পদত্যাগের পর নয়া আইটি মন্ত্রীকে প্রথম বার্তা প্রাক্তনের, কী বললেন রবিশঙ্কর?
Ravishankar Prasad: নিরবতা কাটিয়ে এ বার বার্তা দিলেন রবিশঙ্কর।
নয়া দিল্লি: কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণের আগে একাধিক মন্ত্রীর পদত্যাগ বিস্মিত করেছিল রাজনৈতিক মহলকে। দু’দফার মন্ত্রীরাও পদত্যাগ করেছিলেন। তার মধ্যে যাঁর পদত্যাগ সবচেয়ে বেশি ভাবিয়েছিল, তিনি রবিশঙ্কর প্রসাদ (Ravishankar Prasad)। তথ্য ও প্রযুক্তিতে কেন্দ্র একাধিক বড় পদক্ষেপ করছিল। কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত বলবৎ করার জন্য একেবারে সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে পদক্ষেপ করেছিলেন রবিশঙ্কর প্রসাদ। কিন্তু মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণের সময় তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রক থেকে রবিশঙ্কর প্রসাদকে সরিয়ে সেখানে অশ্বিনী বৈষ্ণবকে বসান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
তারপর থেকে প্রকাশ্যে নব নিযুক্ত আইটি মন্ত্রীর উদ্দেশে প্রাক্তনের কোনও বার্তা প্রকাশ্যে আসেনি। সেই নিরবতা কাটিয়ে এ বার বার্তা দিলেন রবিশঙ্কর। টুইটে অশ্বিনী বৈষ্ণবের উদ্দেশে তিনি লিখেছেন, “নতুন মন্ত্রীকে শুভেচ্ছা যে তিনি নতুন তথ্য ও প্রযুক্তি নিয়মে ব্যবহারকারীদের সুরক্ষ ও নিরাপত্তার বিষয়টি ফের উল্লেখ করেছেন। এটাও নিশ্চিত করছি যে টুইটারও নতুন নিয়মের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জন্য একাধিক পদক্ষেপ করেছে।”
রবিবার ‘কু’-এ একটি পোস্ট করে নয়া আইটি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব লিখেছিলেন, “আমার সহকর্মী শ্রী রাজীব চন্দ্রশেখরজির সঙ্গে নয়া আইটি নিয়ম পর্যবেক্ষণ করলাম। ব্যবহারকারীর নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতেই এই নির্দেশিকা।” তারপরই সোমবার রবিশঙ্কর প্রসাদের কাছ থেকে এই বার্তা এল। উল্লেখ্য, চেয়ারে বসে প্রথম দিনই টুইটারকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন অশ্বিনী বৈষ্ণব। সাফ জানিয়েছিলেন, টুইটারকে ভারতের আইন মানতেই হবে।
প্রসঙ্গত, দেশের ডিজিটাল নিয়ম প্রথমে মানতে অরাজি থাকলেও পরবর্তীকালে তা মানতে রাজি হয়েছে টুইটার। রবিবারই তৃতীয় অন্তর্বর্তী কমপ্লায়েন্স অফিসার নিয়োগ করেছে টুইটার কর্তৃপক্ষ। টুইটার প্রথমে ধর্মেন্দ্র চতুর নামে এক ব্যক্তিকে গ্রিভেন্স অফিসার হিসেবে নিয়োগ করেছিল। কিন্তু কেন্দ্র আপত্তি জানিয়ে নির্দেশ দেয়, এই স্থায়ী পদের জন্য টুইটার তৃতীয় কোনও সংস্থার ব্যক্তি নিয়োগ করতে পারবে না। এরপর টুইটার মার্কিন কর্মচারী জেরেমি কেসেলকে গ্রিভেন্স অফিসার হিসেবে নিয়োগ করে। কিন্তু এ ক্ষেত্রেও নিয়ম ভঙ্গ হয়। কারণ, নয়া ডিজিটাল নিয়মে সাফ জানানো ছিল, গ্রিভেন্স অফিসারকে ভারতীয় হতে হবে। এরপরই নাম এল বিনয় প্রকাশের। টুইটার নিজেদের ওয়েবসাইটে জানিয়েছে, বিনয় প্রকাশ ভারতে তাদের অন্তর্বর্তী রেসিডেন্ট অফিসার। আরও পড়ুন: রাজনীতিতে ‘হ্যাঁ’ কি ‘না’? চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে রজনীকান্ত বললেন…