Parliament Monsoon Session: জুলাইয়ের তৃতীয় সপ্তাহেই বসছে বাদল অধিবেশন, নতুন না পুরনো সংসদ ভবনে বসবে এই অধিবেশন?
Parliament: জুলাইয়ের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে বাদল অধিবেশন শুরু হতে চলেছে। অধিবেশন শুরুর সম্ভাব্য দিন ১৭ জুলাই। এই তারিখ পিছিয়ে ২০ জুলাইও হতে পারে। আগামী ১০ অগস্ট অবধি এই অধিবেশন হতে পারে।
নয়া দিল্লি: পুরনো সংসদ ভবনে হয়েছিল বাজেট অধিবেশন। এবার বসতে চলেছে বাদল অধিবেশন। তবে পুরনো সংসদ ভবনে নাকি নতুন সংসদ ভবনে বসবে এই অধিবেশন, তা নিয়ে এখনও সংশয় রয়ে গিয়েছে। জুলাই মাসের তৃতীয় সপ্তাহেই বসতে চলেছে সংসদের বাদল অধিবেশন। কেন্দ্রীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ১৭ জুলাই থেকে শুরু হতে চলেছে বাদল অধিবেশন। ১০ অগস্ট অবধি চলতে পারে অধিবেশন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের নেতৃত্বে আগামী দু-একদিনের মধ্যেই সংসদীয় কমিটির বৈঠক বসতে চলেছে। ওই বৈঠকেই অধিবেশনের দিন চূড়ান্ত করা হবে। এবারের অধিবেশনের অন্যতম আকর্ষণ হতে পারে নতুন সংসদ ভবন।
মঙ্গলবারই সংসদ সূত্রে জানা যায়, জুলাইয়ের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে বাদল অধিবেশন শুরু হতে চলেছে। অধিবেশন শুরুর সম্ভাব্য দিন ১৭ জুলাই। এই তারিখ পিছিয়ে ২০ জুলাইও হতে পারে। আগামী ১০ অগস্ট অবধি এই অধিবেশন হতে পারে। দুই-একদিনের মধ্যেই সংসদীয় কমিটির বৈঠক বসতে চলেছে। কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের নেতৃত্বে বসা ওই বৈঠকেই অধিবেশনের দিন চূড়ান্ত হতে পারে।
তবে সংসদ সূত্রে জানা গিয়েছে, নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন হয়ে গেলেও, ভিতরে এখনও বেশ কিছু কাজ বাকি রয়েছে। এক মাসেরও কম সময়ে এই কাজ শেষ করা কার্যত অসম্ভব। ফলে নতুন সংসদ ভবনে এবার বাদল অধিবেশন হবে কিনা, তা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে।
এদিকে, এবারের অধিবেশনে সবথেকে বেশি বিতর্ক হতে পারে কেন্দ্রীয় সরকারের দিল্লিতে লেফটেন্যান্ট গভর্নরের ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য আনা অধ্যাদেশ নিয়েই। দিল্লির শাসক দল আম আদমি পার্টি এই অধ্যাদেশ নিয়ে প্রথম থেকেই বিরোধিতা করছে। তাদের অভিযোগ, সুপ্রিম কোর্টের তরফে দিল্লি সরকারের যে ক্ষমতা বন্টন করে দিয়েছে, তাতে সাফ জানানো হয়েছিল জমি, পুলিশ ও আইন-শৃঙ্খলা ছাড়া বাকি সমস্ত প্রশাসনিক ক্ষেত্রেই দিল্লির নির্বাচিত সরকারের অধিকার থাকবে। এরমধ্যে অন্তর্গত আমলাদের নিয়োগ ও বদলিও।
কিন্তু, এরপরই কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে একটি অধ্যাদেশ আনা হয়, যেখানে দিল্লিতে আমলাদের নিয়োগ ও বদলির ক্ষমতা লেফটেন্যান্ট গভর্নরের হাতেই থাকবে। আসন্ন বাদল অধিবেশনেই এই অধ্যাদেশ পেশ করা হতে পারে। আপ এই অধ্যাদেশের বিরোধিতা করবে। তৃণমূল সহ একাধিক দলও আপ-কে সমর্থন করবে বলেই জানিয়েছে।