AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Modi meeting over Bangladesh protest: হাসিনাকে কি আশ্রয় দেবে ভারত? কী ঠিক হল মোদীর বৈঠকে?

Modi meeting over Bangladesh protest: সোমবার (৫ জুলাই), হাসিনা দিল্লিতে আসার পর, বায়ুসেনার হিন্দোন ঘাঁটিতে তাঁর সঙ্গে প্রায় ১ ঘণ্টা বৈঠক করেন ভারতের নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। এরপরই, বাংলাদেশ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ক্যাবিনেট বৈঠকে ডেকেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কী আলোচনা হল সেই বৈঠকে?

Modi meeting over Bangladesh protest: হাসিনাকে কি আশ্রয় দেবে ভারত? কী ঠিক হল মোদীর বৈঠকে?
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মোদীImage Credit: TV9 Bangla
| Updated on: Aug 05, 2024 | 11:02 PM
Share

নয়া দিল্লি: বাংলাদেশে টালমাটাল পরিস্থিতি। তীব্র ডামাডোলের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছেড়ে ভারতে চলে এসেছেন শেখ হাসিনা। সঙ্গে আছেন তাঁর বোন শেখ রেহানা। সোমবার (৫ জুলাই), হাসিনা দিল্লিতে আসার পর, বায়ুসেনার হিন্দোন ঘাঁটিতে তাঁর সঙ্গে প্রায় ১ ঘণ্টা বৈঠক করেন ভারতের নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। এরপরই, বাংলাদেশ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ক্যাবিনেট বৈঠকে ডেকেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রী সঙ্গে সিনিয়র মন্ত্রীদের বৈঠকের সমান্তরালে ক্যাবিনেট কমিটি অন সিকিউরিটির বৈঠকও হয়।

বৈঠকে মূলত দুটি বিবেচ্য বিষয় ছিল। প্রথমত, শেখ হাসিনা ভারতে স্থায়ী আশ্রয় চাইলে নয়া দিল্লির অবস্থান কী হবে? দ্বিতীয়ত, এই মুহূর্তে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা সুনিশ্চিত কীভাবে করা হবে। হাসিনা এখনও পর্যন্ত ভারত সরকারের কোনও সাহায্য চাননি বলেই খবর রয়েছে। তিনি না চাইলে, ভারত আগ বাড়িয়ে আশ্রয় দিতে পারে না। এই অবস্থায়, বৈঠকে কী সিদ্ধান্ত হয়েছে তা জানা যায়নি।

এর পাশাপাশি, বাংলাদেশে আটকে পড়া ভারতীয়দের কীভাবে দেশে ফেরানো হবে, তা নিয়েও আলোচনা হয়। ঠিক হয়েছে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সঙ্গে কথা বলে আগামীকাল থেকেই বাংলাদেশে আটকে পড়া ভারতীয়দের ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। এছাড়া, বাংলাদেশের এই অশান্তর জেরে সীমান্তবর্তী ভারতীয় এলাকাগুলিতে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশের চেষ্টা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যদি উদ্বাস্তুদের চাপ তৈরি হয়, সেই ক্ষেত্রে ভারতের কূটনৈতিক অবস্থান কী হবে, তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে এই বৈঠকে। বৈঠকের পরই সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতে ডিআইজি এবং তার উপরের স্তরের পুলিশ আধিকারিকদের, সীমান্তবর্তী থানাগুলিতে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এদিনের বৈঠকে ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন, বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। ছিলেন প্রধান নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালও। এছাড়া, ক্যাবিনেট সচিব, বিদেশ সচিব, প্রধানমন্ত্রী দফতরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারিরা ছিলেন। উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র ও বিদেশ মন্ত্রকের শীর্ষ আধিকারিকরাও। ছিলেন বিএসএফের শীর্ষ কর্তারাও। এর পাশাপাশি ভারতীয় বায়ুসেনার ওয়েস্টার্ন এয়ার কমান্ডের চিফ এয়ার মার্শাল পি এম সিনহা হাসিনার সঙ্গে দেখা করেছেন বলে সূত্রের খবর।