Narendra Modi: প্রোটোকল ভেঙে সে দিন এগিয়ে গিয়েছিলেন মোদী… তারপরই খুলে যায় বিদেশনীতির দরজা
Narendra Modi: তিনি জানান, ইউক্রেন আর রাশিয়া, দুই দেশের রাষ্ট্রনেতার সঙ্গেই তাঁর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। তাই ভারতীয়দের ফেরাতে তিনি নিজে কথা বলেছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন, কীভাবে সাহায্য চান তিনি। মোদী বলেন, "উদ্ধারকাজ এমনভাবে এগিয়েছিল যে কারও হাতে ভারতের পতাকা দেখলেই তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হত।
নয়া দিল্লি: বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সম্পর্ক একাধিকবার আলোচনায় উঠে এসেছে। ব্যক্তিগত স্তরে ভাল সম্পর্কের কথা প্রকাশ্যে এসেছে বারবার। আর সেই সম্পর্ক থেকেই পোক্ত হয়েছে বিদেশনীতি, সহজ হয়েছে কঠিন সময়ে উদ্ধারের কাজ। ১০ বছর প্রধানমন্ত্রী পদে থেকে কীভাবে সব সামলেছেন, সেকথাই জানালেন নরেন্দ্র মোদী। তিনি বিশ্বাস করেন, সম্পর্ক ভাল করতে গেলে প্রোটোকলের বাইরে বেরতে হয়, আর সেটাই করেছেন তিনি। তাঁর এই সুসম্পর্কের জন্য ইয়েমেন ও ইউক্রেন থেকে কীভাবে ভারতীয়দের উদ্ধার করেছিলেন, সংবাদসংস্থা এএনআই (ANI)-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে, সে কথাও বলেছেন মোদী।
সাক্ষাৎকারে মোদী বলেন, “বহুবার হয়েছে বিদেশ থেকে ভারতীয়দের উদ্ধার করে আনা হয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন, ২০১৫ সালে সৌদি আরবের সঙ্গে কথা বলে ইয়েমেন থেকে ৫০০০ ভারতীয়কে ফিরিয়ে আনা হয়েছিল। মোদী বলেন, ‘যে সময় বোমা পড়ত না, সেই ফাঁকে ভারতীয়দের নিয়ে আসা হত।”
একই সঙ্গে মোদী উল্লেখ করেন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কথা। তিনি জানান, ইউক্রেন আর রাশিয়া, দুই দেশের রাষ্ট্রনেতার সঙ্গেই তাঁর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। তাই ভারতীয়দের ফেরাতে তিনি নিজে কথা বলেছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন, কীভাবে সাহায্য চান তিনি। মোদী বলেন, “উদ্ধারকাজ এমনভাবে এগিয়েছিল যে কারও হাতে ভারতের পতাকা দেখলেই তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হত। এমনকী অন্য দেশের নাগরিক হলেও। আমাদের তেরঙাই তখম আমার গ্যারান্টি হয়ে গিয়েছিল।”
মোদী আরও জানান, প্রথম ক্ষমতায় আসার পর তাঁকে অনেক প্রোটোকল বোঝানো হয়েছিল। তাঁর শপথে যখন সার্ক-এর সদস্য দেশগুলির রাষ্ট্রনেতারা এসেছিলেন, তখন তিনি বলেছিলেন, তিনি নিজে গিয়ে আপ্যায়ন করবেন। প্রোটোকল ভেঙেই সেই আপ্যায়ন করেছিলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ওই ঘটনাই আমার জন্য অনেকগুলো দরজা খুলে দিয়েছিল।”