Mahua Moitra: সরকারি বাংলো ছাড়ার নোটিসকে চ্যালেঞ্জ করে এবার দিল্লি হাইকোর্টে মহুয়া
Mahua Moitra: এর আগে আরও দু-বার বাংলো খালি করার নোটিস পাঠায় কেন্দ্র। কিন্তু, সেই নোটিসে তোয়াক্কা করেননি মহুয়া মৈত্র। এরপর গত মঙ্গলবার মহুয়াকে অবিলম্বে বাংলো খালি করার নোটিস পাঠানো হয়েছে। এবার বাংলো ছাড়ার জন্য ডিরেক্টরেট অব এস্টেটের একদল আধিকারিককে পাঠানো হবে বলেও সূত্র মারফৎ জানা যায়। সেই নোটিসের পরই দিল্লি হাইকোর্টে গেলেন মহুয়া।
নয়া দিল্লি: এত সহজে বাংলো ছাড়বেন না! সরকারি বাংলো ছাড়ার জন্য মহুয়া মৈত্রকে তিনবার নোটিস দিয়েছে কেন্দ্র। এবার বাংলো ছাড়ার জন্য ডিরেক্টরেট অব এস্টেটের একদল আধিকারিককে পাঠানো হবে বলেও সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছিল। তবে আধিকারিক পাঠানোর আগেই আদালতে পৌঁছলেন বহিষ্কৃত তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। কেন্দ্রের বাংলো ছাড়ার নোটিসকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বৃহস্পতিবার দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
আদালত সূত্রে খবর, সরকারি বাংলো ছাড়া নিয়ে কেন্দ্রের নোটিসকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মহুয়া মৈত্রের আবেদন গ্রহণ করেছে দিল্লি হাই কোর্ট। বিচারপতি গিরীশ কাঠপালিয়ার বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হবে। শীঘ্রই শুনানি হবে।
প্রসঙ্গত, সংসদ- বিরুদ্ধ কাজের অভিযোগে গত ৮ ডিসেম্বর মহুয়া মৈত্রকে সংসদ থেকে বহিষ্কৃত করা হয়েছে। তিনি ব্যবসায়ী হীরানন্দ দর্শানিকে সংসদীয় ই-মেইলের আইডি, পাসওয়ার্ড দিয়েছেন এবং তাঁর থেকে টাকা নিয়ে সংসদে প্রশ্ন তুলেছেন বলে অভিযোগ। যদিও মহুয়া মৈত্রকে অনৈতিকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে সরব হয় তৃণমূল, কংগ্রেস-সহ বিরোধী দলগুলি। তবে বিতর্কের মধ্যেই সাংসদ কোটায় পাওয়া বাংলো খালি করার জন্য মহুয়া মৈত্রকে নোটিস দেয় কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন ও আবাসন মন্ত্রকের অন্তর্গত ডিরেক্টরেট অফ এস্টেটস (ডিওই)। ৭ জানুয়ারির মধ্যে তাঁকে বাংলো খালি করতে বলা হয়। এই নোটিসকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যান তৃণমূল নেত্রী। কিন্তু, এই বিষয়ে দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন করার কথা জানায় সুপ্রিম কোর্ট। তখন মহুয়া মৈত্র হাই কোর্টে যাননি। এর মধ্যে আরও দু-বার বাংলো খালি করার নোটিস পাঠায় কেন্দ্র। গত মঙ্গলবারই মহুয়াকে অবিলম্বে বাংলো খালি করার নোটিস পাঠানো হয়েছে। সেই নোটিসের পরই দিল্লি হাইকোর্টে গেলেন মহুয়া।