PM Modi: ‘আদি মহোৎসবের’ উদ্বোধন মোদীর, গায়ে দিয়ে দেখলেন জনজাতিদের হাতে তৈরি জ্যাকেট
PM Modi: দিল্লিতে 'আদি মহোৎসবের' উদ্বোধন করলেন মোদী। সেখানে জনজাতিদের তৈরি জিনিস হাতে নিয়ে দেখলেন তিনি।
নয়া দিল্লি: দিল্লিতে মেজর ধ্যানচাঁদ জাতীয় স্টেডিয়ামে (Major Dhyan Chand National Stadium) ‘আদি মহোৎসব’-র (Aadi Mahotsav) আয়োজন করা হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে। বৃহস্পতিবার এই জাতীয় আদিবাসী উৎসবের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় জনজাতি বিষয়ক মন্ত্রী অর্জুন মুন্ডা (Arjun Munda)। জাতীয় স্তরে আদিবাসী সংস্কৃতি, তাঁদের কাজ তুলে ধরার জন্য এই উৎসবের আয়োজন করেছে কেন্দ্রীয় আদিবাসী বিষয়ক মন্ত্রক।
এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধনের পাশাপাশি এ দিন স্বাধীনতা সংগ্রামী বীরসা মুন্ডাকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি এদিন বিভিন্ন স্টলে ঘুরে ঘুরে আদিবাসীদের হাতে তৈরি জিনিস দেখেন। গায়ে পরে দেখেন কোটও। তিনি এ দিন উৎসবের উদ্বোধন করার পর বক্তব্যও রাখেন। তিনি বলেছেন, “গত ৮-৯ বছরে আদিবাসী সম্প্রদায়ের সঙ্গে যুক্ত আদি মহোৎসবের মতো অনুষ্ঠানগুলি দেশের জন্য একটি প্রচারাভিযানে পরিণত হয়েছে। আমি নিজেও এ ধরনের বেশ কিছু অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছি। আদিবাসী সম্প্রদায়ের কল্যাণ আমার কাছে ব্যক্তিগত সম্পর্ক এবং অনুভূতির একটি বিষয়।”
মোদী এদিন কংগ্রেসকে বিঁধে বলেন, “একবিংশ শতাব্দীর ভারত ‘সবকা সাথ,সবকা বিকাশ’ মন্ত্রে হাঁটছে। পূর্ববর্তী সরকারের শাসনামলে বাঁশ কাটা এবং এর ব্যবহার আইনত নিষিদ্ধ ছিল। আমরা বাঁশকে ঘাসের শ্রেণিতে নিয়ে এসেছি এবং এর উপর সমস্ত নিষেধাজ্ঞা বাতিল করেছি। এর ফলে বাঁশের পণ্যগুলি একটি বড় শিল্পের অংশ হয়ে উঠছে।” তিনি এ দিন বলেছেন, “আজ ভারতের ঐতিহ্যবাহী পণ্যগুলির চাহিদা, বিশেষত উপজাতি সম্প্রদায়ের তৈরি পণ্যগুলির চাহিদা ক্রমাগত বাড়ছে। উত্তর-পূর্বের পণ্যগুলি এমনকী বিদেশেও রফতানি করা হচ্ছে। বাঁশের পণ্যের চাহিদা দ্রুত বাড়ছে।” তিনি এ দিন বলেছেন, দিল্লি থেকে প্রত্যন্ত এলাকায় গিয়ে তাঁদের প্রতিভা জনসমক্ষে তুলে ধরছে সরকার।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তরফে জানানো হয়েছে, এই আদিবাসীদের সংস্কৃতিকে তুলে ধরার জন্য জনজাতি বিষয়ক মন্ত্রকের অধীনে ট্রাইবাল কোঅপারেটিভ মার্কেটিং ডেভেলপমেন্ট ফেডারেশন লিমিটেড (TRIFED) এই’আদি মহোৎসবের’ আয়োজন করেছে। এই উৎসব আদিবাসী সংস্কৃতি, হাতের কাজ, খাবার, বাণিজ্য ও ঐতিহ্যবাহী শিল্পকে তুলে ধরা হয়। প্রতি বছরই এই উৎসবের আয়োজন করা হচ্ছে কেন্দ্রের তরফে। এই বছর মেজর ধ্যানচাঁদ জাতীয় স্টেডিয়ামে ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৭ ফেব্রুয়ারি এই উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। এই স্টেডিয়ামে মোট ২০০ টি দোকান স্থাপন করা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন আদিবাসী সম্প্রদায়ের সমৃদ্ধ ও বৈচিত্র্যময় ঐতিহ্যকে তুলে ধরা হবে এইসব স্টলে। প্রায় ১ হাজার জনের কাছাকাছি আদিবাসী শিল্পী এই মহোৎসবে অংশ নেবেন।