Liver Tissue Transplant: ভাই লিভার দান করবে দাদাকে, মত নেই স্ত্রীর, মামলা গড়াল হাইকোর্টে

Bhopal: আদালত শুনানি চলাকালীন অঙ্গ প্রতিস্থাপন আইনকে সামনে রেখে জানায়, কোনও ব্যক্তি চাইলে স্বেচ্ছায় তাঁর আত্মীয়কে সাহায্য করতেই পারে। আদালত জানায়, স্বামীর সুস্বাস্থ্য ও জীবন নিয়ে উদ্বেগ খুবই স্বাভাবিক একটি নিয়ম। সুপ্রিম কোর্ট-সহ অন্যান্য আদালতের সিদ্ধান্ত উল্লেখ করে আদালত জানায়, আবেদনকারী স্বেচ্ছায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এতে হস্তক্ষেপ করা যায় না।

Liver Tissue Transplant: ভাই লিভার দান করবে দাদাকে, মত নেই স্ত্রীর, মামলা গড়াল হাইকোর্টে
প্রতীকী চিত্র। Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Updated on: Feb 07, 2024 | 5:05 PM

মধ্য প্রদেশ: জবলপুর হাইকোর্টের একটি মামলা নিয়ে জোর আলোচনা শুরু হয়েছে। লিভার টিস্যু ট্রান্সপ্লান্টের বিষয়ে মতভেদ নিয়ে এক দম্পতি সম্প্রতি আদালতের দ্বারস্থ হন। আদালতের একক বেঞ্চের রায় স্বামীর দিকেই গিয়েছে। ওই ব্যক্তি নিজের দাদাকে লিভার টিস্যু দিতে চান। এদিকে তাঁর স্ত্রী কোনওভাবেই স্বামীর এই সিদ্ধান্ত রাজি নন। এই নিয়েই সংসারে অশান্তি চরমে ওঠে। এরপরই আদালতের দরজায় এসে পৌঁছন তাঁরা।

বিবেক আগরওয়াল ও বিকাশ আগরওয়াল দুই ভাই। বিকাশের স্ত্রী শিল্পা আগরওয়াল। বিবেকের লিভারের সমস্যা দেখা দেয়। চিকিৎসকরা তাঁকে পরামর্শ দেন,লিভার টিস্যু ট্রান্সপ্লান্ট করানোর। আর দাদাকে সেই লিভার টিস্যু দেবেন বলে সিদ্ধান্ত নেন বিকাশ। এদিকে স্বামীর এই সিদ্ধান্তে বেঁকে বসেন তাঁর স্ত্রী শিল্পা। কোনওভাবেই স্বামীকে এই ঝুঁকি তিনি নিতে দিতে চান না। এদিকে স্বামীও অনড়, ভাইয়ের জন্য এটা তিনি করবেনই।

মুম্বইয়ের কোকিলাবেন ধীরুভাই অম্বানি হাসপাতালে বিবেকের লিভার টিস্যু প্রতিস্থাপন সংক্রান্ত প্রক্রিয়া হবে বলেও ঠিক হয়ে যায়। বিকাশের সমস্ত শারীরিক পরীক্ষাও সারা। হাসপাতালও সবুজসঙ্কেত দিয়ে দেয়। এরপরই এই সিদ্ধান্তের তীব্র আপত্তি জানান বিকাশের স্ত্রী। এমন দাম্পত্য কলহ শুরু হয়, তা হাইকোর্ট অবধি গড়ায়। কারণ, এসব ক্ষেত্রে নিয়ম আছে, পরিবারের অনুমোদন ছাড়া তা সম্ভব নয়। জবলপুর হাইকোর্টের বিচারপতি রাজমোহন সিংয়ের একক বেঞ্চে মামলার শুনানি হয়। দাদা বিবেক আগরওয়ালের জীবন বাঁচাতে ভোপালের বাসিন্দা বিকাশ আগরওয়ালকে তাঁর লিভার টিস্যু দানের অনুমতি দিয়েছে আদালত।

৮ ফেব্রুয়ারি এই প্রতিস্থাপনপর্ব হবে। আদালত শুনানি চলাকালীন অঙ্গ প্রতিস্থাপন আইনকে সামনে রেখে জানায়, কোনও ব্যক্তি চাইলে স্বেচ্ছায় তাঁর আত্মীয়কে সাহায্য করতেই পারে। আদালত জানায়, স্বামীর সুস্বাস্থ্য ও জীবন নিয়ে উদ্বেগ খুবই স্বাভাবিক একটি নিয়ম। তবে তিনি যেন না ভাবেন এ কারণে তাঁর স্বামী মারা যাবেন। সুপ্রিম কোর্ট-সহ অন্যান্য আদালতের সিদ্ধান্ত উল্লেখ করে আদালত জানায়, আবেদনকারী স্বেচ্ছায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এতে হস্তক্ষেপ করা যায় না।