AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Uniform Civil Code: ‘আগে হিন্দু ধর্মে চালু করুন’, অভিন্ন দেওয়ানি বিধির বিরোধিতায় এককাট্টা স্ট্যালিন-ওয়াইসির দল

Controversy: মধ্য প্রদেশে প্রধানমন্ত্রী মোদীর সভার পরই মঙ্গলবার রাতে অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড ভার্চুয়াল মাধ্যমে জরুরি বৈঠকে বসে। প্রায় তিন ঘণ্টা চলে সেই বৈঠক। 

Uniform Civil Code: 'আগে হিন্দু ধর্মে চালু করুন', অভিন্ন দেওয়ানি বিধির বিরোধিতায় এককাট্টা স্ট্যালিন-ওয়াইসির দল
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।Image Credit: PTI
| Edited By: | Updated on: Jun 28, 2023 | 11:30 AM
Share

নয়া দিল্লি: বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। ইতিমধ্যেই কোমর বেঁধে প্রচারে নেমে পড়েছে শাসক ও বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মুখেও শোনা গেল অভিন্ন দেওয়ানি নীতির সপক্ষেই সওয়াল। মধ্য প্রদেশের ভোপালে বিজেপির কর্মিসভা থেকেই অভিন্ন দেওয়ানি বিধিকে সমর্থন করে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, “পরিবারের প্রত্যেক সদস্যের জন্য আলাদা আইন থাকলে সংসার চলবে কী করে?”। এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্যের পরই অভিন্ন দেওয়ানি বিধির বিরোধিতা করতে একজোট হয়েছে বিরোধীরা। গতকাল রাতেই বৈঠকে বসে মুসলিম ল বোর্ড। অন্যদিকে, কংগ্রেস, ডিএমকে ও এআইএমআইএম-র তরফেও কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বিভাজনের রাজনীতি করার অভিযোগ আনা হয়েছে।

মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী মোদীও অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু করার ইঙ্গিত দিতেই বিরোধীরা সুর চড়িয়েছেন। তাদের বক্তব্য, মণিপুরের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী চুপ। মূল্যবদ্ধি, বেকারত্বের মতো ইস্যুতে কথা না বলে প্রধানমন্ত্রী অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু করার কথা বলছেন।

মধ্য প্রদেশে প্রধানমন্ত্রী মোদীর সভার পরই মঙ্গলবার রাতে অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড ভার্চুয়াল মাধ্যমে জরুরি বৈঠকে বসে। প্রায় তিন ঘণ্টা চলে সেই বৈঠক।  ওই বৈঠকে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে আইনি দিকগুলি আলোচনা করা হয়। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, মুসলিম ল বোর্ড আইন কমিশনের কাছে একটি খসড়া প্রস্তাব পেশ করবে। বিভিন্ন আইনজীবী ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলেই এই প্রস্তাবনা তৈরি করা হবে।

অন্য়দিকে, ডিএমকে নেতা টিকেএস এলানগোভান বলেন, “অভিন্ন দেওয়ানি বিধি প্রথমে হিন্দু ধর্মে লাগু করা উচিত। জনজাতি, উপজাতি সহ সমস্ত মানুষকেই মন্দিরে পুজো করার অনুমতি দিতে হবে। আমরা অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চাই না কারণ সংবিধানে সমস্ত ধর্মকে সুরক্ষা দেওয়া হয়েছে।”

অন্যদিকে, কংগ্রেসের তরফেও কেসি বেণুগোপাল বিবৃতি জারি করে বলেন, “ওঁর আগে দেশের দারিদ্রতা, মূল্যবৃদ্ধি ও বেকারত্ব নিয়ে জবাব দেওয়া উচিত।”