দুশ্চিন্তার স্ট্রেনকে ‘ভারতীয় ধরন’ বলার বিপক্ষে কেন্দ্র, সহমত হু
কেন্দ্রের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা একবারও বি.১.৬১৭ স্ট্রেনকে 'ভারতীয় ধরন' বলে মন্তব্য করেনি।
নয়া দিল্লি: বহুরূপী করোনা (COVID 19)। আজ এই রূপে তো কাল অন্য। লাগাতার নিজের চারিত্রিক গঠন বদলে থাবা বসাচ্ছে মারণ ভাইরাস। সম্প্রতি দেশে ধরা পড়েছে করোনার নতুন স্ট্রেন বি.১.৬১৭-এর। এই স্ট্রেনের ফলেই দেশের করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও এই স্ট্রেনকে ‘ভ্যারিয়েন্ট অব কনসার্নের’ তকমা দিয়েছে। কিন্তু এই স্ট্রেনকে ‘ভারতীয় স্ট্রেন’ বলার বিপক্ষে কেন্দ্র। বিবৃতি দিয়ে এ কথা জানিয়েছে কেন্দ্র।
.@WHO has not associated the term #IndianVariant with B.1.617, now classified as Variant of Concern
Details here: https://t.co/AOypVKTkfm pic.twitter.com/VDouJyVmrN
— PIB India (@PIB_India) May 12, 2021
বিবৃতিতে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা একবারও বি.১.৬১৭ স্ট্রেনকে ‘ভারতীয় ধরন’ বলে মন্তব্য করেনি। কিন্তু বেশ কয়েকটি সংবাদ মাধ্যম এটিকে ‘ভারতীয় ধরন’ বলছে। সেই রিপোর্টগুলি ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে কেন্দ্র। কেন্দ্র সাফ জানিয়েছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ৩২ পাতার নথিতে একবারও ‘ভারতীয়’ কথারই উল্লেখ নেই। একই সুরে টুইট করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও। তারাও সাফ জানিয়েছে, কোনও দেশে প্রথম স্ট্রেন পাওয়া গেলে সেই দেশের নামে ওই স্ট্রেনের নামকরণ করার পক্ষে নয় হু। একমাত্র বিজ্ঞানসম্মত নামেই সেই স্ট্রেনকে চিহ্নিত করতে চায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
WHO does not identify viruses or variants with names of countries they are first reported from. We refer to them by their scientific names and request all to do the same for consistency. @PTI_News @PIB_India @ANI @timesofindia @htTweets @IndianExpress @the_hindu @MoHFW_INDIA
— WHO South-East Asia (@WHOSEARO) May 12, 2021
বি.১.৬১৭ স্ট্রেনকে ‘ভ্যারিয়েন্ট অব কনসার্ন’ তকমা দেওয়ার পর এ-ও জানিয়েছে যে বিশ্বের ৪৪টি দেশে ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে এই ধরন। এর আগে ব্রিটেন, ব্রাজিল ও দক্ষিণ আফ্রিকায় পাওয়া স্ট্রেনকেও ‘ভ্যারিয়েন্ট অব কনসার্নের’ তকমা দিয়েছে হু। উল্লেখ্য, এই বি.১.৬১৭ স্ট্রেনই হল ডবল মিউট্যান্ট স্ট্রেন।
ডবল মিউট্যান্ট স্ট্রেন: ‘ডবল মিউট্যান্ট স্ট্রেন’ হল দুটি স্ট্রেনের মিশ্রণ। ই৪৮৪কিউ (E484Q) ও এল ৪২৪আর (L424R) এই দুই স্ট্রেন মিলে তৃতীয় স্ট্রেন তৈরি হয়েছে। যা আগের থেকে বেশি ক্ষতিকারক। এই নতুন স্ট্রেনের ফলেই করোনা সংক্রমণ দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরাও। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজি আগেই জানিয়েছে জানুয়ারি থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত মহারাষ্ট্রের একাধিক নমুনা সংগ্রহ করে দেখা গিয়েছে, সেখানে ‘ডবল মিউট্যান্ট স্ট্রেন’ প্রায় ৬১ শতাংশ। পঞ্জাবে ৬৯ শতাংশের বেশি করোনা সংক্রমণের জন্য দায়ী ব্রিটেনের স্ট্রেন। দিল্লিতেও হানা দিয়েছে এই বিলিতি স্ট্রেন। ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ব্রিটেন তো দেশে ছিলই, পাশাপাশি এই ‘ডবল মিউট্যান্ট স্ট্রেনের’ বাড়বাড়ন্তের ফলে চিন্তায় স্বাস্থ্যমহল।
আরও পড়ুন: সঙ্কট মেটাতে ভারতেই জনসনের টিকা বানাতে চায় আমেরিকা