Assam: অসমে নির্বাচনী আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাসে অনুমোদন রাষ্ট্রপতির
Assam delimitation: অসমের সীমানা পুনর্বিন্যাসের ক্ষেত্রে আর কোনও বাধা রইল না। তবে, এই পদক্ষেপ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে রাজ্যের সংখ্যালঘু এবং আদিবাসী সংগঠনগুলি। তাদের অভিযোগ, সীমানা পুনর্বিন্যাসের ফলে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকাগুলির আসন সংখ্যা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে।
গুয়াহাটি: অসমের লোকসভা ও বিধানসভা কেন্দ্রগুলির আসন পুনর্বিন্যাসে অনুমোদন দিলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। গত শুক্রবার (১১ অগস্ট) এই বিষয়ে চূড়ান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল ভারতের নির্বাচন কমিশন। বুধবার (১৬ অগস্ট), মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা জানিয়েছেন, রাষ্ট্রপতি সেই বিজ্ঞপ্তি অনুমোদন করেছেন। তিনি এই পদক্ষেপকে অসমের ইতিহাসে উল্লেখযোগ্য মাইলফলক বলেছেন। এর ফলে, অসমের সীমানা পুনর্বিন্যাসের ক্ষেত্রে আর কোনও বাধা রইল না। তবে, এই পদক্ষেপ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে রাজ্যের সংখ্যালঘু এবং আদিবাসী সংগঠনগুলি। তাদের অভিযোগ, সীমানা পুনর্বিন্যাসের ফলে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকাগুলির আসন সংখ্যা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। যার জেরে, বর্তমান বিধায়কদের কয়েকজনের হাতছাড়া হচ্ছে তাদের নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকা।
গত শুক্রবার, ১৯৫০ সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ৮-এর ক ধারায় অসমের সংসদীয় ও বিধানসভা কেন্দ্রগুলির সীমানা পুনর্বিন্যাস সম্পর্কে চূড়ান্ত রায় প্রকাশ করেছিল নির্বাচন কমিশন। অসমে বর্তমানে ১২৬টি বিধঝানসভা এবং ১৪টি লোকসভা আসন রয়েছে। কমিশনের সর্বশেষ প্রতিবেদনে এই আসন সংখ্যা কমানো বা বাড়ানো হয়নি। তবে, ১টি সংসদীয় কেন্দ্র এবং ১৯টি বিধানসভা কেন্দ্রের নামে উল্লেখযোগ্য বদল করা হয়েছে। জনসাধারণের দাবি মেনে বেশ কয়েকটি বিধানসভা কেন্দ্রের নাম দেওয়া হয়েছে দুটি এলাকার নাম জুড়ে। যেমন, দারাং-উদালগিরি, হাজো-সুয়ালকুচি, বোকো-ছায়গাঁও, নওগাঁও-বাটাদ্রবা, ভবানীপুর-সোরভোগ, আলগাপুর-কাটলিচেরা ইত্যাদি। নির্বাচন কমিশনের প্রতিবেদনে অতিরিক্ত তিনটি বিধানসভা কেন্দ্র তফসিলি উপজাতিদের জন্য এবং আরও একটি তফসিলি জাতিদের জন্য সংরক্ষণের সুপারিশ করা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, সংশ্লিষ্ট সমস্ত পক্ষের সঙ্গে বিস্তৃত আলোচনার পরই এই চূড়ান্ত প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। চলতি বছরের মার্চে একের পর এক সভা করে এই প্রতিবেদনের একটি খসড়া তৈরি করেছিল। জুলাইয়ে সেই খসড়া প্রস্তাবের উপর তিন দিন ধরে গণশুনানি হয়েছিল। তারপরই চূড়ান্ত প্রতিবেদনটি তৈরি করেছিল কমিশন। গণশুনানির সময়, কিছু সংসদীয় ও বিধানসভা কেন্দ্রের নাম পরিবর্তনের বিষয়ে জনগণ, রাজনৈতিক দল এবং সংগঠনগুলির কাছ থেকে বিরোধিতার মুখে পড়েছিল কমিশন। তবে, তারা জানিয়েছে ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক এবং জাতিগত তাত্পর্য মেনেই এই নামগুলি বদল করা হয়েছে। কমিশন আরও জানিয়েছে, প্রতিটি আপত্তি প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনাররা যথাযথভাবে শুনেছে এবং চূড়ান্ত প্রতিদবেন তৈরির আগে সাংবিধানিক ও অন্যান্য বিধানের প্রেক্ষিতে সেগুলিকে বিবেচনা করা হয়েছে এবং মূল্যায়ন করা হয়েছে। জনসংখ্যার পরিবর্তনের প্রেক্ষিতে লোকসভা এবং বিধানসভা আসনগুলির সীমানা পুনর্বিন্যাস করা হয়।