Parliament Security Breach: সোশ্যাল মিডিয়ায় আলাপ অভিযুক্ত ছয়ের, সংসদে হামলার পিছনে ‘আসল’ কারণ কী জানেন?
Home Ministry: বুধবার সংসদের ভিতর থেকে দুই যুবক ও সংসদ চত্বরের বাইরে থেকে এক যুবক-যুবতীকে আটক করে পুলিশ। সংসদের বাইরে হলুদ স্মোক বম্ব নিয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিল নীলম নামের এক যুবতী ও আনমোল নামক এক যুবক। দূর থেকে তাদের ভিডিয়ো রেকর্ড করছিল এক ব্যক্তি। নীলম ও আনমোলকে গ্রেফতার করা হলেও, যে ব্যক্তি গোটা ঘটনাটি রেকর্ড করছিলেন, তিনি পালিয়ে যান।
নয়া দিল্লি: ফিরে এল ২০০১ সালের স্মৃতি। সংসদে হামলার ২২তম বর্ষপূর্তির দিনই তুমুল আতঙ্ক। উঠে এল নিরাপত্তায় বড়সড় গাফিলতির চিত্র (Security Breach in Parliament)। সংসদের অধিবেশন চলাকালীনই দুই যুবক দর্শকাসন থেকে ঝাঁপ দেয়। এক যুবক হলুদ রঙের স্মোক বম্ব (Smoke Bomb) খুলে স্পিকারের দিকে ছুটে যান। এই ঘটনা ঘিরেই ব্যাপক আতঙ্ক ছড়ায় সংসদের ভিতরে। নিরাপত্তায় গাফিলতি সামনে আসতেই তা নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। বুধবারই তৈরি করা হয় তদন্তকারী কমিটি। এদিকে, দিল্লি পুলিশ ইতিমধ্যেই ছয়জনের হদিশ পেয়েছে, যারা সংসদে এই হামলার সঙ্গে জড়িত ছিল। এদের মধ্যে পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পলাতক একজন।
সংসদে স্মোক বম্ব নিয়ে হামলায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। কমিটির দায়িত্বে থাকবেন সিআরপিএফের ডিরেক্টর জেনারেল অনীশ দয়াল সিংহ। কমিটির সদস্য হিসেবে থাকবেন অন্যান্য নিরাপত্তা সংস্থা এবং বিশেষজ্ঞরা।
অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তদন্তের দায়িত্ব নিয়েছে দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেলের কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স ইউনিট। অভিযুক্ত চারজনকে আজ পেশ করা হবে পাতিয়ালা কোর্টে। পুলিশ হেফাজত চাইবে তদন্তকারীরা। ঘটনায় অভিযুক্ত ললিত ঝা নামক একজন এখনও পলাতক। দিল্লি পুলিশ সূত্রে খবর, চার যুবককে জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ললিতের খোঁজে দিল্লি এবং দিল্লির বাইরে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি অভিযান চলছে।
জানা গিয়েছে, বুধবারই সংসদের ভিতর থেকে দুই যুবক ও সংসদ চত্বরের বাইরে থেকে এক যুবক-যুবতীকে আটক করে পুলিশ। সংসদের বাইরে হলুদ স্মোক বম্ব নিয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিল নীলম নামের এক যুবতী ও আনমোল নামক এক যুবক। দূর থেকে তাদের ভিডিয়ো রেকর্ড করছিল এক ব্যক্তি। নীলম ও আনমোলকে গ্রেফতার করা হলেও, যে ব্যক্তি গোটা ঘটনাটি রেকর্ড করছিলেন, তিনি পালিয়ে যান। পরে পুলিশ তাঁকে গুরুগ্রাম থেকে গ্রেফতার করে।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ছয়জনের সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে পরিচয় হয়েছিল। বিগত চার বছর ধরে তাঁরা একে অপরকে চেনে। বেকারত্বের ইস্যু নিয়ে কেন্দ্রের দৃষ্টি আকর্ষণ করতেই নাকি তাঁরা এই ছক কষেছিল। একইসঙ্গে বিখ্যাত হওয়ারও স্বপ্ন ছিল সকলের। সেই কারণেই এই ছক কষা। এমনকী, সংসদ চত্বরের রেপ্লিকাও তৈরি করে তাঁরা পরিকল্পনাকে নিখুঁতভাবে বাস্তবায়িত করার জন্য। ছয়জনই সংসদের ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু সাগর শর্মা ও মনোরঞ্জন ডি নামক ওই দুই যুবকই একমাত্র পাস পায়। অভিযুক্তদের কাছ থেকে অন্য কোনও অস্ত্র পাওয়া যায়নি। এখনও অবধি তাদের সঙ্গে কোনও সন্ত্রাসবাদী যোগও খুঁজে পাওয়া যায়নি।