Dumka: ফোনে কথা বলেননি, জানলা দিয়ে পেট্রোল ঢেলে স্কুলছাত্রীর গায়ে আগুন লাগালেন যুবক

School girl died: পুলিশ অফিসার জানিয়েছেন, খুব সহজে এই জবানবন্দি দিতে পারেননি তরুণী। খুব কষ্ট করে এই কথাগুলি মৃত্যুর আগে বলতে পেরেছিলেন তিনি।  

Dumka: ফোনে কথা বলেননি, জানলা দিয়ে পেট্রোল ঢেলে স্কুলছাত্রীর গায়ে আগুন লাগালেন যুবক
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 29, 2022 | 5:13 PM

দুমকা: ফোনে বার বার কথা বলতে চাইতেন। প্রেমের সম্পর্কের কথা বলতেন। কিন্তু যুবকের এই অনুরোধে রাজি ছিলেন না তরুণী। এর পরই তরুণীর গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ওই যুবকের বিরুদ্ধে। এর জেরে দেহের প্রায় ৯০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল তরুণীর। হাসপাতালে বেশ কয়েক দিন ভর্তি থাকার পর মৃত্যু হয়েছে তাঁর। তরুণীর মৃত্যুকালীন জবানবন্দির ভিত্তিতে অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আহত তরুণীর বয়স ১৯ বছর। দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী তিনি। সম্প্রতি ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়খণ্ডের দুমকা শহরে। অগ্নিদগ্ধ তরুণীর মৃত্যু হওয়ার খবর আসতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দুমকায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ১৪৪ ধারাও জারি করেছে প্রশাসন।

পুলিশ জানিয়েছে, পেট্রোল ঢেলে দেওয়ায় ওই তরুণীর দেহের ৯০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। গত মঙ্গলবার ঘটেছিল এই ঘটনা। তখন তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় দুমকার ঝানো মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে। সেখান থেকে তাঁকে রাঁচীর রাজেন্দ্র ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সে (RIMS) স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। রবিবার সেখানেই তরুণীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুমকা থানার স্টেশন ইনচার্জ নীতীশ কুমার। ময়নাতদন্তের পর তাঁর দেহ দুমকায় নিয়ে আসা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। ওই পুলিশ অফিসার বলেছেন, “মেয়েটি যখন ঘরে ঘুমাচ্ছিলেন, তখন জানলা দিয়ে পেট্রোল ঢেলে গায়ে আগুন লাগিয়ে দেন শাহরুখ নামের ওই যুবক। অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি এক নির্মাণকর্মীর কাজ করেন।”

হাসপাতালে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ওই তরুণীর জবানবন্দি নথিভুক্ত করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন ওই পুলিশ অফিসার। সেই জবানবন্দিতে অগ্নিদগ্ধ তরুণী বলেছেন, বন্ধুত্ব করার জন্য গত ১০ দিন ধরে তরুণীকে ক্রমাগত ফোন করছিলেন অভিযুক্ত যুবক। হাসপাতালে শুয়ে তরুণী বলেছেন, “গত সোমবার রাত ৮টা নাগাদ আমাকে ফের ফোন করে ওই যুবক। কথা না বললে আমাকে খুন করার হুমকি দেয়। আমি বাবাকে এই ঘটনার কথা জানায়। বাবাকে আমাকে বলে ওই যুবকের বাড়ির লোকের সঙ্গে কথা বলবেন বিষয়টি নিয়ে। রাতের খাবার খেয়ে আমরা সবাই ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। আমি পাশের ঘরে ঘুমাচ্ছিলাম। মঙ্গলবার সকালে আমি খুব ব্যথা শুরু হয়, পোড়া পোড়া গন্ধ আসে নাকে। আমি জানলা দিয়ে দেখি ওই যুবককে ছুটে পালাতে। গায়ে আগুন দেখেই চিৎকার করছিলাম আমি। গা খুব জ্বলছিল তখন। আমি ছুটে বাবার ঘরে যায়। বাবা-মা আগুন নিভিয়ে আমাকে হাসপাতালে নিয়ে আসে।” ওই পুলিশ অফিসার জানিয়েছেন, খুব সহজে এই জবানবন্দি দিতে পারেননি তরুণী। খুব কষ্ট করে এই কথাগুলি মৃত্যুর আগে বলতে পেরেছিলেন তিনি। ওই তরুণীর পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী।