বাতি হাতে মুমূর্ষু সৈন্যদের শুশ্রূষা করতেন ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল
ভারতের (India) গ্রামে গ্রামে উন্নত স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন নাইটিঙ্গেল (Nightingale)
নয়া দিল্লি: প্রতিবছর ১২ মে আন্তর্জাতিক সেবিকা দিবস (International Nurses Day) হিসেবে পালন করা হয়। ১৮২০ সালে আজকের দিনেই ইংরেজ নার্স ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল (Florence Nightingale) জন্মেছিলেন। ভয়াবহ এক সময় এখন। যখন করোনা ভাইরাসের দাপটে স্তব্ধ সারা পৃথিবী। এই সময় একজন নার্সের গুরুত্ব অপরিসীম।
কারণ, একজন সেবিকা জীবন বাজি রেখে রোগীর শুশ্রূষা করে তাকে সুস্থ করে তোলেন। স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় ডাক্তারদের মতো নার্সদেরও অবদান কোনও অংশে কম নয়। তাই ১২ মে দিনটিকে আন্তর্জাতিক সেবিকা দিবস হিসেবে পালন করা হয়। করোনার যুগে একজন নার্সের গুরুত্ব হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন আমজনতা।
একসময় ইংল্যান্ডের হাসপাতালে বাতি হাতে নিয়ে যুদ্ধে আহত মুমূর্ষু সৈন্যদের শুশ্রূষা করতেন ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল। ছোটবেলা থেকেই নার্স হওয়ার স্বপ্ন ছিল তাঁর। ভারতের গ্রামে গ্রামে উন্নত স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন তিনি। পাশাপাশি ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল একজন লেখক ছিলেন। তিনি ‘দ্য লেডি ইউথ দ্যা ল্যাম্প’ নামেও পরিচিত।
নার্সরা কোভিড মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সবচেয়ে এগিয়ে আছেন। চিকিত্সক এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের মতো নার্সরা নিয়মিত রোগীদের যত্ন নিচ্ছেন বিশ্রাম ছাড়াই। হু-র মতে, ”বিশ্বের সমস্ত স্বাস্থ্যকর্মীর মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি সংখ্যা নার্সদের, এখনও বিশ্বব্যাপী নার্সের ঘাটতি রয়েছে। বিশেষ করে নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশগুলিতে এখনও ৫.৯ মিলিয়নের (২০২০) বেশি নার্সের প্রয়োজন রয়েছে।”