Crocodile: এত লোডশেডিং কেন? কুমির নিয়ে বিদ্যুৎ দফতরে হাজির কৃষকরা
Karnataka: হুবলি ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি বা হেসকম-এর (HESCOM) আওতাধীন এলাকায় বারবার লোডশেডিং হচ্ছিল। গত কয়েকদিন ধরে অনিয়মিত বিদ্যুৎ সরবরাহের অভিযোগ উঠেছে। ব্যাপক প্রভাব পড়েছে চাষাবাদে। তার জেরে বারবার বিক্ষোভও চলছে বিদ্যুৎ সরবরাহ অফিসে।
কর্নাটক: সকালে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকায় রাতে ক্ষেতের কাজ করতে গিয়েছিলেন কৃষকরা। দেখেন মস্ত এক কুমির ঢুকেছে ক্ষেতে। রাগে ক্ষোভে গ্রামশুদ্ধ লোককে ডেকে সেই কুমির বেঁধে বিদ্যুৎ সরবরাহ অফিসে নিয়ে গিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন তাঁরা। ওদিকে কুমির দেখে তো ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা বিদ্যুৎ সরবরাহ দফতরে। কর্নাটকের ঘটনা।
হুবলি ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি বা হেসকম-এর (HESCOM) আওতাধীন এলাকায় বারবার লোডশেডিং হচ্ছিল। গত কয়েকদিন ধরে অনিয়মিত বিদ্যুৎ সরবরাহের অভিযোগ উঠেছে। ব্যাপক প্রভাব পড়েছে চাষাবাদে। তার জেরে বারবার বিক্ষোভও চলছে বিদ্যুৎ সরবরাহ অফিসে। তারই চূড়ান্ত পরিণতি এই কুমির নিয়ে বিক্ষোভের ঘটনা।
ঘটনার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ও বন দফতরের কর্মীরা সেখানে হাজির হয়। ওই কুমিরটিকে উদ্ধার করে কাছের একটি বড় জলাশয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। আশপাশ কোনও নদী থেকে কুমিরটি ওই চাষের জমিতে শিকারের সন্ধানে ঢুকে পড়েছিল বলে অনুমান। বিক্ষোভ থামাতে শেষ পর্যন্ত চাষিদের অন্তত দিনের বেলা পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বিদ্যুৎ দফতর।
সাম্প্রতিককালে বৃষ্টিপাতে ঘাটতির জেরে প্রভাব পড়েছে চাষাবাদে। দিনে বিদ্যুৎ আর পর্যাপ্ত চাষের জল না পেয়ে রাতেও কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন কৃষকরা। তাতেই জীবনের ঝুঁকি থেকে যাচ্ছে। ক্ষেতে বিষধর সাপ এমনকী কুমির কিংবা ঘড়িয়াল ঢুকে পড়ার আশঙ্কা ছিলই। ঘটলও তাই। তবে কৃষকদের এমন অভিনব প্রতিবাদ বেশ শোরগোল ফেলে দিয়েছে।