Noida Twin Tower Demolition : ‘১০০ শতাংশ সফল ধ্বংস প্রক্রিয়া’, পড়শি ভবনের কাচের জানালার সামান্য ক্ষতি

Noida Twin Tower Demolition : ৯ সেকেন্ডে গুঁড়িয়ে গেল ৯ বছর ধরে তৈরি হওয়া নির্মাণ। এই নির্মাণ গুঁড়িয়ে দিতে খরচ হয়েছে ২০ কোটি টাকা।

Noida Twin Tower Demolition : '১০০ শতাংশ সফল ধ্বংস প্রক্রিয়া', পড়শি ভবনের কাচের জানালার সামান্য ক্ষতি
ছবি সৌজন্যে : ANI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 28, 2022 | 7:19 PM

নয়ডা : রবিবার গোটা দেশ দেখেছে কুতুব মিনার বা স্ট্যাচু অব লিবার্টির থেকেও বেশি উচ্চতার এক নির্মাণ চোখের নিমেষে গুঁড়িয়ে যেতে। টিক,টিক, টিক…। নয়বার শেষ হতেই চোখের পলকে ধূলিসাৎ হয়ে গেল বহু বছর ধরে দাঁড়িয়ে থাকা ৪০ তলা এই নির্মাণ। এই জোড়া টাওয়ার ধ্বংসের জন্য আয়োজন করা হয়েছিল বিশাল কর্মযজ্ঞের। আশেপাশের কোনও বিল্ডিং বা বাসিন্দাদের যাতে কোনওরকম ক্ষতি না হয় তার জন্য নেওয়া হয়েছিল একাধিক সতর্কতামূলক ব্যবস্থাও। বড়সড় ক্ষতি এড়ানো গেলেও পুরোপুরি এড়ানো গেল না ক্ষতির সম্ভাবনা। আশেপাশের কিছু বিল্ডিংয়ের বাইরের দেওয়াল ও কিছু জানালার ক্ষতি হয়েছে।

এই ধ্বংস অভিযানের দায়িত্বে থাকা ডিসিপি এস রাজেশ বলেছেন, ‘এটিএস গ্রামের ১০ মিটারের একটি বাউন্ডারি দেওয়াল ও কিছু কাচের জানালা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাশের অন্য একটি বাসভবন সুপারটেক এমেরাল্ডের কোনও ক্ষতি হয়নি।’ রবিবার কার্যত, ৯ বছর ধরে গড়া নির্মাণ ৯ সেকেণ্ডে ধূলিসাৎ হতে দেশবাসী। এর আগে ভারতে এত বড় অট্টালিকা এইভাবে ধ্বংস করার কোনও নজির নেই। এদিকে ১০০ টাকার বিমা করিয়ে নয়ডার এই টুইন টাওয়ার ধ্বংস করা হয়েছে। এর ফলে ১০০ মিটারের নির্মাণের ধ্বংসের ফলে আশেপাশের কোনও বাড়ির ক্ষতি হলে তার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা। প্রিমিয়াম ও অন্যান্য খরচ বহন করার কথা নির্মাণকারী সংস্থা সুপারটেকের। এদিকে শুধুমাত্র এই টুইন টাওয়ার ভাঙতেই খরচ হয়েছে ২০ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৫ কোটি দিয়েছে সুপারটেকই। বাকি ১৫ কোটি টাকা এই ধ্বংসাবশেষ বিক্রি করে সংগ্রহ করা হবে। এই ধ্বংস প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত আধিকারিকরা আগে জানিয়েছিলেন যে, প্রায় ৫৫ হাজার টন ধ্বংসাবশেষ তৈরি হতে পারে। তিন মাস ধরে প্রায় ১০০০ টি ট্রাক মোতায়েন করে এই এলাকা পরিষ্কার করার কাজ করা হবে।

এদিকে টুইন টাওয়ার ধ্বংসের আগেই বিভিন্ন সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। আশেপাশের বাড়ি খালি করে দিতে বলা হয়েছিল বাসিন্দাদের। গ্যাস ও বিদ্যুৎ পরিষেবা বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছিল। গ্রেটার নয়ডা এক্সপ্রেসওয়েতে কিছুক্ষণের জন্য যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছিল। এছাড়াও সেক্টর-৯৩ এ-র আশেপাশের বেশ কিছু রাস্তা বন্ধ করা হয়েছিল সেই সময়। বোতামের এক চাপেই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে এই ইমারত। তারপরই ধূলোয় ঢেকে যায় গোটা এলাকা। ধূলি ঝড়ের আশঙ্কা আগেই করা হয়েছিল। তবে এই ধ্বংস প্রক্রিয়া ১০০ শতাংশ সফল বলে জানিয়েছেন এই কাজে যুক্ত এডিফাইসের আধিকারিক চেতন দত্ত। তিনি বলেন, ‘আমি মাত্র ৭০ মিটার দূরে ছিলাম ওই নির্মাণের। ধ্বংস করার প্রক্রিয়া ১০০ শতাংশ সফল। পুরো নির্মাণটি ভেঙে পড়তে ৯ থেকে ১০ সেকেণ্ড সময় নিয়েছে। আমার দলে ১০ জন ছিলেন, ৭ জন বিদেশের বিশেষজ্ঞ ও এডিফাইস ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ২০ থেকে ২৫ জন।’ ধূলোর প্রকোপ কমাতে অ্যান্টি-স্মগ গান ব্যবহার করে জল স্প্রে করা হয়। ধ্বংসের পর নয়ডার সিইও রীতু মহেশ্বরী জানান সন্ধে সাড়ে ৬ টা নাগাদ নিজেদের বাড়ি ফিরতে পারেন স্থানীয় বাসিন্দারা।