Ram Temple Inaguration: জানকীর জন্মভূমি থেকে অযোধ্যায় আসছে ৩০০-র বেশি উপহার, শ্রীলঙ্কা দিচ্ছে বিশেষ গিফট
Ayodhya Ram Temple: আবার মহারাষ্ট্রের নাগপুরের শেফ বিষ্ণু মনোহর জানান, তিনি বিগ্রহের প্রাণ প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানে আগত ভক্তদের জন্য ৭০০০ হাজার কেজি রাম হালুয়া তৈরি করবেন। এটি মিষ্টি জাতীয় ডিশ। অন্যদিকে, দেশের বড় বস্ত্র শিল্পের ঘাঁটি, গুজরাটের সুরাট শহর থেকে সীতার জন্য বিশেষ শাড়ি যাবে, শাড়িতে রাম ও রামমন্দিরের ছবি প্রিন্ট থাকবে।
অযোধ্যা: অযোধ্যার রামমন্দির উদ্বোধনের আর এক পক্ষকালও বাকি নেই। ইতিমধ্যে গোটা অযোধ্যা শহরজুড়ে ভজন-কীর্তন-সহ বিশেষ অনুষ্ঠান শুরু হয়ে গিয়েছে। এবার রামমন্দিরের জন্য দেশ-বিদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে উপহারও আসতে শুরু করল। ইতিমধ্যে যে সমস্ত উপহার অযোধ্যা শহরে এসে পৌঁছেছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল- ১০৮ ফুট লম্বা ধূপকাঠি, ২১০০ কেজি ওজনের একটি ঘণ্টা, ১১০০ কেজি ওজনের বিশালাকার একটি আলো, সোনার পাদুকা, ১০ ফুট উঁচু তালা এবং চাবি এবং একসঙ্গে ৮টি দেশের সময় নির্ধারক বিশেষ ঘড়ি। রামমন্দির উদ্বোধনের সময়ই এই উপহারগুলি ব্যবহার করা হবে।
প্রতিবেশী দেশগুলি থেকেও বিশেষ-বিশেষ উপহার আসতে চলেছে। এগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, নেপাল ও শ্রীলঙ্কা। এই দেশগুলির সঙ্গে বাল্মীকি রামায়ণের বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। পুরাণ অনুসারে, ভগবান রামের জায়া সীতার জন্মভূমি হল নেপালের জনকপুর। সেই জনকপুর থেকে ৩০০-র বেশি উপহার অযোধ্যায় এসেছে। উপহারগুলির মধ্যে রয়েছে, রুপোর জুতো, গয়না ও শাড়ি। চলতি সপ্তাহেই নেপালের জনকপুর ধাম রামজনকী মন্দির থেকে অযোধ্যায় ৩০টি গাড়ির কনভয়ে করে এই সমস্ত উপহার পাঠানো হয়েছে।
অন্যদিকে, রাবণ সীতাকে অপহণ করে শ্রীলঙ্কার অশোকবনে বন্দি রেখেছিলেন এবং পবন-পুত্র হনুমান সেখানে গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করেন বলে বাল্মীকি রামায়ণে রয়েছে। অশোকবন বর্তমানে অশোক বাটিকা হিসাবে পরিচিত। সেখাব থেকে বিশেষ পাথর অযোধ্যায় রামমন্দিরের জন্য উপহার হিসাবে নিয়ে গিয়েছেন শ্রীলঙ্কার প্রতিনিধিরা।
আবার গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল রামমন্দিরে বিগ্রহের প্রাণ প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে আহমেদাবাদে তৈরি পতাকা উত্তোলনের জন্য ৪৪ ফুট লম্বা পিতলের একটি বড় এবং ৬টি ছোট খুঁটি উপহার দিয়েছেন। গুজরাটও সোনার ফয়েল দিয়ে তৈরি ৫৬ ইঞ্চি নাগরু (ড্রাম) অযোধ্যায় পাঠিয়েছেন। এটি মন্দিরের আঙিনায় বসানো হবে।
১০ ফুট উঁচু তালা গিয়েছে উত্তর প্রদেশ থেকে। আলিগঢ়ের তালানির্মাতা সত্য প্রকাশ শর্মা ৪.৬ ফুট লম্বা, ৯.৫ ইঞ্চি মোটা ও ১০ ফুট উঁচু তালাটি তৈরি করেছেন। তিনি বলেন, এটাই বিশ্বের বৃহত্তম তালা ও চাবি। প্রতীকী তালা হিসাবে মন্দিরে ব্যবহার করার জন্য আমি এটি উপহার দিয়েছি। অন্যদিকে, ৮টি ধাতুতে তৈরি ২১০০ কেজি ওজনের ঘণ্টাটি গিয়েছে উত্তর প্রদেশের এটাহ জেলা থেকে। এটি তৈরি করতে দু-বছর সময় লেগেছে বলে জানিয়েছেন এই ঘণ্টা নির্মাণে কর্মরত এক শিল্পী। আবার ৮টি দেশের সময় বিশিষ্ট ঘড়িটি দিয়েছেন লখনউয়ের সবজি বিক্রেতা অনিল কুমার সাহু। এই ঘড়িটি ভারত ছাড়া টোকিও (জাপান), মস্কো (রাশিয়া), দুবাই (ইউএই), বেজিং (চিন), সিঙ্গাপুর, মেস্কিকো সিটি (মেক্সিকো), ওয়াশিংটন ডিসি ও নিউ ইয়র্ক (ইউএস)-এর সময় দেয়।
আবার মহারাষ্ট্রের নাগপুরের শেফ বিষ্ণু মনোহর জানান, তিনি বিগ্রহের প্রাণ প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানে আগত ভক্তদের জন্য ৭০০০ হাজার কেজি রাম হালুয়া তৈরি করবেন। এটি মিষ্টি জাতীয় ডিশ। অন্যদিকে, দেশের বড় বস্ত্র শিল্পের ঘাঁটি, গুজরাটের সুরাট শহর থেকে সীতার জন্য বিশেষ শাড়ি যাবে, শাড়িতে রাম ও রামমন্দিরের ছবি প্রিন্ট থাকবে। আবার হীরার জন্য বিখ্যাত সুরাটের এক হীরা ব্যবসায়ী রামমন্দিরের আদলে ৫০০০ আমেরিকান ডায়মন্ডস ও ২ কেজি ওজনের একটি নেকলেস তৈরি করছেন। সবমিলিয়ে, আগামী ২২ জানুয়ারি রামমন্দির উদ্বোধনের জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের পাশাপাশি দেখা যাবে চোখধাঁধানো উপহার।