Opposition protest: রাতভর সংসদ চত্বরে রিলে অবস্থানে দোলা-শান্তা সহ বিরোধীরা, সকালে খাড়্গের নেতৃত্বে বৈঠকে ‘ইন্ডিয়া’
INDIA: মণিপুর ইস্যুতে প্রতিবাদ আরও জোরাল করতে এবং সরকারের উপর চাপ বাড়ানোর জন্য রণকৌশল স্থির করতেই মল্লিকার্জুন খাড়্গে এই বৈঠকের ডাক দিয়েছেন বলে সূত্রের খবর।
নয়া দিল্লি: মণিপুর (Manipur) ইস্যুতে উত্তাল গোটা দেশ। প্রতিদিনই এই ইস্যুতে বিরোধীদের হই-হট্টগোলে উত্তাল হয়ে উঠছে সংসদ। এর উপর আপ সংসদ সঞ্জয় সিং (AAP MP) -কে সাসপেন্ড করার প্রতিবাদে সরব হয়েছেন বিরোধীরা। আর এর প্রতিবাদে এবার সরকার-বিরোধী সংঘাত পৌঁছল অন্য মাত্রায়। সংসদ চত্বরে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে সোমবার সারারাত রিলে অবস্থান করলেন বিরোধীরা। যার মধ্যে রয়েছেন তৃণমূল সাংসদরাও (TMC MPs)। তারপর সোমবার রাত গড়িয়ে মঙ্গলবার ভোর হয়ে গেলেও রিলে অবস্থান ভঙ্গ করেননি বিরোধীরা।
মূলত, ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে লড়াইয়ের জন্য তৈরি হওয়া বিরোধী-জোট ‘ইন্ডিয়া’-র তরফে সংসদে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে রিলে অবস্থান কর্মসূচি নেওয়া হয়। অর্থাৎ বিভিন্ন বিরোধী রাজনৈতিক দলের সাংসদরা পালা করে রিলে অবস্থানে বসছেন। প্রথমে আপ সাংসদরা অবস্থানে বসলেও পরে ‘ইন্ডিয়া’ জোটের অন্যান্য সাংসদরাও যোগ দেন। যার মধ্যে রয়েছেন কংগ্রেস এবং তৃণমূল সাংসদরা। রাতে প্ল্যাকার্ড হাতে সংসদ চত্বরে অবস্থান কর্মসূচিতে বসে থাকতে দেখা যায় দোলা সেন, জহর সরকার, শান্তা ছেত্রীকে। আপ সাংসদ সঞ্জয় সিংকে সাসপেন্ড করার প্রতিবাদে বিরোধীরা রিলে অবস্থান শুরু করলেও এই অবস্থান কর্মসূচি থেকে মণিপুরের ঘটনারও প্রতিবাদ জানানো হয়। তাই আপ ও কংগ্রেস সাংসদদের হাতে ‘মণিপুরের জন্য ইন্ডিয়া’ প্ল্যাকার্ডও দেখা যায়।
সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় সরকারকে চাপে রাখতেই এবার নতুন রণকৌশল, রাতভর রিলে অবস্থান কর্মসূচি নিয়েছেন বিরোধীরা। মূলত, মণিপুর ইস্যুতে সরকারের উপর চাপ বাড়াতে চাইছেন বিরোধীরা। সোমবার রাতভর রিলে অবস্থান কর্মসূচির পর মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় বৈঠকে বসবে ‘ইন্ডিয়া’ জোট। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে এই বৈঠকের ডাক দিয়েছেন। বিরোধী সংসদীয় দলের সমস্ত নেতারা এই বৈঠকে যোগ দেবেন বলে সূত্রের খবর। মণিপুর ইস্যুতে প্রতিবাদ আরও জোরাল করতে এবং সরকারের উপর চাপ বাড়ানোর জন্য রণকৌশল স্থির করতেই মল্লিকার্জুন খাড়্গে এই বৈঠকের ডাক দিয়েছেন বলে সূত্রের খবর। তবে প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতির দাবির প্রেক্ষিতে বিজেপিও সুর নরম করবে না বলে সূত্রের খবর।
প্রসঙ্গত, মণিপুর ইস্যুতে বাদল অধিবেশনের শুরু থেকেই উত্তাল হয়ে উঠেছে সংসদের দুই কক্ষ। অন্যান্য বিরোধী সাংসদদের পাশাপাশি রাজ্যসভায় জোরাল বিক্ষোভ দেখান আপ সংসদ সঞ্জয় সিং। সোমবারও তিনি অধিবেশন চলাকালীন বিক্ষোভ দেখান। উপ-রাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় তাঁকে আসন গ্রহণ করতে বললেও তিনি প্রতিবাদ জারি রাখেন। এরপর তাঁকে সাসপেন্ড করার প্রস্তাব দেন বিজেপি সাংসদ পীযূষ গোয়েল। সেই প্রস্তাব মেনে বাদল অধিবেশন থেকে সাসপেন্ড করা হয় আপ সাংসদ সঞ্জয় সিংকে। এরপরই তীব্র প্রতিবাদে সরব হন সমস্ত বিরোধী দলের সাংসদরা। সন্ধ্যেয় সঞ্জয় সিংয়ের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে সন্ধ্যাতেই রিলে অবস্থানে যোগ দেন তৃণমূলের সাংসদরা।
বিরোধীদের রিলে অবস্থান কর্মসূচি অবশ্য নতুন নয়। গত বছর বাদল অধিবেশনে ২০ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়। তার প্রতিবাদে টানা ৫০ ঘণ্টা রিলে অবস্থান চালিয়েছিল বিরোধীরা।