Meeting on Ukraine: কেন্দ্রের বৈঠকে ‘সন্তুষ্ট’ কংগ্রেস! ইউক্রেন ইস্যুতে ঐক্যের বার্তা
Meeting on Ukraine: ইউক্রেন থেকে ভারতীয় পড়ুয়াদের ফেরাতে কী পদক্ষেপ করছে সরকার, সে বিষয়েই এ দিন বিরোধীদের অবগত করা হয়েছে কেন্দ্রের তরফে।
নয়া দিল্লি : ইউক্রেনে আটকে পড়া ভারতীয়দের ফেরাতে সবরকমভাবে চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় সরকার। তারপরও মোদী সরকারের দিকে আঙুল তুলেছেন বিরোধীর। কতজন এখনও আটকে রয়েছেন ইউক্রেনে? উদ্ধারকাজ নিয়ে কী পরিকল্পনা রয়েছে কেন্দ্রের? এই সব প্রশ্ন তুলেছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। আর বৃহস্পতিবার সব দলের প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠকে বসলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। ইউক্রেনে থাকা পড়ুয়াদের পরিস্থিতি, তাঁদের ফেরানোর ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা হয়েছে এ দিন। সেই বৈঠক নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর। এই ইস্যুতে সরকারের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ থাকার বার্তাও দিয়েছেন তিনি।
২১ জন সদস্যকে নিয়ে কনসাল্টিং কমিটি তৈরি করেছে কেন্দ্র, যার নেতৃত্বে রয়েছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। সেই কমিটিকেই এ দিন ইউক্রেনের বিষয়ে অবগত করা হল। এ দিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী, আনন্দ শর্মা ও শশী থারুর। ছিলেন, শিব সেনা সাংসদ প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদীও। বৈঠক শেষে জয়শঙ্করও জানিয়েছেন, সর্বসম্মতভাবে সমর্থনের বার্তা উঠে এসেছে এই বৈঠকে।
শুধু রাহুল গান্ধীই নন, পড়ুয়াদের উদ্ধারে ভারতের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন শশী থারুরও। রাষ্ট্রসঙ্ঘে ভারত কেন ভোটদান থেকে বিরত থাকল, সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি। তবে এ দিনের বৈঠকের পর শশী থারুর টুইটে লিখেছেন, ‘খুব ভালো বৈঠক’। সব প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন তিনি।
Excellent meeting of the Consultative Committee on External Affairs this morning on #Ukraine. My thanks to @DrSJaishankar & his colleagues for a comprehensive briefing & candid responses to our questions &concerns. This is the spirit in which foreign policy should be run. pic.twitter.com/Y3T3UIrm9z
— Shashi Tharoor (@ShashiTharoor) March 3, 2022
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন রাহুল গান্ধী। যাতে দেখা যাচ্ছে, কয়েকজন পড়ুয়াকে সামরিক পোশাক পরে রক্ষীরা মারধর করছে। অভিযোগ, ইউক্রেনের সেনা পড়ুয়াদের সীমান্ত পার করতে দিচ্ছে না। সেই ভিডিয়ো পোস্ট করে রাহুল গান্ধী লেখেন, ‘যে ভারতীয় ছাত্ররা এই ধরনের আক্রমণের শিকার, তাঁদের পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা রয়েছে।’ কোনও অভিভাবকেরই এই পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাওয়া উচিত নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তিনি দাবি জানান, ভারত সরকারের উচিৎ অবিলম্বে আটকে পড়া ভারতীয়দের উদ্ধার করার পরিকল্পনার বিষয়টি জানানো।
বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে খবর, কিয়েভে আর কোনও ভারতীয় আটকে নেই। তবে ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভে এখনও কয়েক হাজার পড়ুয়া আটকে রয়েছে। আর সেই খারকিভের ওপরেও রুশ সেনা আরও হামলা বাড়াতে বলে আশঙ্কা। দ্রুত ভারতীয় পড়ুয়াদের ওই শহর ছেড়ে বেরিয়ে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন : Supreme Court: ‘আমরা কি পুতিনকে যুদ্ধ থামাতে বলব?’ প্রশ্ন প্রধান বিচারপতির