Organ Donation: সত্যিই ‘দেবশিশু’, ৪ দিনের জন্য পৃথিবীতে এসে প্রাণ বাঁচাল ৬ শিশুর!
Surat: গত ১৩ অক্টোবরের ঘটনা। সুরাটের ভালক পটিয়ার কাছে গীতাঞ্জলি রো হাউসে আমরেলির এক দম্পতির পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। জন্মের পর শিশুটি নড়াচড়াও করেনি, কাঁদেওনি। এরপর তাকে শিশুদের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। রাখা হয় ভেন্টিলেটরে।
সুরাট: মাত্র ১১১ ঘণ্টার জীবন। এই অল্প সময়ের জন্য পৃথিবীতে এসে ৬ জনকে দিয়ে গেল নতুন জন্ম। নবজাতক চোখ বুজল, অথচ ৬ জনের শরীরে দিয়ে গেল নতুন প্রাণ। ভারতের ইতিহাসে অঙ্গদানের সবচেয়ে বড় ঘটনা বোধহয় এটাই। জন্মের পর ৫ দিনও পৃথিবীতে থাকেনি সে। তারই অঙ্গ প্রতিস্থাপিত হল ৬ জনের দেহে। সুরাটের এই ঘটনা হইচই ফেলে দিয়েছে।
গত ১৩ অক্টোবরের ঘটনা। সুরাটের ভালক পটিয়ার কাছে গীতাঞ্জলি রো হাউসে আমরেলির এক দম্পতির পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। জন্মের পর শিশুটি নড়াচড়াও করেনি, কাঁদেওনি। এরপর তাকে শিশুদের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। রাখা হয় ভেন্টিলেটরে।
হর্ষভাই জানান, “ডাক্তাররা সবরকম চেষ্টা করেছিল। কিন্তু আমার সন্তানের ব্রেন ডেথ হয়ে যায়। আমি, আমার স্ত্রী অঙ্গদান সম্পর্কে জানতাম। ভাবলাম আমাদের সন্তানকে বাঁচাতে পারলাম। আমাদের ঘর না হয় দীপাবলিতে অন্ধকার হয়ে থাকবে। কিন্তু অন্য কারও ঘরে তো আমরা আলো জ্বালাতেই পারি।”
এরপরই ওই পরিবার নবজাতকের অঙ্গদানের সিদ্ধান্ত নেয়। অঙ্গদানের কাজ করে এমন এক সংস্থার সঙ্গে তারা যোগাযোগ করে। ছোট্ট শরীর থেকে ২টি কিডনি, ২টি কর্ণিয়া, লিভার, প্লীহা অন্য কোনও ছোট্ট শরীরে প্রতিস্থাপনের ব্যবস্থা করা হয়। আট মাসের এক শিশুর শরীরে প্রতিস্থাপিত হবে কিডনি। ১০ মাসের শিশুর শরীরে প্রতিস্থাপিত হবে লিভার। সুরাটের নিউ সিভিল হাসপাতালের প্লাস্টিক সার্জেন ও অ্যাসিসট্যান্ট প্রফেসর চিকিৎসক নীলেশ কাচারিয়া বলেন, দেশের কনিষ্ঠতম রোগীর অঙ্গদানের নজির তৈরি হল।