Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

কেউ শীর্ষাসনে, কারোর আবার নির্জলা উপবাস, অভিনব প্রতিবাদ কেদারনাথ মন্দিরের পুজারিদের

কেদারনাথ তীর্থ পুরোহিত সমাজের এক সদস্য বলেন, "এ ভাবে আমাদের অধিকার কেড়ে নেওয়া হবে, আমরা তা কখনওই মেনে নেব না। আপাতত প্রতীকী প্রতিবাদ করলেও দ্রুত আমাদের দাবি পূরণ না করা হলে বড়সড় আন্দোলনের পথেই হাঁটা হবে"।

কেউ শীর্ষাসনে, কারোর আবার নির্জলা উপবাস, অভিনব প্রতিবাদ কেদারনাথ মন্দিরের পুজারিদের
শীর্ষাসনে প্রতিবাদ দেখাচ্ছেন মন্দিরের আচার্য। ছবি:ANI
Follow Us:
| Updated on: Jun 16, 2021 | 3:07 PM

কেদারনাথ: হাড় কাঁপানো ঠাণ্ডায় শীর্ষাসন। কেদারনাথ মন্দিরের সামনে এ ভাবেই প্রতিবাদ প্রদর্শন করছেন আচার্য সন্তোষ ত্রিবেদী। তাঁর দাবি, দ্রুত উত্তরাখণ্ড চারধাম দেবস্থানম ম্যানেজমেন্ট বোর্ড তুলে নিতে হবে, নাহলে এভাবেই তিনি শীর্ষাসন যোগভঙ্গিতে প্রতিবাদ প্রদর্শন করবেন।

বিগত প্রায় এক সপ্তাহ ধরেই কেদারনাথ মন্দিরের আচার্য-পুরোহিতরা প্রতিবাদ করছেন। এর আগে রবিবার মন্দিরের পুরোহিতরা নির্জলা উপবাস করেও প্রতিবাদ করেন। মন্দিরের পুজারিদের দাবি, রাজ্য সরকার চারধাম যাত্রা সহ গোটা ব্যবস্থাপনাটি দেখভালের জন্য যে বোর্ড তৈরি করেছেন, তা পুরোহিত তথা মন্দিরের চিরাচরিত নিয়ম-রীতিরও বিরোধী। তাই দ্রুত এই বোর্ডকে প্রত্যাহার করতে হবে এবং চারধাম সংক্রান্ত যাবতীয় ব্যবস্থাপনা সংশ্লিষ্ট মন্দির কর্তৃপক্ষের উপরই ছেড়ে দিতে হবে।

এ দিন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া শীর্ষাসনে প্রতিবাদের প্রেক্ষিতে আচার্য সন্তোষ ত্রিবেদী বলেন, “আমি ৭ দিন ধরে এভাবেই প্রতিবাদ করব. যদি রাজ্য সরকার ওই বোর্ড প্রত্যাহার না করে, তবে বড় আকারে আন্দোলন শুরু করা হবে।”

কেদারনাথ তীর্থ পুরোহিত সমাজের তরফে জানানো হয়, আপাতত মৌন প্রতিবাদে আন্দোলন সীমাবদ্ধ থাকলেও দ্রুত ওই বোর্ড কমিটি প্রত্যাহার না করা হলে আন্দোলন আরও জেরদার করা হবে। মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়, বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী তিরথ সিং রাওয়াত আগেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে তিনি মুখ্যমন্ত্রী হলে ওই বোর্ড গঠনের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করবেন। কিন্তু বোর্ড প্রত্যাহারের বদলে তা আকারে আরও বাড়ানো হচ্ছে। এটি কোনও মতেই বরদাস্ত করা হবে না।

কেদারনাথ তীর্থ পুরোহিত সমাজের এক সদস্য বলেন, “এ ভাবে আমাদের অধিকার কেড়ে নেওয়া হবে, আমরা তা কখনওই মেনে নেব না। আপাতত প্রতীকী প্রতিবাদ করলেও দ্রুত আমাদের দাবি পূরণ না করা হলে বড়সড় আন্দোলনের পথেই হাঁটা হবে”।

উত্তরাখণ্ড সরকারের নয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এই বোর্ডই চারধাম অর্থাৎ কেদারনাথ, বদ্রীনাথ, গঙ্গোত্রী ও যমুনেত্রীতে আগত পুণ্যার্থী সংখ্যা থেকে শুরু করে অনলািনে পুজোর বুকিং, মন্দিরে বিগ্রহের অভিষেক সহ পুজোর যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেবে। দীর্ঘ বছর ধরে সংশ্লিষ্ট মন্দিরের কমিটি ও রাজ্য সরকারই এই সিদ্ধান্ত নিয়ে আসছিল। নতুন বোর্ড মন্দিরের পুজারিদের অধিকার কেড়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ।

আরও পড়ুন: ‘রক্ষাকবচহীন’ টুইটার, সংস্থার এই পরিণতির কারণ জানালেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ