সরকারি নথির তুলনায় ৫-৭ গুণ বেশি মৃত্যুর দাবি গবেষণায়, সাফাই দিতে কী বলল কেন্দ্র?

কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়, সরকার বরাবরই করোনা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য নিয়ে স্বচ্ছ থেকেছে। মৃতের সংখ্যায় যাতে গরমিল না হয়, সেই কারণে ২০২০ সালের মে মাসেই আইসিএমআর নির্দিষ্ট গাইডলাইন প্রকাশ করেছিল।

সরকারি নথির তুলনায় ৫-৭ গুণ বেশি মৃত্যুর দাবি গবেষণায়, সাফাই দিতে কী বলল কেন্দ্র?
ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: Jun 13, 2021 | 7:40 AM

নয়া দিল্লি: করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রভাব কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসতেই নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে কেন্দ্র। একাধিক সূত্রে দাবি করা হচ্ছে, সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে সরকারি হিসাবে প্রায় পাঁচ থেকে সাত গুণ বেশি মৃত্যু হয়েছে বাস্তবে। শনিবার এই রিপোর্টই ভুল বলে উড়িয়ে দিল কেন্দ্র। তাদের সাফাই, এই বিশ্লেষণ কোনও প্রমাণের উপর ভিত্তি করে নয়, বরং তথ্য বিকৃত করেই প্রকাশ করা হয়েছে।

সম্প্রতিই একটি ম্যাগাজিনে দেশে করোনা সংক্রমণে মৃতের সংখ্যা নিয়ে গবেষণা পত্র প্রকাশ হয়, যেখানে দাবি করা হয় কেন্দ্রের প্রকাশিত তথ্যের তুলনায় কমপক্ষে পাঁচ-সাত গুণ বেশি মৃত্যু হয়েছে। শনিবার এর প্রেক্ষিতেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে আয়োজিত সাংবাদিক বৈঠকে বলা হয়, “ওই প্রতিবেদনে যে গবেষণা প্রকাশ করা হয়েছে, তা মহামারি সংক্রান্ত কোনও প্রমাণের উপর ভিত্তি করে নয়, বিকৃত তথ্যের উপর ভিত্তি করে প্রকাশ করা হয়েছে।”

কেন্দ্রের তরফে ওই গবেষণাকে “ভিত্তিহীন” আখ্যা দেওয়ার কারণ হিসাবে জানানো হয়, রিসার্চ গেট বা পাবমেডের মতো বৈজ্ঞানিক ডাটাবেসে এই গবেষণার কোনও অস্তিত্বই নেই। গবেষণার জন্য যে নির্দিষ্ট পদ্ধতি মেনে চলতে হয়, সেগুলির উল্লেখও নেই ম্যাগাজিনে।

তেলঙ্গনায় জীবনবিমার দাবির উপর ভিত্তি করে এই গবেষণা করা হয়েছে বলে জানায় কেন্দ্র। এছাড়াও জনমত সংগ্রহের জন্য বিখ্যাত প্রশ্নম ও সি ভোটারের মতো সংস্থাও এই ধরনের কোনও সমীক্ষার সঙ্গে যুক্ত ছিল না বলেই জানিয়েছে।

কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়, সরকার বরাবরই করোনা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য নিয়ে স্বচ্ছ থেকেছে। মৃতের সংখ্যায় যাতে গরমিল না হয়, সেই কারণে ২০২০ সালের মে মাসেই আইসিএমআর নির্দিষ্ট গাইডলাইন প্রকাশ করেছিল। এছাড়াও বহু রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলেও কেন্দ্রীয় জল পাঠিয়ে কোভিড পরিস্থিতি পরিদর্শন ও তথ্য সংগ্রহের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। যে রাজ্যগুলিতে মৃতের সংখ্যা কম, সেখানে পুনরায় মৃতের সংখ্যা গণণা করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে বলে জানায় কেন্দ্র।

আরও পড়ুন: খেল দেখাচ্ছে অ্যান্টিবডি ককটেল, ২৪ ঘণ্টায় ৪০ করোনা রোগীর দেহে উধাও যাবতীয় উপসর্গ!