গাড়িতে একা থাকলে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক নয়, দিল্লি হাইকোর্টকে জানাল স্বাস্থ্যমন্ত্রক

অভিযোগকারী সৌরভ শর্মা দিল্লি সরকারের বিরুদ্ধে জনসমক্ষে মানসিকভাবে হেনস্থা করার অভিযোগ জানায় এবং ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের আবেদন করেন। তিনি জানান, গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর নিজস্ব গাড়ি চালিয়েই তিনি কাজে যাচ্ছিলেন। সেই সময় গাড়ির ভিতরে মাস্ক না পরায় দিল্লি পুলিস তাঁকে ৫০০ টাকার জরিমানা করে।

গাড়িতে একা থাকলে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক নয়, দিল্লি হাইকোর্টকে জানাল স্বাস্থ্যমন্ত্রক
প্রতীকী চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: Jan 11, 2021 | 3:07 PM

নয়া দিল্লি: নিজস্ব গাড়িতে একা থাকলেও মাস্ক পরতে হবে কিনা, তা নিয়ে দিল্লিতে তৈরি হয়েছে ঘোর সংশয়। দিল্লি হাইকোর্টে (Delhi High court) এই সংক্রান্ত একটি মামলায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক (Ministry of Health and Family Welfare)-র তরফে জানানো হল যে, তাদের তরফে গাড়িতে একা যাওয়ার সময়ও বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরতে হবে, এমন কোনও নির্দেশিকার জারি করা হয়নি।

ঘটনার সূত্রপাত হয়, মাস্ক না পরায় ৫০০ টাকা জরিমানা ঘিরে। আইনজীবী সৌরভ শর্মা আদালতে একটি আর্জি দাখিল করে জানান, তিনি একা গাড়ি চালিয়ে যাওয়ার সময়ও মাস্ক না পরায় তাঁর বিরুদ্ধে ৫০০ টাকার চালান কাটা হয়েছে। গাড়িতে একা থাকলেও মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক কিনা, তা জানতে চাওয়া হয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের কাছ থেকে। এর জবাবেই দিল্লি হাই কোর্টে একটি হলফনামা জমা করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রক। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে আদালতে বলা হয়, স্বাস্থ্য রাজ্যের অধীনে। সুতরাং এই বিষয়টিও দিল্লি সরকারের অধীনে। অতএব এই মামলার সঙ্গে সম্পর্কিত ব্যক্তিদের তালিকা থেকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের নাম বাদ দেওয়া হোক।

আরও পড়ুন: কৃষি আইন স্থগিত করুন, না হলে আমরা করতে বাধ্য হব: সুপ্রিম কোর্ট

এই বিষয়ে দিল্লি সরকারের তরফে জানানো হয়েছিল, কোনও ব্যক্তি তাঁর নিজস্ব গাড়িতে থাকলেও মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। আদালতে জমা করা হলফনামায় দিল্লি সরকারের তরফে বলা হয়েছে, “নির্দেশিকায় সুস্পষ্টভাবেই বলা হয়েছে যে নিজস্ব গাড়িতে থাকলেও মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক।” রাজ্য সরকারের তরফে আরও বলা হয়, “ব্যক্তিগত গাড়িও প্রকাশ্য স্থানের অন্তর্গত, একে ব্যক্তিগত স্থান বলা যায় না। এই মামলার ক্ষেত্রেও অভিযোগকারীর আবেদন গ্রাহ্য করা যায় না।”

অভিযোগকারী সৌরভ শর্মা দিল্লি সরকারের বিরুদ্ধে জনসমক্ষে মানসিকভাবে হেনস্থা করার অভিযোগ জানায় এবং ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের আবেদন করেন। তিনি জানান, গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর নিজস্ব গাড়ি চালিয়েই তিনি কাজে যাচ্ছিলেন। সেই সময় গাড়ির ভিতরে মাস্ক না পরায় দিল্লি পুলিস তাঁকে ৫০০ টাকার জরিমানা করে। দিল্লি হাইকোর্টে তিনি আর্জি জানিয়ে বলেন, “বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে প্রকাশ্য স্থানে থাকলে বা কর্মস্থলে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। একা থাকলেও মাস্ক পরতে হবে, এমন নির্দেশিকা নেই।”

আরও পড়ুন: দিল্লি মহারাষ্ট্রেও কোপ বার্ড ফ্লু-র, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিশেষ বৈঠক সংসদীয় কমিটির