President Droupadi Murmu: তিলোত্তমা কাণ্ডে আতঙ্কে খোদ রাষ্ট্রপতি, বললেন ‘সময় এসেছে…’
President Droupadi Murmu on RG Kar: এবার আরজি কর কাণ্ডে গর্জে উঠলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। আরজি কর কলেজ ও হাসপাতালে, এক প্রশিক্ষণার্থী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোটা দেশে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। দেশের মানুষের এই মনোভাবই, বুধবার (২৮ অগস্ট) অনুরণিত হল রাষ্ট্রপতির কণ্ঠে।
নয়া দিল্লি: ‘আমি হতাশ এবং আতঙ্কিত, যথেষ্ট হয়েছে।’ এবার আরজি কর কাণ্ডে গর্জে উঠলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। আরজি কর কলেজ ও হাসপাতালে, এক প্রশিক্ষণার্থী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোটা দেশে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। দেশব্যাপী চিকিৎসকরা নিরবচ্ছিন্নভাবে এই ঘটনার প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। শুধু তাঁরাই নন, সর্বস্তরের মানুষ পথে নেমেছেন প্রতিবাদে। আর দেশের মানুষের এই মনোভাবই, বুধবার (২৮ অগস্ট) অনুরণিত হল রাষ্ট্রপতির কণ্ঠে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই ন্যক্কারজনক ঘটনা নিয়ে প্রথমবার মুখ খুললেন তিনি। আরজি করের ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন তিনি। তাঁর মতে, মহিলাদের বিরুদ্ধে এই ধরনের জঘন্য অপরাধ প্রতিরোধে সামাজিক পরিবর্তনের আশু প্রয়োজন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, “যথেষ্ট হয়েছে। ছাত্র, ডাক্তার এবং নাগরিকরা যখন কলকাতায় প্রতিবাদ জানাচ্ছেন, তখন অপরাধীরা অন্যত্র ঘাপটি মেরে আছে। কোন সভ্য সমাজে মেয়ে-বোনদের উপর এমন নৃশংস নির্যাতন চলতে পারে না। সমাজকে সতভাবে এবং নিরপেক্ষভাবে আত্মদর্শন করতে হবে এবং নিজেদের কিছু কঠিন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতে হবে। প্রায়শই মহিলাদের মনুষ্যেতর, কম শক্তিশালী, কম সক্ষম, কম বুদ্ধিমান হিসাবে দেখা হয়। এই শোচনীয় মানসিকতা রয়েছে সমাজে।”
তিলোত্তমা কাণ্ড নিয়ে মুখ খোলার দিন, নির্ভয়া মামলার কথাও স্মরণ করেছেন রাষ্ট্রপতি। তিনি বলেন, “নির্ভয়া ঘটনার পর থেকে ১২ বছরে, অগণিত ধর্ষণ হয়েছে, যা সমাজ ভুলে গিয়েছে। এই সম্মিলিতঊভাবে ভুলে যাওয়া অত্যন্ত আপত্তিকর। যে সমাজ ইতিহাসের মুখোমুখি হতে ভয় পায়, তারাই এই সম্মিলিত স্মৃতিভ্রংশের পথ অবলম্বন করে। এখন ভারতেরও ইতিহাসের মুখোমুখি হওয়ার সময় এসেছে।”