Manipur Violence: কড়া সেনা পাহারায় স্বাভাবিক হচ্ছে মণিপুরের পরিস্থিতি, অগ্নিগর্ভ চুরাচন্দপুরে আংশিক কার্ফু প্রত্যাহার

Partial Curfew Lifted: প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, চুরাচন্দপুরে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। তবে সাধারণ মানুষের প্রয়োজনীয়তার কথা মাথায় রেখে রবিবার সকাল ৭টা থেকে ১০টা অবধি, তিন ঘণ্টার জন্য কার্ফু আংশিক প্রত্যাহার করা হচ্ছে।

Manipur Violence: কড়া সেনা পাহারায় স্বাভাবিক হচ্ছে মণিপুরের পরিস্থিতি, অগ্নিগর্ভ চুরাচন্দপুরে আংশিক কার্ফু প্রত্যাহার
মণিপুরের ত্রাণ শিবিরে সাধারণ মানুষ। ছবি:PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 07, 2023 | 2:33 PM

ইম্ফল: মণিপুরের (Manipur) পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে মরিয়া প্রশাসন। নামানো হয়েছে সেনা বাহিনী (Army)। সংঘর্ষে উত্তপ্ত জায়গাগুলি থেকে নিরাপদ আশ্রয়ে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। রাজ্যজুড়ে জারি রয়েছে কার্ফু (Curfew)মেতেই জনগোষ্ঠীকে তফসিলি সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত করা ঘিরেই বিগত এক সপ্তাহ ধরে উত্তপ্ত মণিপুর। বিভিন্ন জায়গায় আদিবাসী সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রশাসনের তরফে জারি করা হয়েছিল ১৪৪ ধারা। পরে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হওয়ায় কেন্দ্রের তরফে আইন-শৃঙ্খলার দায়িত্ব নেওয়া হয়, জারি করা হয় ৩৫৫ ধারা। কড়া সেনা নিরাপত্তায় ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে মণিপুরে। রবিবার আংশিক কার্ফু তুলে নেওয়া হল চুরাচন্দপুরে। এই জেলাতেই সবথেকে বেশি উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের স্বাক্ষরিত নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, রবিবার সকালে চুরাচন্দপুরে আংশিক কার্ফু তুলে নেওয়া হবে। সাধারণ মানুষ যাতে ওষুধ, খাবারের মতো অত্যাবশ্যকীয় পণ্য কিনতে পারেন, তার জন্যই এই কার্ফু প্রত্যাহার করা হচ্ছে।

প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, চুরাচন্দপুরে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। তবে সাধারণ মানুষের প্রয়োজনীয়তার কথা মাথায় রেখে রবিবার সকাল ৭টা থেকে ১০টা অবধি, তিন ঘণ্টার জন্য কার্ফু আংশিক প্রত্যাহার করা হচ্ছে। এর আগে শনিবারও দুপুর ৩টে থেকে বিকেল ৫টা অবধি কার্ফু প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছিল।

শনিবারই মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী কার্ফু আংশিক প্রত্যাহারে নির্দেশিকা টুইট করেন। সেই টুইটে তিনি লেখেন, “ধীরে ধীরে চুরাচন্দপুর জেলায় পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় এবং রাজ্য় সরকার ও অংশীদারদের সঙ্গে কথা বলে, আমি খুশির সঙ্গে জানাচ্ছি যে চুরাচন্দপুরে কার্ফু আংশিক প্রত্যাহার করা হচ্ছে।”

প্রসঙ্গত, গত ৩ মে মেতেই জনগোষ্ঠী ও আদিবাসীদের মধ্যে সংঘর্ষের পরই চুরাচন্দপুর সহ আটটি জেলায় ১৪৪ ধারা জারি করতে বাধ্য হয়েছিল রাজ্য সরকার। পাঁচদিনের জন্য় বন্ধ করে দেওয়া হয় ইন্টারনেট পরিষেবাও। গতকালই  মুখ্য়মন্ত্রী বীরেন সিং সমস্ত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্য়ের উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা নিয়ে আলোচনা করতে।