AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Meghala TMC: মেঘালয়ে বড় জয়! কংগ্রেসের দাবি উড়িয়ে স্বীকৃতি আদায় করল তৃণমূল

AITMC: রাজনৈতিক মহলের মতে, বিধানসভাপ অধ্যক্ষের এই সিদ্ধান্তের ফলে স্বাভাবিকভাবেই বাড়তি অক্সিজেন পাবে তৃণমূল। তৃণমূলের লক্ষ্য যে জাতীয় রাজনীতি যেই বিষয়টি এখন দিনের আলোর মত পরিস্কার।

Meghala TMC: মেঘালয়ে বড় জয়! কংগ্রেসের দাবি উড়িয়ে স্বীকৃতি আদায় করল তৃণমূল
ছবি: সোশ্যাল মিডিয়া
| Edited By: | Updated on: Dec 24, 2021 | 12:47 AM
Share

শিলং: সম্প্রতি মেঘালয় কংগ্রেসকে বড়সড় ধাক্কা দিয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল কংগ্রেস। রাতারাতি মুকুল সাংমা সহ ১২ কংগ্রেস বিধায়ক তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর মেঘালয়া বিধানসভায় বিরোধী দলে মর্যাদা হারানোর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল কংগ্রেসের। কংগ্রেস বিধায়ক আম্পারিন লিংডোহর দায়ের করা পিটিশনের ভিত্তিতে, মেঘালয় বিধানসভার অধ্যক্ষ মেটবাহ লিংডোহ মুকুল সাংমা সহ ৯ বিধায়ককে চিঠি লিখে জানতে চেয়েছিলেন, কেন তাদের বিধানসভা থেকে অপসারিত করা হবে না।

অধ্যক্ষের প্রশ্নের জবাবে মেঘালয়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমা জানিয়েছিলেন, বেশিরভাগ কংগ্রেস বিধায়কই তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় ১২ বিধায়কের পরিষদীয় দলকে তৃণমূলের পরিষদীয় দল হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হোক। এই আবেদন নিয়ে নিজেদের আপত্তির কথা বিধানসভার অধ্যক্ষ জানিয়েছিল কংগ্রেস। কিন্তু ধোপে টিকল না কংগ্রেসের অভিযোগ। বৃহস্পতিবার মেঘালয় বিধানসভার স্পিকার মেটবাহ লিংডোহ কংগ্রেসে অভিযোগ খারিজ করে জানিয়ে দিলেন, এখন থেকে দলত্যাগী ওই ১২ বিধায়ককে তৃণমূলের বিধায়ক হিসেবে স্বীকৃতি দিল বিধানসভা। এই সিদ্ধান্ত ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে ৬০ আসনের মেঘালয় বিধানসভায় প্রধান বিরোধী দলের মর্যাদা পেল তৃণমূল, এরই সঙ্গে বিরোধী দলের মর্যাদা হাতছাড়া হল কংগ্রেসের।

রাজনৈতিক মহলের মতে, বিধানসভাপ অধ্যক্ষের এই সিদ্ধান্তের ফলে স্বাভাবিকভাবেই বাড়তি অক্সিজেন পাবে তৃণমূল। তৃণমূলের লক্ষ্য যে জাতীয় রাজনীতি যেই বিষয়টি এখন দিনের আলোর মত পরিস্কার। এই সিদ্ধান্তের ফলে সর্বভারতীয় পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূলরে গুরুত্ব বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে। ২০১২ সালে মেঘালয়তে তৃণমূলের রাজ্য শাখা তৈরি হলেও সেখানে এতদিন দলের কোনও পোস্টার, ব্যানারও চোখে পড়ত। সেখানে উত্তর পূর্বের পাহাড়ে ঘেরা এই ছোট রাজ্যে দলে ১২ বিধায়কের অন্তর্ভুক্তি বাংলার শাসক দলের ক্ষেত্রে সংগঠন বিস্তারে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে।

২০২১ সালে বাংলা জয়ের পর তাঁর লক্ষ্য যে দিল্লি, সেকথা স্পষ্টই জানিয়েছিলেন মমতা। সেই মত গোয়া, ত্রিপুরা, মেঘালয়ের মত ছোট ছোট রাজ্যে বাড়তি নজর দিয়েছিল তৃণমূল। সম্প্রতি ত্রিপুরার পুরভোটে একটি আসনে জয় না পেলেও ভোট শতাংশ অনেকটাই বাড়াতে সক্ষম হয়েছে তৃণমূল। একইভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গোয়া সফরের নানা কর্মসূচিতে ভিড় ছিল চোখে পড়ার মত। এমনকি তৃণমূলের দাবি, গোয়ার ‘গৃহলক্ষ্মী’ প্রকল্পের জন্য ইতিমধ্যেই অনেক মানুষ নাম লিখিয়েছে। এই ইতিবাচক সূত্রপাতে আগামী দিনে রাজ্যগুলিতে দলের ভীতকে শক্ত করার স্বপ্ন দেখা শুরু করেছেন মমতা-অভিষেক। তৃণমূল মানুষের মনজয় করতে কতটা সক্ষম হয় অদূর ভবিষ্যতেই সেই উত্তর পাওয়া যাবে।

আরও পড়ুন Allahabad High Court: ‘জান হ্যায় তো জাহাঁ হ্যায়’, প্রধানমন্ত্রীকে আসন্ন নির্বাচনগুলি পিছিয়ে দেওয়ার অনুরোধ হাইকোর্টের

আরও পড়ুন Harish Rawat’s React on Tweet: ‘সময় এলেই জবাব পাবেন…’, নির্বাচনের মুখেই কি গান্ধী পরিবারের ‘হাত’ ছাড়বেন রাওয়াত? জল্পনা তু্ঙ্গে