AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

অতিরিক্ত ফি মকুবের দাবিতে মন্ত্রীর দ্বারস্থ অভিভাবকরা, জবাবে মন্ত্রী বললেন ‘মরে যান’!

Madhya Pradesh Minister's "Go, die" Comment: অভিভাবকেরা আর্থিক সমস্যার কথা জানিয়ে মন্ত্রীকে গোটা বিষয়ে হস্তক্ষেপ ও স্কুল ফি কমানোর আবেদন জানান। যদি স্কুল শিক্ষা দফতরই তাদের অভিযোগ না শোনে, তবে তারা কার কাছে যাবেন, এই কথা বলতেই রাগে ফেটে পড়েন মন্ত্রী।

অতিরিক্ত ফি মকুবের দাবিতে মন্ত্রীর দ্বারস্থ অভিভাবকরা, জবাবে মন্ত্রী বললেন 'মরে যান'!
স্কুল শিক্ষামন্ত্রী ইন্দর সিং পরমার।
| Updated on: Jun 30, 2021 | 2:17 PM
Share

ভোপাল: করোনাকালেও নিয়ম ভেঙে অতিরিক্ত ফি নিচ্ছে স্কুলগুলি। এই সমস্যার সমাধান চেয়ে তাই স্কুল শিক্ষা মন্ত্রী ইন্দর সিং পরমারের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিভাবকরা। সুরাহা তো দূরের কথা, জবাবে মন্ত্রী বললেন, “মরে যান”। মধ্য প্রদেশের স্কুল শিক্ষা মন্ত্রীর এই মন্তব্য ঘিরে শুরু  হয়েছে বিতর্ক। অভিভাবক ও বিরোধী দল কংগ্রেসের তরফে মন্ত্রীর অপসারণের দাবি তোলা হয়েছে।

সম্প্রতিই মধ্য প্রদেশ হাইকোর্টের তরফে জানানো হয় যে, করোনাকালে স্কুলগুলি কেবল টিউশন ফি-ই নিতে পারবে। এছাড়া অতিরিক্ত কোনও টাকা নিতে পারবে না। কিন্তু অভিভাবকের অভিযোগ, অধিকাংশ স্কুলই এই নিয়ম অমান্য করে অতিরিক্ত টাকা নিচ্ছে। এই অভিযোগ নিয়েই মধ্য প্রদেশ পালক মহাসংঘের ব্যানারে ৯০ থেকে ১০০ জন স্কুল শিক্ষামন্ত্রী ইন্দর সিং পরমারের সঙ্গে দেখা করতে যান।

অভিভাবকেরা আর্থিক সমস্যার কথা জানিয়ে মন্ত্রীকে গোটা বিষয়ে হস্তক্ষেপ ও স্কুল ফি কমানোর আবেদন জানান। যদি স্কুল শিক্ষা দফতরই তাদের অভিযোগ না শোনে, তবে তারা কার কাছে যাবেন, এই কথা বলতেই রাগে ফেটে পড়েন মন্ত্রী। তিনি বলেন, “মরে যান। আপনাদের যা ইচ্ছে, তাই করুন।”

মন্ত্রীর কাছ থেকে এ হেন জবাব পেয়ে কার্যত ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা। অন্যদিকে বিরোধী দল কংগ্রেসও মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৈহানের কাছে অপসারণের দাবি দাবি জানিয়েছেন। রাজ্য কংগ্রেসের মুখপাত্র নরেন্দ্র সালুজা বলেন, “উনি একজন নির্লজ্জ ব্যক্তি। অভিভাবকদের সংগঠন তাঁর কাছে সমস্যার সমাধানের জন্য গিয়েছিল। উনি দায়িত্ব-জ্ঞানহীনের মতো আচরণ করেছেন। ওনাকে দ্রুত পদ থেকে সরানো উচিত”। অন্যদিকে, প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়া এবং ওই মন্ত্রী যদি নিজেই পদত্যাগ না করেন, তবে তাঁকে যেন মুখ্যমন্ত্রী অপসারণ করেন, এই দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন অভিভাবকরাও।

আরও পড়ুন: দূষণ বাড়ায় এবার যমুনায় মাছ ধরা নিষিদ্ধ করল দিল্লি সরকার