Noida Twin Tower: ধ্বংসস্তূপের পাহাড়! টুইন টাওয়ার ধ্বংসের পর এখনকার পরিস্থিতি এক নজরে
Noida Twin tower: আইনি লড়াইয়ে জয়ের পর কোনও ধরনের উদযাপন হবে কিনা জানতে চাওয়া হলে, স্থানীয় বাসিন্দাদের তরফে জানা গিয়েছে, আজ বিকেলে তাঁরা জয় উদযাপন করবেন কারণ এই ঘটনা গোটা দেশের কাছে নজির হয়ে থাকবে।
নয়া দিল্লি: নয়ডার এমারেল্ড কোর্ট হাউজিং সোসাইটি বাসিন্দাদের আজ সকালে বিশালাকার ধ্বংসস্তূপের মধ্যে ঘুম ভেঙেছে। দীর্ঘ ৯ বছরের আইনি লড়াই শেষে রবিবার নিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরণের মাধ্যমে ভেঙে গুড়িয়ে ফেলা হয়েছে নয়ডার টুইন টাওয়ার। বিশালাকার টুইন টাওয়ার (Twin Tower) ধুলিসাৎ হয়ে যাওয়ার পর সেখানে যে বিপুল পরিমাণ ধ্বংসাবশেষ জমে রয়েছে তা পরিষ্কার করার প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট এলাকায় দেখা গিয়েছে, সাফাই কর্মীরা ইতিমধ্যেই ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কারের কাজ শুরু করেছেন। টুইন টাওয়ারের আশেপাশের বহুতলগুলিকে যাতে ধূলোর হাত থেকে বাঁচানো যায়, সেই কারণে বহুতলগুলিকে আবরণ দিয়ে ঢেকে ফেলা হয়েছিল। টুইন টাওয়ার ধ্বংসের ফলে আশেপাশের বহুতলগুলির সামনেও ধ্বংসস্তূপ জমা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা আরতি কাপ্পুলা নামের এক মহিলা এনডিটিভিকে বলেন, “রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ আমরা বাড়িতে ফিরে এসেছিলাম। ডিনামাইটের গন্ধ থাকলেও, অন্য কোনও সমস্যা ছিল না। আমরা এসির ওপরের কভার সরিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। এই এলাকায় দূষণ হতে পারে বলে আমাদের সতর্ক করা হয়েছিল। কিন্তু ঘুম থেকে উঠে নীল আকাশ দেখে আমি মাস্ক ছাড়াই বাইরে বেরিয়েছি।”
আইনি লড়াইয়ে জয়ের পর কোনও ধরনের উদযাপন হবে কিনা জানতে চাওয়া হলে, স্থানীয় বাসিন্দাদের তরফে জানা গিয়েছে, আজ বিকেলে তাঁরা জয় উদযাপন করবেন কারণ এই ঘটনা গোটা দেশের কাছে নজির হয়ে থাকবে।
জানা গিয়েছে, টুইন টাওয়ার ধ্বংসের ফলে যে ৮০ হাজার টন ধ্বংসাবশেষ জমা হয়েছে তা তিন মাস ধরে সাফাই করা হবে। একটি বেসরকারি সংস্থাকে সাফাইয়ের বরাত দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, বিভিন্ন পরীক্ষা পাওয়ার জন্য বিস্ফোরণের আগেই সেখানে বেশ কিছু অ্যাকসিলোমিটার লাগানো হয়েছিল। এখন সেগুলি খুঁজে বের করে তথ্য সংগ্রহ করা হবে।
জানা গিয়েছে, নয়ডা অথোরিটি ও অন্যান্য বেশ কিছু সরকারি দফতরেরে যেসব আধিকারিকরা টুইন টাওয়ার তৈরিতে সাহায্য করেছিলেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সব মিলিয়ে মোট ২৬ জন আধিকারিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে বলেই জানা গিয়েছে।