অপচয় হচ্ছে করোনা টিকা, কেন্দ্রের পাঠানো ডোজ়ের বড় অংশ অবহেলায় পড়ে একাধিক রাজ্যে
Corona Vaccine : এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রের থেকে রাজ্যগুলিকে সর্বমোট ৭২ কোটি ৭০ লাখ ৪৮ হাজার ৩২৫ টি করোনা টিকার ডোজ় পাঠানো হয়েছে বিনামূল্যে। তার মধ্যে রাজ্যগুলির কাছে অব্যবহৃত টিকা রয়েছে ৪ কোটি ৯০ লাখ ৩৬ হাজার ৫২৫।
নয়াদিল্লি : করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে টিকাকরণ ছাড়া আর কোনও বিকল্প নেই। বার বার বলছেন বিশেষজ্ঞরা। কেন্দ্রের তরফেও কোনও খামতি রাখা হচ্ছে না। বিনামূল্যে রাজ্যগুলিকে টিকা পাঠাচ্ছে কেন্দ্র। কিন্তু একাধিক রাজ্যে টিকা অব্যবহৃতই থেকে যাচ্ছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক থেকে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ৪ কোটি ৯০ লাখেরও বেশি অব্যবহৃত টিকা পড়ে রয়েছে বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রের থেকে রাজ্যগুলিকে সর্বমোট ৭২ কোটি ৭০ লাখ ৪৮ হাজার ৩২৫ টি করোনা টিকার ডোজ় পাঠানো হয়েছে বিনামূল্যে। তার মধ্যে রাজ্যগুলির কাছে অব্যবহৃত টিকা রয়েছে ৪ কোটি ৯০ লাখ ৩৬ হাজার ৫২৫।
দেশে টিকাকরণে গতি আনতে প্রয়োজনীয় সবরকম পদক্ষেপ করছে কেন্দ্র। ২১ জুন থেকে সার্বিক টিকাকরণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। যখন যখন বেশি পরিমাণে টিকা এসেছে, সেই মতো করে ভ্যাকসিনেশন ড্রাইভ করা হয়েছে। করোনা টিকাকরণে যাতে কোনওরকম সমস্যা না হয়, তা নিশ্চিত করতে রাজ্যগুলিকে বিনামূল্যে টিকা পাঠাচ্ছে কেন্দ্র। কিন্তু এত বেশি পরিমাণে টিকা অব্যবহৃত থেকে যাওয়া বা নষ্ট হওয়াটা কখনও কাম্য নয় বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশেষ করে এখন যত তাড়াতাড়ি, যত বেশি সংখ্যক নাগরিককে করোনা টিকা দিয়ে রাখা সম্ভব, তা নিশ্চিত করতে চাইছে কেন্দ্র। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ থেকে কিছুটা নিস্তার পাওয়া গেলেও, তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন অনেকে। বলা হচ্ছে, অক্টোবরেই আছড়ে পড়তে পারে করোনার তৃতীয় ঢেউ। আর এই পরিস্থিতিতে টিকাকরণ প্রক্রিয়ায় যত বেশি গতি আনা যায়, তার চেষ্টা করে যাচ্ছে কেন্দ্র।
উল্লেখ্য, দেশের করোনা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে গত শুক্রবার ফের একবার উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকে অক্টোবরের মাঝামাঝি পর্যন্ত করোনারা তৃতীয় ঢেউ আসার জল্পনা এবং আশঙ্কা করছেন অনেকে। শুক্রবারের বৈঠকে বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে খবর সূত্রের। এর মধ্যে রয়েছে রাজ্যগুলির বর্তমান করোনা পরিস্থিতি এবং টিকাকরণের অবস্থা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
বৈঠকে রাজ্যগুলিকে বলা হয়েছে তারা যেন সব ধরনের পরিস্থিতির তৈরি থাকে। জরুরি অবস্থার সম্মুখীন হতে প্রত্যেক জেলায় জেলায় পর্যাপ্ত পরিমাণ ওষুধ ও প্রতিষেধক মজুত করে রাখতে বলা হয়েছে। আগামী কয়েক মাস ঠিক কত পরিমাণ ভ্যাকসিনের উৎপাদন হবে, এবং কত সংখ্যক ভ্যাকসিন গোটা দেশের রাজ্যগুলিতে সরবরাহ করা সম্ভব হবে, সেই খতিয়ানও নেন প্রধানমন্ত্রী।
গোটা দেশের সার্বিক সংক্রমণের সংখ্যাটা এখনই দুশ্চিন্তার কারণ না হলেও নতুন ধরনের কোনও করোনার প্রজাতি হানা দিচ্ছে কি না সেই সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করছেন তিনি।
আরও পড়ুন : Covid deaths: কারা করোনায় মৃত, কারা নয়? নয়া গাইডলাইন প্রকাশ করল কেন্দ্র