Narendra Modi meets Bengal MPs: সাধারণ মানুষের আরও কাছে পৌঁছতে কী কী করতে হবে, বঙ্গ বিজেপিকে একগুচ্ছ পরামর্শ মোদীর
Narendra Modi meets Bengal MPs: সাধারণ মানুষের মনে দাগ কেটেছে, এমন ইস্যু তুলে ধরার পরামর্শ দিয়েছেন মোদী। এছাড়া সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারের ক্ষেত্রে জোর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
নয়া দিল্লি: লোকসভা নির্বাচনের আর মাত্র কয়েক মাস বাকি। পঞ্চায়েত নিয়ে মাথাব্যথা না করে এবার সামনের দিকে তাকিয়েই ঘুঁটি সাজাচ্ছে বঙ্গ বিজেপি। লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে, বঙ্গ বিজেপির সাংসদদের সঙ্গে রণকৌশল নিয়ে আলোচনা সারলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সূত্রের খবর, বৃহত্তর বিষয় নয়, প্রাসঙ্গিক বিষয়ের ওপরে জোর দিয়েই প্রচার করার বার্তা দিয়েছেন তিনি। বিভিন্ন এলাকার মানুষের আরও কাছাকাছি পৌঁছতে কী কী করা যেতে পারে সে বিষয়েই মূলত আলোচনা হয়েছে।
সূত্রের খবর মানুষের আরও কাছাকাছি পৌঁছতে প্রধানমন্ত্রী বেশ কিছু নির্দেশ দিয়েছেন। এলাকার বৃদ্ধতম ভোটারকে চিহ্নিত করে তাঁকে সম্মানিত করার কথা বলা হয়েছে। এছাড়া এলাকার সাধারণ ভোটারদের নিয়ে টিফিন বৈঠক করার পরামর্শও দিয়েছেন তিনি।
যেখানে যে ইস্যু প্রাসঙ্গিক, সেখানে প্রচারের ক্ষেত্রে সেই বিষয়েই জোর দেওয়ার কথা মোদী বলেছেন বলে সূত্রের খবর। যেমন যেখানে বুলেট ট্রেন যাচ্ছে না, সেখানে বুলেট ট্রেনের কথা বলে প্রচার করা চলবে না বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। কোন এলাকায় কোন কেন্দ্রীয় প্রকল্প কার্যকর হয়েছে, সেগুলও প্রচারে ব্যবহার করার কথা বলা হয়েছে। সাধারণ মানুষের মনে দাগ কেটেছে, এমন ইস্যু তুলে ধরার পরামর্শ দিয়েছেন মোদী। এছাড়া সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারের ক্ষেত্রে জোর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বকে।
I.N.D.I.A জোটের বিরুদ্ধে কোন পথে প্রচার করতে হবে, সেই রূপরেখাও ঠিক করে দিয়েছেন মোদী। বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ সুকান্ত মজুমজার জানান, মোদী উল্লেখ করেছেন, ইন্ডিয়া হল ইউপিএ জোটের নামান্তর মাত্র। নিজেদের দুর্নীতির বোঝা কমাতে নাম পরিবর্তন করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
এছাড়াও দিনের বৈঠকে বাংলার বিজেপির তরফে দুটি শর্ট ফিল্ম দেখানো হয়েছে বৈঠকে। প্রথমটির বিষয় হল, তৃণমূল সরকারের অপশাসন, দুর্নীতি, সন্ত্রাস আর দ্বিতীয় শর্টফিল্মে রয়েছে, কল্যাণী এইমস, মেট্রো রেল সহ পশ্চিমবঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকার কী কী কাজ করেছে।
এদিনের বৈঠকে মোদী ছাড়াও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে উপস্থিত ছিলেন অমিত শাহ, রাজনাথ সিং, ধর্মেন্দ্র প্রধান, ভূপেন্দ্র যাদব এবং অশ্বিনী বৈষ্ণব।