ভয়-করোনা: শিখর ছুঁয়েছে ভারতের সংক্রমণ, কমার ইঙ্গিত কেমব্রিজের
কেমব্রিজের গবেষণায় দাবি এ বার নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ও বৃদ্ধির হার দুটোই কমবে।
ওয়শিংটন: লাগাতার ৪ লক্ষ ছাড়িয়ে যাওয়া করোনা (COVID 19) সংক্রমণ হ্রাস পেয়েছে গত ২ দিনে। সাড়ে ৩ লক্ষের নীচেই ঘোরাফেরা করছে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। এ বার সংক্রমণ কমার গতি অব্যাহত থাকবে বলেই জানাল কেমব্রিজের গবেষণা। কেমব্রিজ জাজ বিজনেস স্কুল অ্যান্ড দ্য ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ইকোনমিক সোশ্যাল রিসার্চের দাবি সামগ্রিক ভাবে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কমলেও অসম, হিমাচল প্রদেশ, তামিলনাড়ু ও ত্রিপুরা আক্রান্তের সংখ্যা আগামী দু’সপ্তাহ ধরে বাড়বে।
কেমব্রিজের গবেষণায় দাবি এ বার নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ও বৃদ্ধির হার দুটোই কমবে। এপ্রিলের মাঝামাঝি নতুন আক্রান্ত বৃদ্ধির হার ০.১ এর কাছাকাছি গিয়েছিল। সেটাই এখন শূন্যের কাছে। অল্প দিনেই ঋণাত্ম হবে বলে পূর্বাভাস কেমব্রিজের গবেষণায়। একই পূর্বাভাস দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ও আইআইটি কানপুরের গবেষক মনীন্দ্র আগরওয়ালও। প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা তথা আইআইটি হায়দরাবাদের অধ্যাপক মথুকুমালি বিদ্যাসাগর বলেছিলেন, “আমাদের আন্দাজ আর কয়েকদিনের মধ্যেই করোনা শিখরে উঠবে।” আইআইটি কানপুরের মনীন্দ্র আগরওয়ালের গাণিতিক মডেলের প্রসঙ্গ টেনে এনে তিনি জানান, পূর্বাভাস অনুযায়ী জুন মাসের শেষের দিকে ভারতে দৈনিক করোনা সংক্রমণ ২০ হাজারে নেমে যাবে।
তবে ভারতের বর্তমান করোনা পরিস্থিতি অত্যন্ত শোচনীয়। বিগত ২০ দিন ধরেই সংক্রমণ ৩ লক্ষের বেশি। এহেন পরিস্থিতিতে একেবারে বিধ্বস্ত হয়ে গিয়েছে দেশের একাধিক রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো। পাশাপাশি চিন্তা বাড়াচ্ছে করোনার ডবল মিউট্যান্ট স্ট্রেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ওই স্ট্রেনটিকে ‘ভ্যারিয়েন্ট অব কনসার্ন’-এর তকমা দিয়েছে। দেশের বিজ্ঞানীরাও মনে করছেন ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির পিছনে কাজ করছে এই স্ট্রেন। উল্লেখ্য, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লক্ষ ৪৮ হাজার ৪২১ জন। স্রেফ একদিনে করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৪ হাজার ২০৫ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩ লক্ষ ৫৫ হাজার ৩৩৮ জন।
আরও পড়ুন: দুশ্চিন্তার স্ট্রেনকে ‘ভারতীয় ধরন’ বলার বিপক্ষে কেন্দ্র, সহমত হু