬১ কোটি। যেখানে ওই সময়কালে ২০২১ সালে যাত্রী রিজার্ভেশন হয়েছিল ৫৬.০৫ কোটি। অর্থাৎ যাত্রী রিজার্ভেশনের হার ৬ শতাংশ বেড়েছে। ট্রেনে যাত্রী বুকিং বাড়ার পাশাপাশি তার থেকে রেলের আয়ও বেড়েছে। গত বছর ১ এপ্রিল থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত যাত্রী রিজার্ভেশন থেকে রেলের আয় হয়েছিল ৩৮ হাজার ৪৮৩ কোটি টাকা। ২০২১ সালে এই সময়কালে যাত্রী রিজার্ভেশন থেকে রেলের আয় হয়েছিল ২৬ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। অর্থাৎ প্রায় ৪৬ শতাংশ আয় বেড়েছে।
কেবল সংরক্ষিত ক্ষেত্রে নয়, ট্রেনের অংরক্ষিত ক্ষেত্রেও গত বছর রেলের মোট যাত্রী সংখ্যা বেড়েছে এবং তার সঙ্গে বেড়েছে রেলের আয়। রেলের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত বছর ১ এপ্রিল থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত রেলের অংরক্ষিত ক্ষেত্রে যাত্রী হয়েছিল ৪০ হাজার ১৯৭ লক্ষ। ২০২১ সালে এই সময়কালে এই সংখ্যা ছিল ১৬ হাজার ৯৬৮। অর্থাৎ অংরক্ষিত ক্ষেত্রে যাত্রী সংখ্যা ১৩৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। আর অংরক্ষিত ক্ষেত্র থেকে গত বছর ১ এপ্রিল থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত রেলের আয় হয়েছে ১০ হাজার ৪৩০ কোটি টাকা। ২০২১ সালে এই অসংরক্ষিত ক্ষেত্রে যাত্রী থেকে রেলের আয় ছিল ২ হাজার ১৬৯ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক বছরের মধ্যে অংরক্ষিত ক্ষেত্র থেকে রেলের আয় বেড়েছে ৩৮১ শতাংশ। সবমিলিয়ে বলা যায়, নতুন করে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে রেল। কোভিড-আতঙ্ক কাটিয়ে দেশের স্বাভাবিক ছন্দে ফিরে আসা-ই এর অন্যতম কারণ বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, কোভিড মহামারীর জন্য ২০২০ ও ২০২১ সালে ভারত সহ গোটা বিশ্বের অর্থনীতি প্রায় ধসে পড়েছিল। লকডাউনের জেরে দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল রেল পরিষেবাও। পরে দূরপাল্লার ট্রেন চালু হলেও লোকাল ট্রেন চালু হতে প্রায় বছর ঘুরে যায়। এছাড়া বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রে যাতায়াতেও বিধি-নিষেধ ছিল। যার ফলে স্বাভাবিকভাবেই ভারতীয় রেলের আয় অনেকটা কমে যায়। তারপর রেলের আয় বৃদ্ধি করতে মরিয়া সরকার দ্রুতগতি সম্পন্ন, বিলাসবহুল ট্রেন বিভিন্ন জায়গায় চালু করে। যার ফল ইতিবাচক-ই হয়েছে। রেলের আয় ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।