PM Narendra Modi: ডেনমার্কের রানির আমন্ত্রণ, নৈশভোজের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদীর রাজকীয় প্রবেশ, দেখুন ভিডিয়ো
Denmark Visit: সেই বৈঠকে দু'দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সেখানে দুই দেশের মধ্য বাণিজ্য বৃদ্ধি এবং পরিবেশ সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
কোপেনহেগেন: তিন দিনের ইউরোপ সফরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। প্রথম দিনেই জার্মানি গিয়ে চ্যান্সেলর ওলাফ স্কোলজ়ের সঙ্গে সাক্ষাতের পাশাপাশি দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে ১ হাজার ৫০ কোটি ডলারের চুক্তি সই হয়েছিল। সফরের দ্বিতীয় দিনে ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেট ফ্রেডেরিকসেনের (Mette Frederiksen) সঙ্গে বৈঠকের পাশাপাশি ডেনমার্ক নিবাসী ভারতীয়দের অনুষ্ঠানে অনুষ্ঠানে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী মোদীকে সম্মান প্রদর্শনের জন্য বিশেষ নৈশভোজের আয়োজন করেছিলেন ডেনমার্কের রানি দ্বিতীয় মার্গারেথ (Margrethe II)। আমালিয়েনবার্গ প্রাসাদে মোদীর জন্য এই বিশেষ নৈশভোজের আয়োজন করা হয়েছিল। ইউরোপ সফরের দ্বিতীয় দিনে এটাই ছিল প্রধানমন্ত্রীর সর্বশেষ কর্মসূচি। এরপরই ফ্রান্সে গিয়ে দ্বিতীয়বারের জন্য নির্বাচিত ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁক্রর (Emmanuel macron) সঙ্গে সাক্ষাতের কথা রয়েছে তাঁর। নৈশভোজের অনুষ্ঠানে ডেনমার্কের রানির সঙ্গে রাজকীয় ভাবে প্রবেশ করেন প্রধানমন্ত্রী।
#WATCH | Queen of the Kingdom of Denmark, Margrethe II hosted an official dinner for Prime Minister Narendra Modi at Amalienborg Palace in Copenhagen, Denmark. pic.twitter.com/HaU9vYre0y
— ANI (@ANI) May 3, 2022
মঙ্গলবার ডেনমার্ক সফরের শুরুতেই কোপেনহেগেনে ড্যানিশ প্রধানমন্ত্রী মেট ফ্রেডেরিকসেনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন মোদী। সেই বৈঠকে দু’দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সেখানে দুই দেশের মধ্য বাণিজ্য বৃদ্ধি এবং পরিবেশ সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে দু’মাসেরও বেশি সময় ধরে চলতে থাকা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে চলতে থাকা এই যুদ্ধ নিয়ে ভারতের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন মোদী। যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে দুই দেশের মধ্য বিভিন্ন বিষয়ে একাধিক চুক্তি সই হয়েছে। বেশ কয়েকটি মউ চুক্তি সাক্ষরিত হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। ২০১৪ সালে প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর বিদেশ সফরের দিকে বাড়তি নজর দিয়েছিলেন মোদী। করোনাকালে কিছুটা ব্যাহত হলেও বিদেশনীতি নিয়ে বরাবরই স্বতন্ত্র ভূমিকা নিয়েছে মোদী সরকার। এমনকী রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ছিল ভারতের বিদেশনীতি। যুদ্ধে সরাসরি নাক না গলিয়ে রাশিয়ার আগ্রাসন নীতির যেমন সমালোচনা করা হয়েছে, তেমনই কূটনৈতিক স্তরে পশ্চিম ও ইউরোপের দেশগুলির সঙ্গে সম্পর্কের সামঞ্জ্যতা বজায় রেখেছে ভারত। তার মধ্যে ভারতের কূটনীতিকে অন্য মাত্রা দিতে পারে মোদীর এই বিদেশ সফর, এমনটাই মনে করছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশ।