AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Floor Test In Bihar Assembly : আস্থা ভোটে জিতলেন নীতীশ, ‘ঐতিহাসিক ইনিংস’ নিয়ে আশাবাদী তেজস্বী

Floor Test In Bihar Assembly : বিহারে আস্থাভোটে জিতলেন নীতীশ।

Floor Test In Bihar Assembly : আস্থা ভোটে জিতলেন নীতীশ, 'ঐতিহাসিক ইনিংস' নিয়ে আশাবাদী তেজস্বী
ছবি সৌজন্যে : PTI
| Edited By: | Updated on: Aug 24, 2022 | 6:42 PM
Share

পটনা : সদ্য় বিজেপির সঙ্গে জোট ছেড়ে বেরিয়ে এসেছেন জেডিইউ নেতা নীতীশ কুমার। ২০১৫ সালের মতো ফের শিবির বদল করেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরের দিনই কংগ্রেস ও আরজেডির সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকার গঠন করেন তিনি। অষ্টমবারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছেন নীতীশ কুমার। তাঁর ডেপুটি হিসেবে শপথ নিয়েছেন আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব। সংখ্যা গরিষ্ঠতা নিয়ে এই আস্থা ভোট মহাগঠবন্ধনের কাছে ছিল নিয়মমাত্র। পরিষদীয় নিয়ম অনুযায়ী কোনও সরকার গঠনের পর তার সংখ্য়াগরিষ্ঠতা প্রমাণ করা বাধ্যতামূলক। বুধবার বিহার বিধানসভায় নতুন সরকারের এই আস্থা ভোটই অনুষ্ঠিত হয়। আর আস্থা ভোটে জয় হয় মহাগঠবন্ধন সরকারের। ধ্বনি ভোটে জয়ী হন নীতীশ কুমরা। মুখে চওড়া হাসি নিয়ে বের হন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার।

বুধবার মহাগঠবন্ধন সরকারের জন্য ছিল অগ্নিপরীক্ষা। সদ্য় কংগ্রেস, আরজেডির সঙ্গে হাত মিলিয়ে পালাবদল হয় বিহারে। সরকার গঠনের পর এদিন বিধানসভায় ধ্বনিভোটে নিজেদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করলেন নীতীশ কুমার। আস্থা ভোটে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১২২ টি ভোটের। অঙ্কের হিসেব খতিয়ে দেখলে দেখা যায় এই আস্থাভোটে নীতীশের জয় নিশ্চিত ছিল। সেই অঙ্কেই ভর করে হাসতে হাসতেই জিতে গেলেন নীতীশ। তিনি ১৬০ টি ভোট পেয়ে এই আস্থা ভোটে জয়ী হন। এদিকে নীতীশের বিরুদ্ধে ‘রাজনৈতিক বিশ্বাসঘাতকতার’ অভিযোগ তুলে ভোটাভুটির আগেই বিধানসভা থেকে বেরিয়ে যায় বিজেপি। এদিকে অধিবেশন শুরুর আগেই এদিন ইস্তফা দেন স্পিকার বিজয়কিমার সিনহা। তাঁর অনুপস্থিতিতেই আস্থাভোট অনুষ্ঠিত হয় বিহার বিধানসভায়। বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার তথা জেডিইউ বিধায়ক মহেশ্বর হাজারি এই আস্থা ভোটের পরিচালনা করেন।

২৪৩ আসন সমন্বিত বিহারে বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য প্রয়োজন ছিল ১২২ টি ভোটের। রাজ্যপালের কাছে নীতীশ দাবি করেছিলেন তাঁর পাশে রয়েছেন ১৬৪ জন বিধায়ক। বিজেপির রয়েছে ৭৭ জন বিধায়ক। বর্তমানে বিহার বিধানসভায় প্রধান বিরোধী দল এখন বিজেপি। আরজেডির রয়েছে ৭৯ জন বিধায়ক, জেডিইউ-র ৪৫ জন, কংগ্রেসের ১৯ ও বামেদের বিধায়ক সংখ্য়া ১৬। এছাড়াও হামের রয়েছে ৪ জন বিধায়ক। তাঁর নীতীশের পাশেই রয়েছেন। নীতীশের মন্ত্রিসভায় রয়েছেন এক নির্দল বিধায়ক সুমিত সিংহও।

এদিকে আস্থাভোটের আগেই আশাবাদী সুর শোনা যায় নীতীশের ডেপুটি তেজস্বী যাদবের কণ্ঠে। প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা রাজনীতিবিদ তেজস্বী যাদব মহাগঠবন্ধন সরকার সম্বন্ধে ভবিষ্যদ্বাণী করতে গিয়ে ২২ গজের উদাহরণ তুলে ধরেন। তিনি বিধানসভায় দাঁড়িয়ে বলেন, ‘আমি একজন ক্রিকেটার। এই পার্টনারশিপ হইচই ফেলে দেবে। এই ইনিংসের কোনও শেষ নেই। এটি ঐতিহাসিক ইনিংস হবে। আমাদের পার্টনারশিপ দীর্ঘস্থায়ী হবে। কেউ রান আউট হবে না।’