Similipal National Park, Tigers: হারিয়ে যাচ্ছে হলুদ-ডোরা, সিমলিপালের বাঘ এখন ‘পুরোই কালো’
Rare Black Tiger: হলুদ-কালো ডোরা ছাড়া বাঘ ভাবাই যায় না। কিন্তু, কালো বাঘ! ওড়িশার সিমলিপাল, দেশের চতুর্থ বৃহত্তম টাইগার রিজার্ভ। আর সেখানে শাল-পিয়ালের ঘন জঙ্গলে কমবেশি ৩৫টা বাঘের বাস। তাদের মধ্যে প্রায় অর্ধেকের গায়েই এখন কালোর ছোপ।
চিড়িয়াখানায় সাদা বাঘ আমরা দেখি। কিন্তু সেটা ওই একবার দেখার জন্যই। কিন্তু দক্ষিণরায় বললেই আমাদের মানসচক্ষে ভেসে ওঠে হলুদের উপর কালো ডোরাকাটা। আর এই ‘সৌন্দর্য্য’ই কিন্তু সুন্দরবনের বাঘকে রয়্যাল করে তুলেছে। এবার এই বাঘের গা থেকে যদি এই হলুদ রঙটাই হারিয়ে যেতে বসে? হলুদ ঢেকে গিয়ে কালো রঙটা ক্রমশ সারা গায়ে ছেয়ে যায়? তাহলে সেই কালো বাঘ দেখতে কি ভাল লাগবে?
হলুদ-কালো ডোরা ছাড়া বাঘ ভাবাই যায় না। কিন্তু, কালো বাঘ! ওড়িশার সিমলিপাল, দেশের চতুর্থ বৃহত্তম টাইগার রিজার্ভ। আর সেখানে শাল-পিয়ালের ঘন জঙ্গলে কমবেশি ৩৫টা বাঘের বাস। তাদের মধ্যে প্রায় অর্ধেকের গায়েই এখন কালোর ছোপ। কয়েকবছর আগে সিমলিপালে প্রথম কালো বাঘের দেখা মেলে। আর এখন সেই কালো বাঘের সংখ্যাই হুহু করে বাড়ছে। সিমলিপাল বাঘ্র প্রকল্পের নওরঙ্গা রেঞ্জ কালো বাঘের ঘরবাড়ি। ওড়িশা সরকার এখন সেখানে ব্ল্যাক টাইগার সাফারি চালুর কথাও ভাবছে।
আর এই ঘটনায় সারা দেশের ব্যাঘ্র বিশেষজ্ঞরা পড়ে গিয়েছেন চিন্তায়। ন্যাশনাল টাইগার কনজারভেশন অথরিটির কর্তারাও বলছেন যে এভাবে চলতে থাকলে তো বাঘের সেই পুরনো চেহারাটাই যাবে হারিয়ে। তখন রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারকে কি আর রয়্যাল লাগবে? ফলে সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে বাঘ বিশেষজ্ঞরা এখন ছুটছেন সিমলিপালে। এবার প্রশ্ন হল বাঘ কেন কালো হয়ে যাচ্ছে? আমাদের চুলে মেলানিন থাকার কারণে জন্য আমাদের চুলের রঙ কালো। মানুষের বয়স বাড়লে এই মেলানিনের পরিমাণ করে যায়, ফলে বয়স হলে মানুষের মাথার চুল ধীরে ধীরে সাদা হয়ে যেতে থাকে। সিমলিপালের বাঘেদের চামড়ায় মেলানিনের পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে। ফলে তারা হয়ে যাচ্ছে মেলানিস্টিক টাইগার বা কালো বাঘ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর কারণ বাঘের জিনগত সমস্যা। সিমলিপালে যে ক’টা বাঘ আছে তাদের নিজেদের মধ্যেই মেটিং হচ্ছে। যাকে বলে ইনব্রিডিং। এদের মধ্যে অন্তত একটা বাঘের জিন মেলানিস্টিক। ফলে তার জিনগত বৈশিষ্ট্যই ছড়িয়ে পড়ে বাঘেদের কালো বানিয়ে দিচ্ছে। ঠিক যেমন এর বিপরীত ঘটনাতে চামড়ার রং অত্যধিক সাদা হয়ে গিয়ে অ্যালবিনো বা সাদা বাঘের জন্ম হয়। এ জিনিস বন্ধ করার একমাত্র উপায় বাঘেদের মধ্যে জেনেটিক ডাইভারসিটি বাড়ানো। কিন্তু, সিমলিপালের বাঘেদের অন্য কোথাও নিয়ে যাওয়া। কিংবা অন্য কোথাও থেকে বাঘ এনে সিমলিপালে ছেড়ে দেওয়া। সেটাও খুব কঠিন বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ফলে অদূর ভবিষ্যতে সিমলিপালের বাঘের গায়ে আর হলুদ রং থাকবে কি না, তার উত্তর রয়েছে ভবিষ্যতের গর্ভে।