Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Kerala Governor Arif Khan: আমাকে মারধরের ষড়যন্ত্র করছেন মুখ্যমন্ত্রী, গুরুতর অভিযোগ রাজ্যপালের

Kerala Governor Arif Khan: কেরলের রাজ্যপালের অভিযোগ, এসএফআই ওই দিন তাঁকে শারীরিকভাবে আঘাত করতে চেয়েছিল। আর তাদের সক্রিয়ভাবে সহায়তা করেছে পুলিশ। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে তারা ওই কাজ করতে বাধ্য হয়েছে।

Kerala Governor Arif Khan: আমাকে মারধরের ষড়যন্ত্র করছেন মুখ্যমন্ত্রী, গুরুতর অভিযোগ রাজ্যপালের
নতুন স্তরে কেরলের রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত (ফাইল ছবি) Image Credit source: PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 12, 2023 | 1:33 PM

তিরুবনন্তপুরম: তাঁকে শারীরিকভাবে আঘাত করার ষড়যন্ত্র করছেন মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন! গুরুতর অভিযোগ করলেন কেরলের রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান। সম্প্রতি নয়া দিল্লি যাওয়ার জন্য তিরুবনন্তপুরম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাচ্ছিলেন কেরলের রাজ্যপাল। সেই সময় ক্ষমতাসীন দল সিপিআইএম-এর ছাত্র সংগঠন এসএফআই-এর সদস্যরা তাঁর কনভয় আটকে বিক্ষোভ দেখায়। যা নিয়ে এই মুহূর্তে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। এরমধ্যেই, মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এই বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন রাজ্যপাল। তাঁর অভিযোগ, তাঁকে শারীরিকভাবে আঘাত করার জন্য সমন্বিত প্রচেষ্টা চলছে। যার সঙ্গে জড়িত আছেন স্বয়ং বিজয়ন।

কেরলের রাজ্যপালের অভিযোগ, এসএফআই ওই দিন তাঁকে শারীরিকভাবে আঘাত করতে চেয়েছিল। আর তাদের সক্রিয়ভাবে সহায়তা করেছে পুলিশ। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে তারা ওই কাদ\জ করতে বাধ্য হয়েছে। আরিফ খান বলেন, “কোথাও মুখ্যমন্ত্রীর অনুষ্ঠান চললে, সেখানে বিক্ষোভকারীদের গাড়ি যেতে দেওয়া হবে? পুলিশ কি কাউকে মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ির কাছে আসতে দেয়? কিন্তু, আমার ক্ষেত্রে সেটাই হয়েছে। তারপর দেখলাম, রাস্তার পাশে বিক্ষোভকারীদের গাড়ি দাঁড়িয়ে রয়েছে। আমার উপর হামলার পর, পুলিশ তাদের ধাক্কা মেরে সেই গাড়িতে তুলে দিচ্ছে, আর তারা পালাচ্ছে। অতএব, এর পিছনে মুখ্যমন্ত্রীর হাত রয়েছে। আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই, আমাকে শারীরিকভাবে আঘাত করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী ষড়যন্ত্র করছেন এবং এদের পাঠাচ্ছেন। তিরুবনন্তপুরমের রাস্তা এখন গুন্ডাদের দখলে।”

আরিফ খানের অভিযোগ, বিক্ষোভকারীরা শুধু তাঁকে কালো পতাকাই দেখায়নি, তাঁর গাড়িতে আঘাতও করেছিল। কিন্তু, তিনি গাড়ি থেকে নেমে রুখে দাঁড়াতেই তারা পালিয়ে গিয়েছিল। কারা হামলা চালিয়েছে, তা পুলিশ ভালভাবেই জানত বলে দাবি করেছেন রাজ্যপাল। তিনি বলেছেন, “কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ থাকলে, বেচারা পুলিশ কী করবে?” তিনি আরও বলেছেন, রাজনৈতিক মতবিরোধ শারীরিক হিংসায় পরিণত হওয়া উচিত নয়। সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, তিনটি জায়গায় রাজ্যপালের গাড়ি আটকে কালো পতাকা দেখান এসএফআই কর্মীরা। এর মধ্যে দুটি জায়গায় বিক্ষোভকারীরা রাজ্যপালের গাড়িতে চাপরও মারে। তবে পুলিশের দাবি, জানিয়েছে, একটি জায়গাতেই রাজ্যপালের গাড়ি আটকেছিল এসএফআই। ওই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত সাত জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

আসরে নেমে পড়েছে বিজেপিও। কেরলের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর, এই ঘটনার প্রেক্ষিতে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। কংগ্রেস এবং বাম দল – উভয়ের প্রভাব মুক্ত হলে তবেই কেরলের উন্নতি সম্ভব বলে দাবি করেছেন তিনি।