‘রক্ষাকবচহীন’ টুইটার, সংস্থার এই পরিণতির কারণ জানালেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ

উত্তরপ্রদেশের পুলিশের অভিযোগ, গাজিয়াবাদে ওই মুসলিম বৃদ্ধকে নিগ্রহের ঘটনায় সাম্প্রদায়িক রঙ দেওয়ার চেষ্টা করেছে টুইটার।

'রক্ষাকবচহীন' টুইটার, সংস্থার এই পরিণতির কারণ জানালেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ
ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: Jun 16, 2021 | 2:20 PM

নয়া দিল্লি: আইনি রক্ষা কবচ হারাল টুইটার। কেন্দ্রের নয়া তথ্য ও প্রযুক্তি আইন না মানায় সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থার কাছ থেকে আইনি রক্ষাকবচ তুলে নিল কেন্দ্র। ইতিমধ্যেই গাজিয়াবাদকাণ্ডে উত্তর প্রদেশ পুলিশের তরফে টুইটারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। কেন্দ্রের তরফেও জানানো হয়েছে, ওই বিতর্কিত পোস্টটি যিনি করেছেন, তার পাশাপাশি টুইটারকেও আইনি শাস্তির মুখে পড়তে হবে।

টুইটারের আইনি সুরক্ষা তুলে নেওয়া নিয়ে একাধিক প্রশ্ন ওঠায় কেন্দ্রীয় তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী রবি শঙ্কর প্রসাদ নিজেই সমস্ত প্রশ্নের জবাব দেন। তিনি একাধিক টুইটে জানান, টুইটার কেন্দ্রের নতুন আইন না মানায় আইনি সুরক্ষা তুলে নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, “গত ২৬ মে কেন্দ্রের তরফে যে নয়া গাইডলাইন জারি করা হয়েছিল, তা মানতে ব্যর্থ হয়েছে টুইটার। সোশ্যাল মিডিয়া ওই সংস্থাকে সুযোগ দেওয়া হলেও তারা উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবেই সেই নিয়ম মানেনি।”

কেন্দ্রের নয়া আইনের ব্য়াখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, “ভারতের সংস্কৃতি এর ভৌগলিক অবস্থানের মতোই বিশাল। বেশ কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায়, সোশ্যাল মিডিয়ায় সহযোগিতায় সামান্য বিষয়ও বড় আকার ধারণ করতে পারে, বিশেষ করে ভুয়ো খবরের ক্ষেত্রে। এই গাইডলাইন আনার অন্যতম প্রধান কারণ ছিল এই বিষয়টি।”
টুইটারকে নিয়ে কটাক্ষ করে রবিশঙ্কর প্রসাদ জানান, টুইটার নিজেকে বাক স্বাধীনতার পতাকাধারী বলে দাবি করলেও তারা ইচ্ছাকৃতভাবেই এই গাইডলাইন অনুসরণ করেননি। একইসঙ্গে ব্যবহারকারীদের সমস্যার সমাধান করতে ব্যর্থ হয়েছে টুইটার। কেন্দ্রের আইন অনুযায়ী, সমস্যা সমাধানের জন্য যে কমপ্লায়েন্স অফিসার নিয়োগের কথা বলা হয়েছিল, তা তৈরি করা হয়নি। বিকৃত ভিডিয়োর ক্ষেত্রেও টুইটার লাইক ও ডিসলাইকের ভিত্তিতেই তা চিহ্নিত করে।

উত্তর প্রদেশের যে ঘটনার ভিত্তিতে টুইটারের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে, সে বিষয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “উত্তর প্রদেশে যা হয়েছে, তা ভুয়ো খবর নিয়ে টুইটার যে স্বেচ্ছাচারিতা করে, তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ। তথ্যের সত্যতা যাচাই করা নিয়ে টুইটার অতি উৎসাহ দেখালেও উত্তর প্রদেশের মতো একাধিক ভুয়ো ঘটনার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে ব্য়র্থ হযেছে। “

উত্তরপ্রদেশের পুলিশের অভিযোগ, গাজিয়াবাদে ওই মুসলিম বৃদ্ধকে নিগ্রহের ঘটনায় সাম্প্রদায়িক রঙ দেওয়ার চেষ্টা করেছে টুইটার। নকল তাবিজ বিক্রি করার জন্যই ওই বৃদ্ধকে মারধর করেছিল অভিযুক্তরা। ঘটনায় হিন্দু-মুসলিম উভয় ধর্মের মানুষই যুক্ত ছিল। টুইটার কর্তৃপক্ষকে এই বিষয়ে অবগত করা হলেও তারা ভিডিয়োটিকে বিকৃত বলে চিহ্নিত করেনি।