ফের কংগ্রেস সভাপতি হোক রাহুল গান্ধী, গৃহীত হল প্রস্তাব

যুব কংগ্রেসের বৈঠকে এই প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। গোয়ায় যুব কংগ্রেসের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

ফের কংগ্রেস সভাপতি হোক রাহুল গান্ধী, গৃহীত হল প্রস্তাব
ফাইল ছবি- PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 07, 2021 | 9:53 AM

নয়া দিল্লি: প্রেসিডেন্ট পদে কে থাকবেন, তার কোনও স্পষ্ট জবাব এখনও নেই দলের অন্দরে। সভাপতি পদে নির্বাচনও স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে একাধিকবার। তবে ফের একবার রাহুল গান্ধীকেই কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেখতে চেয়ে প্রস্তাব গৃহীত হল যুব কংগ্রেসে। গতকাল রাতেই এই প্রস্তাব পাস হওয়ার কথা জানানো হয়েছে যুব কংগ্রেসের তরফ থেকে। সংগঠনের সভাপতি শ্রীনিবাস বি টুইট করে সেই প্রস্তাবের একটি কপি সামনে এনেছেন। তিনি জানিয়েছেন জাতীয় কংগ্রেসের সংবিধান মেনেই দলের সভাপতি পদে নিয়োগ করা উচিৎ রাহুল গান্ধীকে।

গোয়ার রাজধানীর পানাজির কাছে একটি রিসর্টে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ভারতীয় যুব কংগ্রেসের দু’দিনের জাতীয় নির্বাহী সভা। আর সেই সভার দ্বিতীয় দিনে এই প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। ওই বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন যুব কংগ্রেসের সভাপতি শ্রীনিবাস বিভি, যুব কংগ্রেসের দুইনচার্জ এবং এআইসিসির যুগ্ম সচিব কৃষ্ণা আল্লাভারু। শ্রীনিবাস বিভি একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলেছেন, ‘আগামিদিনে, যুব কংগ্রেস রাস্তায় দেশের স্বার্থে সমস্ত জ্বলন্ত ইস্যুতে লড়াই করবে এবং এই সংগ্রাম মানুষের কাছে নিয়ে যাবে।’

২০১৭-তে সোনিয়া গান্ধীর কাছ থেকে কংগ্রেস সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন রাহুল। কিন্তু ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে দলের বিপর্যয়ের সভাপতির পদ ছেড়ে দিয়েছিলেন। গান্ধী পরিবারের সদস্যের পদত্যাগের ফলে কংগ্রেসের মধ্যে টানাপোড়েন তৈরি হয়। রাহুল গান্ধীর মন পরিবর্তন করতে ব্যর্থ হন কংগ্রেস নেতারা। বিকল্প কে হবে? সেটাও স্পষ্ট হয়নি। অবশেষে, সোনিয়া গান্ধী, যিনি ১৯ বছর ধরে কংগ্রেসের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, তিনিই অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান হিসাবে ফিরে আসতে সম্মত হন। সভাপতি পদ ছাড়ার সময় পদত্যাগপত্রে রাহুল গান্ধী বলেছিলেন যে একজন অ-গান্ধীকেই কংগ্রেসের নেতৃত্ব দিতে হবে, যা তার ১৩৫ বছরের দীর্ঘ ইতিহাসের সময় নেহরু-গান্ধী পরিবারের সদস্যদের দ্বারা পরিচালিত হয়েছিল।

চলতি বছরে কংগ্রেসের সভাপতি পদের নির্বাচন কিছু দিনের জন্য পিছিয়ে দেওয়া হয়। কংগ্রেসের সভাপতি পদে নির্বাচন হলে দলের নেতাকর্মীদের নজর বিধানসভা ভোটের প্রচার থেকে দলীয় নির্বাচনের দিকে ঘুরে যেতে পারে বলেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। পশ্চিমবঙ্গ সহ দেশের মোট ৫ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন ছিল এ বছর। আর তার আগেই কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনের কথা ছিল। দলীয় কর্মীদের নজর ঘুরে গেলে তার প্রভাব পড়তে পারে বিধানসভা ভোটের ফলাফলে। এমন আশঙ্কা থেকেই সিদ্ধান্ত বদল করে কংগ্রেস।

মে মাসেও ফের পিছিয়ে যায় কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনের প্রক্রিয়া। কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটি জানিয়ে দেয় করোনা মহামারি পরিস্থিতিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত রাখা হচ্ছে এই নির্বাচন। ততদিন সোনিয়া গান্ধীই সভানেত্রী হিসেবে কাজ চালিয়ে যাবেন বলে জানানো হয়। কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকেও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, করোনা পরিস্থিতি যত দিন না স্বাভাবিক হচ্ছে, ততদিন কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচন স্থগিত রাখা হচ্ছে। আরও পড়ুন: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অনুমতি ছাড়া আশ্রয়চ্যূত করা হবে না কোনও আফগানকে, সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের