PM Narendra Modi: সংসদে আজ জবাবি ভাষণ প্রধানমন্ত্রীর, রাহুলের ‘হত্যাকারী’ তকমার উত্তরে কী বলবেন মোদী?
No Confidence Motion: বুধবারই বিরোধীদের অভিযোগের পাল্টা জবাবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, "মণিপুরের হিংসা অবশ্যই নিন্দনীয়, কিন্তু তার থেকেও বেশি নিন্দনীয় সেই পরিস্থিতি নিয়ে রাজনীতি করা। সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়েছে।"
নয়া দিল্লি: হাইভোল্টেজ বৃহস্পতিবারে গোটা দেশের নজর সংসদের (Parliament) উপরে। কারণ, আজ, ১০ অগস্ট সংসদের লোকসভায় বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাবের জবাবি বক্তৃতা দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। মণিপুরের হিংসা ও অশান্ত পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী সংসদে কী বক্তব্য রাখেন, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের। একদিকে, কংগ্রেস সহ বিরোধী দলগুলি যেখানে কেন্দ্রকে কোণঠাসা করতে মরিয়া, সেখানেই বিরোধী জোট ও কংগ্রেসের পরিবারতন্ত্র নিয়ে আক্রমণ করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী মোদী, এমনটাই সূত্রের খবর।
মণিপুর ইস্যু নিয়ে কেন প্রধানমন্ত্রী কেন চুপ? চলতি বাদল অধিবেশনের শুরু থেকেই এই বিষয়কে হাতিয়ার করেছে বিরোধীরা। মণিপুর নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতির দাবি জানিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনে বিরোধী দলগুলি। গত ৮ অগস্ট থেকে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। আজ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিকেল ৪টেয় সংসদের নিম্নকক্ষে মণিপুর নিয়ে বক্তব্য় রাখবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
At around 4 PM this evening, PM @narendramodi will be taking part in the discussion on the Motion of No-Confidence.
— PMO India (@PMOIndia) August 10, 2023
মণিপুর নিয়ে সরকারের নিশ্চুপ থাকা নিয়ে একদিকে যেখানে বিরোধীরা আক্রমণ করেছে কেন্দ্রকে, সেখানেই কেন্দ্র উন্নয়নমূলক কাজের খতিয়ান দিয়েছে। বুধবারই রাহুল গান্ধী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মণিপুরে যাচ্ছেন না কারণ তিনি মণিপুরকে দেশের অংশ বলে মনে করেন না। ভারতের হত্যা করছেন তিনি। আপনি মণিপুরকে ভাগ করেছেন।”
অন্যদিকে, বিরোধীদের অভিযোগের পাল্টা জবাবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “মণিপুরের হিংসা অবশ্যই নিন্দনীয়, কিন্তু তার থেকেও বেশি নিন্দনীয় সেই পরিস্থিতি নিয়ে রাজনীতি করা। সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়েছে।”
সূত্রের খবর, আজ অনাস্থা প্রস্তাবের জবাবি বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী মূলত বিরোধী ইন্ডিয়া জোটকেই নিশানা করবেন। পাশাপাশি কংগ্রেসোর পরিবারতন্ত্র নিয়েও আক্রমণ শানাবেন তিনি। অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা শুরুর আগেও প্রধানমন্ত্রী সাংসদদের নিয়ে যে বৈঠক করেছিলেন, সেখানে বলেছিলেন, “লোকসভা নির্বাচনের আগে এটা সেমিফাইনাল। বিরোধীদের নিজের জোটের প্রতিই আস্থা নেই, তাই অনাস্থা প্রস্তাব এনেছে। বিরোধীরা শেষ বলে ছক্কা হাঁকাতে চাইছে। একটা বলও ছাড়া যাবে না। সব বল মাঠের বাইরে পাঠাতে হবে।”
অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে ভোটাভুটি হলে বিজেপি শাসিত এনডিএ-ই জয়ী হবে। লোকসভায় ৩৩১ জন সদস্য রয়েছে। সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ২৭২ ভোট। বিজেপির একাই ৩০৩ জন সাংসদ রয়েছে সংসদের নিম্নকক্ষে। অন্যদিকে, ইন্ডিয়া জোটের ১৪৪ জন সাংসদ রয়েছে। যদি বিআরএস সমর্থন জানায়, তবে আরও ৯টি ভোট বাড়তে পারে। তাতেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা পার করবে না বিরোধীরা।