Supreme Court: বিচারপতি ভার্মার বিরুদ্ধে এখনই FIR নয়, যুক্তি দিয়ে বোঝাল সুপ্রিম কোর্ট
Supreme Court: বিচারপতির বাড়ি থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধারের ঘটনায় তিন বিচারপতিকে নিয়ে অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি গঠন করেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না। একইসঙ্গে বিচারপতি ভার্মাকে দিল্লি হাইকোর্ট থেকে এলাহাবাদ হাইকোর্টে বদলির সুপারিশ করে সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম।

নয়াদিল্লি: দিল্লিতে তাঁর সরকারি বাসভবন থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে। তারপর কেটে গিয়েছে বেশ কয়েকদিন। এই পরিস্থিতিতে বিচারপতি যশবন্ত ভার্মার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়েরের আবেদন জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে একটি আবেদন জমা পড়ে। শুক্রবার সেই আবেদনের শুনানিতে শীর্ষ আদালতের বিচারপতি অভয় এস ওকা এবং বিচারপতি বিচারপতি উজ্জ্বল ভুঁইয়ার ডিভিশন বেঞ্চ জানাল, আবেদনটি অকালপক্ক। বিচারপতির বাসভবন থেকে টাকা উদ্ধারের ঘটনায় গঠিত তিন সদস্যের অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটির রিপোর্ট আসার পর সবরকম পথ খোলা থাকছে বলে এদিন বিচারপতিরা জানান।
গত ১৪ মার্চ বিচারপতি ভার্মার সরকারি আবাসনের স্টোররুমে আগুন লাগে। আগুন নেভাতে এসে দমকলকর্মীরা কোটি কোটি টাকা উদ্ধার করেন। বিষয়টি নিয়ে শোরগোল পড়ে।
আইনজীবী ম্যাথুজ জে নেদামপারা ও আরও তিনজন গত রবিবার সুপ্রিম কোর্টে একটি আবেদন করেন। বিচারপতি ভার্মার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়েরের জন্য পুলিশকে নির্দেশ দিতে আবেদন করেন। একইসঙ্গে ১৯৯১ সালের সুপ্রিম কোর্টের একটি রায়কেও চ্যালেঞ্জ করেন তাঁরা। সুপ্রিম কোর্টের ওই রায় বলছে, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির আগাম অনুমোদন ছাড়া হাইকোর্ট কিংবা সুপ্রিম কোর্টের কোনও বিচারপতির বিরুদ্ধে ফৌজদারি তদন্ত করা যাবে না।
এই খবরটিও পড়ুন




গত বুধবার প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার বেঞ্চ এই ইস্যুতে দ্রুত শুনানির আবেদন খারিজ করে দেয়। বিচারপতির বাড়ি থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধারের ঘটনায় তিন বিচারপতিকে নিয়ে অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি গঠন করেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না। একইসঙ্গে বিচারপতি ভার্মাকে দিল্লি হাইকোর্ট থেকে এলাহাবাদ হাইকোর্টে বদলির সুপারিশ করে সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম। আবার অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটির সদস্যরা বিচারপতি ভার্মার বাসভবনেও তদন্তে যান।
এদিন বিচারপতি অভয় এস ওকা এবং বিচারপতি বিচারপতি উজ্জ্বল ভুঁইয়ার ডিভিশন বেঞ্চ বলে, “আমরা আপনার আবেদেন দেখেছি। তদন্ত শেষ হওয়ার পর নানা পথ খোলা থাকবে। তখন প্রধান বিচারপতি এফআইআর দায়েরের অনুমতি দিতে পারেন। কিংবা রিপোর্টটি দেখার পর সংসদের কাছে বিষয়টি পাঠাতে পারেন। এই আবেদন বিবেচনা করার সময় নয় এটা। রিপোর্ট পাওয়ার পর সব পথ খোলা থাকছে। এই আবেদন অকালপক্ক।”
এদিকে,তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিচারপতি ভার্মা। তিনি জানান, তিনি কিংবা তাঁর পরিবারের কেউই স্টোররুমে কোনও টাকা রাখেননি।





