Mid Day Meal: ডিম চোখে দেখেনি বহুদিন, ডাল-সবজিও দুরস্থ, এই স্কুলে মিড ডে মিল শুধু ভাত আর এক চিমটি হলুদ!
Mid Day Meal: মিড ডে মিলে ডিম বা মাছ-মাংস তো দূরস্থ, ডাল বা সবজির দেখা মেলাই দুষ্কর। সেখানে শিশুদের 'পৌষ্টিক আহার' হিসাবে পরিবেশন করা হয় শুধু ভাত আর একটু হলুদ। কখনও সখনও ডাল মিললে খিচুড়ি খেতে পারে শিশুরা।
রায়পুর: স্কুল পড়ুয়াদের পুষ্টিকর খাদ্য় জোগানোর ভরসা হল মিড ডে মিল। এই মিড ডে মিলের টানেই বহু স্কুলছুট ফের স্কুলমুখী হয়েছ, এমনটা বলছে সরকারি তথ্য। মিড ডে মিলে নিয়ম সপ্তাহে অন্তত একদিন মাছ বা মাংস, দু’দিন ডিম দেওয়ার কথা। কিন্তু মিড ডে মিলে বেনিয়মের অভিযোগও বিস্তর। কোথাও মিড ডে মিলের খাবারে মিলছে সাপ-ব্যাঙ, কোথাও আবার মিড ডে মিলের টাকাই গায়েব। কিন্তু এই স্কুলে মিড ডে মিলে যা হচ্ছে, তা জানলে চমকে যাবেন।
সম্প্রতিই মিড ডে মিলে শিশুদের রুটি ও নুন পরিবেশন করে খবরের শিরোনামে এসেছিল একাধিক রাজ্যের স্কুল। এবার তাদের টপকে গেল ছত্তীসগঢ়ের একটি স্কুল। মিড ডে মিলে ডিম বা মাছ-মাংস তো দূরস্থ, ডাল বা সবজির দেখা মেলাই দুষ্কর। সেখানে শিশুদের ‘পৌষ্টিক আহার’ হিসাবে পরিবেশন করা হয় শুধু ভাত আর একটু হলুদ। কখনও সখনও ডাল মিললে খিচুড়ি খেতে পারে শিশুরা।
ছত্তীসগঢ়ের বিজাকুড়া গ্রামের প্রাথমিক স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্য়া ৪৩। তাদের মিড ডে মিল হিসাবে দেওয়া হচ্ছে ভাত এবং তার উপরে এক চিমটি হলুদ। স্কুলের শিক্ষক ও আধিকারিকরাও স্বীকার করে নিয়েছেন যে অন্তত এক সপ্তাহ ধরে পড়ুয়াদের কোনও সবজি দেওয়া হয়নি। কখনও ভাত-ডাল, আবার কখনও শুধু হলুদ দিয়ে ভাতই পরিবেশন করা হয়েছে।
স্কুলের প্রধান শিক্ষকের অভিযোগ, মিড ডে মিলের সাপ্লায়ার আসছে না। ফলে সবজি, ডিম কিছুই পাওয়া যাচ্ছে না। স্কুলের ভাঁড়ারে যেটুকু চাল-ডাল রয়েছে, তা দিয়েই পড়ুয়াদের খেতে দেওয়া হচ্ছে। স্কুলের রাঁধুনিও জানিয়েছেন, কোনও শাক-সবজি আসছে না। সেই কারণেই শিশুদের ভাত আর হলুদ পরিবেশন করতে হচ্ছে।
এদিকে, সাপ্লায়ারের আবার দাবি, স্কুল আগের বকেয়া টাকা মেটাচ্ছে না। সেই কারণেই মিড ডে মিলের সবজি সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে।
বিষয়টি সামনে আসতেই জেলা শিক্ষা অফিসার দেবেন্দ্র নাথ মিশ্র অবিলম্বে তদন্ত এবং যথোপযুক্ত পদক্ষেপ করার আশ্বাস দিয়েছেন।
স্কুল কর্তৃপক্ষ ও খাবার সরবরাহকারী-দুই পক্ষ যখন একে অপরকে দোষ দিতে ব্যস্ত, তখন পুষ্টি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শিশুরা।