Pune Doctor: রাখে গণেশ মারে কে! বেটি বাঁচাতে অভিনব উদ্যোগ ডাক্তারবাবুর
সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, একটি ম্যাটারনিটি কাম মাল্টি স্পেশালিটি হাসপাতালের কর্ণধার এই চিকিৎসক।
পুণে: এখনও আমাদের দেশের বেশ কিছু অংশে পুত্র ও কন্যা সন্তান নিয়ে এখনও বিস্তর তারতম্য রয়েছে। সামাজিক অগ্রগতি হলেও কিছু মানুষ এখনও পুরনো চিন্তাধারা থেকে বেরিয়ে আসতে পারেননি। সেই কারণে অনেক সময় ভ্রুণের লিঙ্গ নির্ধারণ এবং কন্যা সন্তান হত্যার মতো ঘটনা এখনও সংবাদপত্র প্রকাশিত হয়। কন্যা সন্তানদের আগলে রাখতে অভিনব পন্থা নিয়েছেন পুণের এক চিকিৎসক। গোটা দেশের মানুষকে নারী ভ্রুণ হত্যার বার্তা দিতে এবং তাদের উদ্বুদ্ধ করতে তাঁর হাসপাতালে কোনও কন্যা সন্তান জন্ম নিলে তাঁর থেকে নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন ডাঃ গণেশ রাখ।
সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, একটি ম্যাটারনিটি কাম মাল্টি স্পেশালিটি হাসপাতালের কর্ণধার এই চিকিৎসক। পুণের হদপসর পাড়া এলাকায় এই হাসপাতালটি রয়েছে। তাঁর ‘বেটি বাঁচাও’ কর্মসূচি সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে নিয়েছে। ১১ বছর আগে অভিনব এই উদ্যোগ নিয়েছিলেন গণেশ এবং এখনও তাঁর হাসপাতালে কোনও গর্ভবতী কন্যাসন্তানের জন্ম দিলে তিনি তাঁর থেকে কোনও ফি নেন না। এখনও অবধি তাঁর হাত ধরে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ২৪০০ জন কন্যাসন্তানের জন্ম হয়েছে।
এমনকী হাসপাতালে জন্ম নেওয়া কন্যাসন্তানদের অভিনব কায়দায় স্বাগত জানান সেখানকার কর্মীরা। কোনও গর্ভবতী মহিলা যখন কন্যা সন্তানের জন্ম দেন, সেখানে জাঁকজমক করে, কেক কেটে নতুন অতিথি আবির্ভাব উদযাপন করা হয়। এর পাশাপাশি জন্মদাত্রীর ওপর ফুল ছিটিয়ে তাঁকে সম্মান জানানোই গণেশ পরিচালিত হাসপাতালের নীতি। এমনকী হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর নবজাতক কন্যা সন্তান ও তাঁর মাকে বাড়ি পৌঁছে যাওয়ার জন্য অটোর বন্দোবস্ত করে দেন ওই চিকিৎসক।
সংবাদ সংস্থা এএনআইকে চিকিৎসক বলেন, “কেক কেটে, মিষ্টি বিলি করে কন্যা সন্তানের জন্ম আমরা উদযাপন করি। ১১ বছরে কমপক্ষে ২ হাজার ৪৩০ জন কন্যা সন্তান এই হাসপাতালে আমাদের হাত ধরে জন্মগ্রহণ করেছে। ২০১২ সালের আমাদের নানা অভিজ্ঞতা হয়েছে। কন্যা জন্ম নেওয়ায় অনেক সময়ই পরিবারের লোকজন তাঁকে দেখতে আসত না। ওটা দেখেই আমি অবাক হয়ে গিয়েছিলাম এবং এই পন্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিই।” গণেশ জানিয়েছেন, পরিসংখ্যান থেকে জানা গিয়েছে, শেষ ১০ বছরে প্রায় ৬ কোটি কন্যা ভ্রুণ নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। এটাকে নরহত্যা বলেই মনে করেন ওই চিকিৎসক।