Online Fraud: ব্যাডমিন্টন সামগ্রী কেনার জন্য অনলাইনে ৩ লক্ষ টাকা পাঠিয়ে ফাঁপরে ব্যক্তি, পুলিশি অভিযানে আটক ২
প্রতারণার শিকার অভিযোগকারী ব্যক্তি পুলিশকে জানিয়েছেন, ফেসবুকে একজনের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়েছিল যিনি নিজেকে বিখ্যাত ব্যাডমিন্টন সামগ্রী প্রস্তুতকারী সংস্থার প্রতিনিধি হিসেবে পরিচয় দিয়েছিলেন।
নয়া দিল্লি: ২৫ বছর বয়সী এক যুবককে গ্রেফতার করছে পুলিশ। তাঁর শ্যালিকাকেও আটক করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়াকে (Social Media) হাতিয়ার করে ওই দু’জন অনলাইনে প্রতারণা করত। সোশ্যাল মিডিয়া ওয়েবসাইটে নিজেদের বিখ্যাত ব্যাডমিন্টন সামগ্রী প্রস্তুতকারক সংস্থার প্রতিনিধি বলে পরিচয় দিয়ে প্রতারণা চক্র ফেঁদেছিল ওই দু’জন। পুলিশ জানিয়েছে, প্রতারণার টাকা যে অ্যাকাউন্টে যেত, সেটি সুমিত কাশ্যপ নামের ওই ব্যক্তি ও শ্যালিকার। জানা গিয়েছে দু’জনই দিল্লির শাহদরার বাসিন্দা।
পুলিশ জানিয়েছে, কাশ্যপকে গ্রেফতারির পর তাঁর থেকে ২টি মোবাইল ফোন, একটি ব্যাঙ্ক পাসবুক, ১টি ব্যাঙ্কের চেকবুক বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সেপ্টেম্বর মাসে গোটা ঘটনার বিষয়টি সামনে আসে। এই দু’জনের প্রতারণার শিকার একজনের থেকে অভিযোগ পাওয়া মাত্র মামলা রুজু করে তদন্তে নামে পুলিশ।
প্রতারণার শিকার অভিযোগকারী ব্যক্তি পুলিশকে জানিয়েছেন, ফেসবুকে একজনের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়েছিল যিনি নিজেকে বিখ্যাত ব্যাডমিন্টন সামগ্রী প্রস্তুতকারী সংস্থার প্রতিনিধি হিসেবে পরিচয় দিয়েছিলেন। ওই ব্যক্তির কাছ থেকে ৩ লক্ষ ৩ হাজার ৫০০ টাকা দামের একটি ব্যাডমিন্টন কিট অর্ডার করে অভিযোগকারী। অনলাইনেই পেমেন্ট করে দেওয়া হয়েছিল। প্রতারকের দেওয়া অ্যাকাউন্ট নম্বরেই ওই টাকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। টাকা পাওয়ার পর অভিযোগকারীর মেসেজের রিপ্লাই করা বন্ধ করে দেয় ওই প্রতারক। এমনকী তাঁকে কোনও টেনিস কিটও পাঠানো হয়নি। বাধ্য হয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করতে বাধ্য হন প্রতারিত।
দিল্লি পুলিশের এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, অভিযোগ পেয়েই তদন্তে নামে পুলিশ। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সূত্র ধরে সুমিত ও তাঁর শ্যালিকাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জেরায় পুলিশ জানিয়েছে, তাঁর সঙ্গে ১১ বছর আগে এক মহিলার পরিচয় হয়েছিল এবং তাঁর মাধ্যমেই আফজল খান ও সুমিত আয়ানির সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। তাদের মাধ্যমেই প্রতারণার ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ে সুমিত। সুমিত জানিয়েছে, তাঁকে ৪০ শতাংশ কমিশন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল।